ব্যাংক-বীমা-বিসিএস সহ সকল প্রকার চাকরির প্রস্তুতির জন্য ও পরীক্ষায় শতভাগ কমন নিশ্চয়তা এবং সম্পুর্ণ পিডিএফ সহ বাংলা বাগধারা । PDF ডাউনলোড করুন সম্পুর্ণ ফ্রি! পিডিএফ লিঙ্ক দেয়া আছে।
ফ্রি পিডিএফ পেতে Visit করুন।
বাংলা বাগধারর সম্পুর্ণ ফ্রি PDF সহ- প্রথম পর্ব
বাংলা বাগধারা PDF ডাউনলোড করুন এখানে
অন্যান্য পিডিএফ দেখুন-
- অকাল কুষ্মাণ্ড (অপদার্থ, অকেজো): আজকালকার ছেলেরা সারাদিন কোন কাজ নেই শুধু গেম খেলে বসে বসে, সব এক একটি অকাল কুষ্মাণ্ড।
- অকাল বোধন (অসময়ে আবির্ভাব): কি হে মহাশয়, এতদিন কোন খবর নাই আর এই অকাল বোধন?
- অন্ধের যষ্টি (একমাত্র অবলম্বন): সব হারিয়ে এই বাড়িখানাই তার অন্ধের যষ্টি।
- অকূল পাথার (ভীষণ বিপদ): সব টাকা পয়সা খোয়া দিয়ে সে অকূল পাথারে পড়ে গেছে।
- অক্কা পাওয়া (মারা যাওয়া): মানুষটা এতদিন অসুখে ভুগেছে, আজ সকালে অক্কা পেল।
- অগস্ত্য যাত্রা (শেষ প্রস্থান): গত সপ্তাহে বড়বাবু অগস্ত্য যাত্রা করেন।
- অল্পবিদ্যা ভয়ঙ্করী (সামান্য বিদ্রার অহংকার): করিম না জেনেই এই কাজের ভার নিয়ে এখন সব নষ্ট করে দিল- একেই বলে অল্পবিদ্যা ভয়ঙ্করী ।
- অগাধ জলের মাছ (সুচতুর ব্যক্তি/অত্যন্ত কৌশলী): আমি তাকে অনেক সহজ মানুষ ভাবছিলা কিন্তু সে অগাধ জলের মাছ।
- অগ্নিশর্মা (অত্যন্ত ক্রোধী): সে অল্প কথাতেই রেগে অগ্নিশর্মা হয়ে যায়।
- অগ্নিপরীক্ষা (কঠিন পরীক্ষা): এতদিন তো গায়ে হাওয়া লাগিয়ে বেরিয়েছ, এইবার সামনের দিনে তোমার অগ্নিপরীক্ষা আসছে।
- অদৃষ্টের পরিহাস (ভাগ্যের নিষ্টুরতা): আমি তাকে দেখতে যেতে চেয়েছিলাম কিন্তু ভাগ্যের কি পরিহাস সে আজ আর নেই।
- অর্ধচন্দ্র (গলাধাক্কা): অবশেষে তার অপকর্মের ফল সে অর্ধচন্দ্রের মাধ্যমে পেল।
- অকাশকুসুম (অসম্ভব জিনিস): সে কাজ করে না কিন্তু আকাশকুসুম কল্পনা করে থাকে, তাই তার কোন কাজে সফলতা আসে না।
- অকালপক্ব (ইঁচরে পাকা): চেলেটির বয়স কম হলে কি হবে – অকাল পক্ক।
- অমাবস্যার চাঁদ (দুর্লভ বস্তু): কি রে কখন এলি, তুই তো আজকাল অমাবস্যার চাঁদ।
- অরণ্যে রোধন (নিষ্ফল আবেদন): অরণ্যে রোদনে কাজ হবে না, আজকাল চাকুরি পায় তারাই যাদের টাকা আর মামার জোর আছে।
- অহিনকুল সম্বন্ধ (ভীষণ শত্রুতা): আমি তাকে খুশির কাছে নিয়ে গিয়ে বিপদে পলাম, আমি তো জানি না তাদের মধ্যে অহিনকুল সম্বন্ধ !
- অক্ষয় বট (প্রাচীন ব্যক্তি): তার দাদা অক্ষয় বট, বয়স এইবার ১০০ পেরুলো।
- অষ্টকপাল (আটকপালে/হতভাগ্য): আহা! এই মেয়েটা এমন অষ্টকপাল যে, দুবেলা খেতেও পায় না।
- অষ্টরম্ভা (কাঁচকলা/কিছুই না): তার শুধু বড় বড় কথা, আসলে কাজের বেলায় তো অষ্টরম্ভা ।
- আদায় কাঁচকলায় (ঘোর শত্রুতা): দু’ভায়ের মধ্যে আদায় কাঁচকলার সম্পর্ক, কেউ কাউকে দেখতে পারে না।
- আউলিয়া চাঁদ (যে অল্পেই আকুল হয়): তার মেয়েটা আউলিয়া চাঁদ, একটু কিছু হলেই হয়েছে!
- আকাশের চাঁদ (দুর্লভ বস্তু): তার মামা তো আকাশের চাঁদ, তাকে বাসায় গিয়েও পাওয়া যায় না।
- আকাশ কুসুম (অসম্ভব কল্পনা): আকাশ কুসুম ভেবে কি হবে, কাজ না করলে সব মিথ্যা ।
- আক্কেল সেলামি (নির্বুদ্ধিতার দণ্ড): আমি তোমার কথা শুনে আজ আক্কেল সেলামি দিলাম, না শুনলেই ভালো থাকতাম।
- আক্কেল গুড়ুম (হতবুদ্ধি/স্তম্ভিত): তার বাসায় গিয়ে আমি যা দেখলাম তাতে আমার আক্কেল গুড়ুম।
- আক্কেল দাঁত ওঠা (পাকা বুদ্ধি): তাকে যা দেখেছি তাতে আর সে আগের মত আলাভোলা নেই, তার আক্কেল দাঁত আছে।
বাংলা বাগধারা PDF ডাউনলোড করুন এখানে
অন্যান্য পিডিএফ দেখুন-
- আগুনে ঘি ঢালা (রাগ বাড়ানো): এমনিতেই তার ইদানিং মেজাজ ভাল নেই, তার উপর তুমি আগুনে ঘি ঢেলো না।
- আঠার মাসে বছর (দীর্ঘসূত্রিতা): সরকারি অফিসে কোন কাজ করতে গেলেই আঠারো মাসে বছর।
- আদার ব্যাপারী (সামান্য বিষয়ে ব্যস্ত থাকা): তুমি তোমার কাজ নিয়েই থাক, কি দরকার বাপু আদার ব্যাপারী হয়ে জাহাজের খবর নেয়ার।
- আবোল-তাবোল (বাজে কথা): তুই কি সব আবলতাবল বকছিস, আমি তো কিছুই বুঝতেছি না।
- আমড়া কাঠের ঢেঁকি (অপদার্থ): তোমার মত আম কাঠের ঢেঁকি দিয়ে কিছুই হবে না, ভালো হও, এখনও সময় আছে।
- আপন পায়ে কুড়াল মারা (নিজের অনিষ্ট করা): মন্দ লোকের কথায় মজে সে তার আপন পায়ে কুড়াল মারলো।
- আষাঢ়ে গল্প (আজগুবি কেচ্ছা): তোমার কথা আমি কিছুতেই বিশ্বাস করব না, তুমি এর আগেও আমাকে আষাঢ়ে গল্প শুনিয়েছ।
- আঁটকুড়ো (নিঃসন্তান): লোকে বলে আঁটকুড়ো মানুষের মুখ দেখতে নেই- কথাটা কি ঠিক?
- আঁকুপাঁকু (অতিরিক্ত ব্যগ্রতা বা ব্যস্ততার ভাব): এমন আঁকুপাঁকু করে কি হবে, যা বলার তা বলে ফেলো ।
- আষ্টেপৃষ্ঠে (সারা গায়/সর্বাঙ্গে): লীমার এমন অবস্থা যে, পরিস্থিতি তাকে আষ্টেপৃষ্টে বেধে ফেলেছে।
- আদিখ্যেতা (ন্যাকামি): এখন আর আদিখ্যেতা করতে হবে না, যখন ডাকলাম তখন পেলাম না।
- আঁতে ঘা (মনে ব্যথা দেয়া): আমি উচিত কথা বলাতে তার আঁতে ঘা লেগেছে, সে আর আসে না এইদিকে।
- ইঁদুর কপালে (নিতান্ত মন্দ ভাগ্য): হায়রে! ইদুর কপালে মেয়ে, বাপটা গেলো আগে- এখন আবার মা টাও অক্কা পেলো ।
- ইলশে গুঁড়ি (গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি): আজকে যাব ভাবছি কিন্তু যে ইলশে গুড়ি আর যাওয়া হবে না ।
- ইনিয়ে বিনিয়ে (ঘুরিয়ে ফিরিয়ে/নানাভাবে): ইনিয়ে বিনিয়ে গল্প করে লাভ নাই ভাই, ঝেড়ে কাশো দেখি আমি কি করতে পারি।
- ঈদের চাঁদ (অতি কাঙ্খিত বস্তু): সে আজ কয়েক বছর পর এলো, একেবারে ঈদের চাঁদের মত।
- উত্তম মধ্যম (প্রহার/পিটুনি/মারা): শিক্ষকের কাছে কতই না উত্তম-মধ্যম খেলাম এই রচনার জন্য।
- উনিশ বিশ (সামান্য পার্থক্য): তার ব্যবসার হিসাব এমন কড়া যে একটুখানি উনিশ-বিশ হবার জো নেই।
- উভয় সংকট (শাখের করাত): এতো ভালই শাখের করাত হল, আমি বাসায় যেতেও পারিনা, আমার ক্ষুধাও লেগেছে।
- উলুখাগড়া (গুরুত্বহীন লোক): রাজায় রাজায় যুদ্ধ হয়, উলুখাগড়ার প্রাণ যায়- এমন অবস্থায় আমরা সাধারণ মানুষ দুই দলের বিবাদে।
- উলুবনে মুক্ত (অস্থানে মূল্যবান দ্রব্য প্রদান): অজায়গায় গমন করা,অপাত্রে সম্প্রদান করা এ যেন উলুবনে মুক্ত ছড়ানো ।
- উড়নচণ্ডী (অমিতব্যয়ী): উড়নচণ্ডী ছেলেটাকে নিয়ে বাবা-মার চিন্তার সীমা আর নাই।
- উড়ো চিঠি (বেনামি পত্র): গত মাসে আমার দাদার কাছে একটি উড়ো চিঠি আসে।
- উসখুস করা (ছটফট করা): পড়া ছেড়ে যাত্রা পালায় যেতে সে উসখুস করছে কিন্তু মায়ের কাছে বলতে পারে না!
- উচ্ছন্নে যাওয়া (অধঃপাতে যাওয়া/চরিত্রের অবনতি হওয়া): সঙ্গ দোষে ছেলেটা উচ্ছন্নে গেলো।
বাংলা বাগধারা PDF ডাউনলোড করুন এখানে
অন্যান্য পিডিএফ দেখুন-
- ঊনপঞ্চাশ বায়ু (পাগলামী): ওর সামনে ঐ মেয়ের কথা তুল না, তাহলে কিন্তু ঊনপঞ্চাশ বায়ু বেড়ে যাবে, আর সামলাতে পারবে না।
- ঊনপাঁজরে (হতভাগ্য দুর্বল): ঊনপাঁজুরে বলে মেয়েটাকে দুঃখ দিও না; একদিন সে ঠিকই সৌভাগ্যবতী হবে।
- এলাহি কাণ্ড (বিরাট আয়োজন): বড়বাবুর মেয়ের বিয়ে বলে কথা- একাহি কান্ড তো হবেই ।
- এলেবেলে (নিকৃষ্ট): তোমার মত এমন এলেবেলে মানুষকে দিয়ে এই কার্য হবে না।
- এক চোখা (পক্ষপাতিত্ব, পক্ষপাতদুষ্ট): খেলার মাঠে এক চোখা রেফারীর জন্যই আমরা হেঁড়ে গেলাম।
- এলোপাতাড়ি (বিশৃঙ্খলা): তার পড়াশনার কোন নিয়ম নেই, এলোপাতাড়ি ভাবে পড়ে ।
- এসপার ওসপার (মীমাংসা): অনেকদিন ধরে তাদের দুজনের মধ্যে অমিল, আজ মাতব্বরের মধ্যস্ততায় একটা এসপার ওসপার হয়ে যাবে।
- একাদশে বৃহস্পতি (সৌভাগ্যের বিষয়) : পাস করতে না করতেই সুবিন চাকরি পেয়ে গেল, এটাকেই বলে একাদশে বৃহস্পতি।
- এক বনে দুই বাঘ (প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বী): একই ক্লাসে তারা দুই বন্ধু একে অন্যের প্রতিদ্বন্দ্বী। এ যেন এক বনে দুই বাঘ।
- এক কড়ার মুরােদ নাই, ভাত মারার গোসাই (আয় না করে ব্যয় করা): বাবুল ডিগ্রি নিয়েও ঘরে বসে অন্ন ধ্বংস করছে। তাকে দেখলেই পরিবারের কর্তা রাগত স্বরে বলেন, এক কড়ার মুরােদ নেই, ভাত মারার গোঁসাই।
- এক ঢিলে দুই পাখি মারা (একসাথে দুই কাজ সমাধা করা): বাণিজ্যমেলা থেকে ফেরার পথে শফিককে দেখে আসব যাকে বলে এক ঢিলে দুই পাখি মারা।
- এক ক্ষুরে মাথা কামানাে (একই নীতির অনুসারী): অপরাধীদের একজনকে ধরলে অন্যদের পাওয়া যাবে, সবাই এক ক্ষুরে। মাথা কামায় কিনা!
- এক মাঘে শীত যায় না (বিপদ একবার এসেই শেষ হয় না): এত কারে বলার পরও আমার মেয়ের বিয়েতে এলে না, মনে রেখ এক মাঘে শীত যায় না।
- এক হাতে তালি বাজে না (সব দ্বন্দ্বেই দুপক্ষের দায়িত্ব থাকে): তুমি কিছু বলনি, রমিজ একাই বলল আর তাই নিয়ে ঝগড়া হলাে, তা কী করে হয়, এক হাতে তালি বাজে না।
- ওষুধ পড়া (প্রভাপ পড়া): মেয়েটি কিন্তু বেশ ভালো, কে যেন অকে ওষুধ পড়া দিয়েছে।
- ওল বলে মান কচু তুমি বড় লাগাে (নিজের দোষ ঢেকে অন্যকে গালমন্দ করা): স্বভাবে শ্বশুর-জামাই একই রকমের হলেও একে অপরকে সর্বদাই দোষারােপ করে; এ যেন ওল বলে মান কচু তুমি বড় লাগাে।
- ওস্তাদের মার শেষ রাতে (যথার্থ ব্যক্তি শেষ পর্যন্ত সফল হয়): সারাক্ষণ খেলা চললেও রহিম গােল পেল না, শেষ বশি।বাজার এক মিনিট আগে কর্নার থেকে সরাসরি গােল করল, একেই বলে ওস্তাদের মার শেষ রাতে।
- ওজন বুঝে চলা (আত্মমর্যাদা): বয়স আপনার অনেক তো হল, এবার ওজন বুঝে চলুন।
- ওষুধ ধরা (আকাঙিক্ষত ফল লাভ): অনেক কষ্ট করে আমি তার থেকে কাজটা নিতে পারলাম। এইবার বুজলাম আমার বন্ধুর বুদ্ধিতে ওষুধ টা ধরল।
- ওৎ পাতা (সুযোগের প্রতক্ষায় থাকা): সে এতদিন ওৎ পেতে ছিল, যেমনি আমি বেতন পেলাম এসে টাকা টা নিয়ে নিল।
বাংলা বাগধারা PDF ডাউনলোড করুন এখানে
অন্যান্য পিডিএফ দেখুন-
পরবর্তী পর্ব পড়ুন-