ফুসফুস মানুষের দেহের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। অযত্ন, অবহেলা ও ক্ষতিকর অভ্যাসের কারণে ফুসফুস ক্যানসার হতে পারে। প্রথমে এটি ফুসফুসে উৎপত্তি হলেও ধীরে ধীরে মস্তিষ্কসহ শরীরের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়ে। বিশ্বজুড়ে প্রায় ৮০% ফুসফুস ক্যানসারের মূল কারণ ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য সেবন। এছাড়া ধুলাবালু, দূষিত পরিবেশ বা ঝুঁকিপূর্ণ কর্মস্থলেও এই রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
কারা ফুসফুস ক্যানসারের ঝুঁকিতে?
ধূমপান ও তামাক সেবনকারী – নিয়মিত ধূমপানকারীদের ঝুঁকি অন্যদের তুলনায় বেশি। পরোক্ষ ধূমপানও সমান ক্ষতিকর।
ঝুঁকিপূর্ণ পেশাজীবী – অ্যাসবেস্টস কারখানা বা অতিরিক্ত ধুলাবালুর মধ্যে কাজ করা ব্যক্তিদের ঝুঁকি বেশি।
শহরে বসবাসকারী – যানবাহন, কলকারখানা ও ধোঁয়ার কারণে শহরের বাতাস বেশি দূষিত, যা ঝুঁকি বাড়ায়।
রেডিয়েশন থেরাপি গ্রহণকারী – যাঁরা রেডিয়েশন চিকিৎসা নিয়েছেন, তাঁদের ফুসফুস ক্যানসার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
পূর্ববর্তী ফুসফুসজনিত রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি – যক্ষ্মা, সিওপিডি, ফুসফুসে পানি জমা, প্রদাহজনিত রোগ বা পরিবারের ক্যানসারের ইতিহাস থাকলে ঝুঁকি বেশি।
ফুসফুস ক্যানসারের উপসর্গ
প্রাথমিক অবস্থায় উপসর্গ বোঝা কঠিন। সাধারণত শেষ পর্যায়ে রোগ ধরা পড়ে। সম্ভাব্য লক্ষণগুলো হলো:
দীর্ঘমেয়াদি শ্বাসকষ্ট
হঠাৎ ওজন কমে যাওয়া
একটানা খুসখুসে কাশি
কাশি বা কফের সঙ্গে রক্তপাত
বুকে ব্যথা ও শ্বাসকষ্ট
অতিরিক্ত ক্লান্তি ও অবসাদ
ক্ষুধামান্দ্য
গলাভাঙা বা স্বর পরিবর্তন
বারবার বুকে সংক্রমণ
ফুসফুস ক্যানসারের চিকিৎসা
বর্তমানে ফুসফুস ক্যানসারের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়:
সার্জারি
কেমোথেরাপি
রেডিওথেরাপি
টার্গেটেড থেরাপি
ইমিউনো থেরাপি
ফুসফুস ক্যানসার প্রতিরোধের উপায়
ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য সম্পূর্ণ বর্জন
পরোক্ষ ধূমপান এড়িয়ে চলা
ধুলাবালু ও দূষিত পরিবেশে সুরক্ষামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ
ফুসফুসের সমস্যা অবহেলা না করে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া
শিশুরা স্বাভাবিকভাবেই কিছুটা চঞ্চল ও দুষ্টুমি করে। তবে কোনো শিশু যদি অতিরিক্ত চঞ্চল, অমনোযোগী এবং নিয়ন্ত্রণের বাইরে আচরণ করে, তবে তাকে অতি দুরন্ত শিশু বা ডানপিটে শিশু বলা হয়। অনেক ক্ষেত্রে এটি এডিএইচডি (Attention Deficit Hyperactivity Disorder)-এর লক্ষণ হতে পারে। সাধারণত ১২ বছরের আগে কোনো শিশু যদি ৬ মাস বা তার বেশি সময় ধরে এমন আচরণ করে, তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।
অতি দুরন্ত শিশুর কারণ
বিশেষজ্ঞদের মতে, মস্তিষ্কের ফ্রন্টাল অংশে ডোপামিন নামক রাসায়নিকের অস্বাভাবিক মাত্রা এই সমস্যার মূল কারণ হতে পারে। এছাড়া এর সঙ্গে ঘুমের সমস্যা, মৃগী রোগ ও পড়াশোনায় মনোযোগের ঘাটতি যুক্ত থাকতে পারে।
অতি দুরন্ত শিশুর লক্ষণ
সব সময় অতিরিক্ত চঞ্চল থাকা
বিপজ্জনক কাজ করা (যেমন—দেয়াল থেকে লাফ দেওয়া, রাস্তার মাঝে দৌড়ে যাওয়া)
ঘরের জিনিসপত্র নষ্ট করা
বিদ্যালয়ে শিক্ষকের অভিযোগ পাওয়া
অন্য অভিভাবকের কাছ থেকেও অভিযোগ শোনা
কম সময় বিশ্রাম নেওয়া
অতি দুরন্ত শিশুর চিকিৎসা
প্রথমে শিশুর শ্রবণশক্তি, দৃষ্টিশক্তি ও পড়াশোনার সমস্যা যাচাই করা হয়।
প্রয়োজনে থাইরয়েড হরমোন, ফিনাইলকিটোনুরিয়া, সিসা বিষক্রিয়া ইত্যাদি বিষয় ল্যাব টেস্টের মাধ্যমে পরীক্ষা করা হয়।
চিকিৎসা হয় মা-বাবা, শিক্ষক, মনোবিদ, শিশুবিশেষজ্ঞ ও সমাজকর্মী—সবাই মিলে যৌথভাবে।
বিহেইভিয়ারাল থেরাপি ও ড্রাগ থেরাপি একসাথে প্রয়োগ করলে ভালো ফল পাওয়া যায়।
অভিভাবকের করণীয়
শিশুর প্রতি ধৈর্যশীল থাকা
আচরণ পরিবর্তনে ইতিবাচক মনোভাব রাখা
চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলা
শিক্ষকদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা
শেষ কথা: অতি দুরন্ত শিশু থাকলেও হতাশ হওয়ার কিছু নেই। সঠিক চিকিৎসা ও সাপোর্ট পেলে ধীরে ধীরে শিশুর আচরণ উন্নতি হয় এবং সে শান্ত হয়ে আসে। তাই বিলম্ব না করে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
আমাদের নাকের চারপাশের অস্থিগুলোর ফাঁকে বাতাসপূর্ণ কুঠুরি থাকে, যেগুলোকে সাইনাস বলা হয়। সাইনাসের কাজ হলো—
মাথাকে হালকা রাখা
আঘাত থেকে মাথাকে রক্ষা করা
কণ্ঠস্বরকে সুরেলা রাখা
দাঁত ও চোয়াল গঠনে সহায়তা করা
সাইনাসের ভেতরের মিউকাস প্রতিদিন স্বাভাবিকভাবে নাসিকাগহ্বর দিয়ে বের হয়। কিন্তু কোনো কারণে এ প্রক্রিয়ায় বিঘ্ন ঘটলে বাতাসের পরিবর্তে সেখানে তরল জমে প্রদাহ হয়, যাকে বলা হয় সাইনুসাইটিস।
সাইনুসাইটিস হওয়ার কারণ
নাকে এলার্জি
ভাইরাস সংক্রমণ
মৌসুম পরিবর্তনজনিত ঠান্ডা-সর্দি
নাকের মাঝখানের হাড় বাঁকা হওয়া
নাকের ভেতরে মাংস বৃদ্ধি (টারবিনেট)
পলিপ বা টিউমার
শীতে অ্যালার্জি ও ইনফ্লুয়েঞ্জার প্রকোপ
সাইনুসাইটিসের লক্ষণ ও উপসর্গ
নাক থেকে ঘন হলুদ বা সবুজাভ শ্লেষ্মা নির্গত হওয়া
নাক বন্ধ ও শ্বাস নিতে অসুবিধা
নাকের চারপাশে, চোখের নিচে বা কপালে ফোলাভাব
চোখ, গাল, নাক বা কপালের চারপাশে ব্যথা
কানে চাপ বা বন্ধ ভাব
মাথাব্যথা ও দাঁতে ব্যথা
ঘ্রাণশক্তি কমে যাওয়া
শীতের আগে প্রতিরোধের উপায়
রাতে বা ভোরে বের হলে কান-মাথা-গলা ঢেকে রাখা
পায়ে মোজা পরা
ধুলাবালি থেকে বাঁচতে মাস্ক ব্যবহার
অ্যালার্জির কারণ জেনে সেটি এড়িয়ে চলা
ধোঁয়া ও দূষিত পরিবেশ এড়িয়ে চলা
ঘুমানোর সময় মাথা উঁচু রাখা
ঠান্ডা পানির সংস্পর্শ এড়িয়ে চলা
মশার কয়েলের ধোঁয়া ও স্প্রে থেকে দূরে থাকা
সাইনুসাইটিস হলে করণীয়
দিনে অন্তত দুবার গরম পানির ভেপার নেওয়া
গরম পানিতে মেনথল মিশিয়ে ইনহেলেশন নেওয়া
অ্যান্টিহিস্টামিন জাতীয় ওষুধ গ্রহণ (চিকিৎসকের পরামর্শে)
ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো তার খ্যাতি ধরে রাখতে কাজের প্রতি নিষ্ঠাবান। তার প্রতিদিনের রুটিন সাজানো হয়েছে এমনভাবে যাতে মানসিক ও শারীরিক যত্ন নিখুঁতভাবে নেয়া যায়।
তার দিন শুরু হয় ভোর ছয়টায়।
ওঠার পরপরই দুই ঘণ্টা কঠোর প্রশিক্ষণ নেন।
তারপর প্রায় দেড় ঘণ্টা ঘুমান।
সকাল সাড়ে নয়টায় প্রোটিন সমৃদ্ধ নাস্তা খান।
সাড়ে দশটায় আবার দুই ঘণ্টার ব্যায়াম।
দুপুর সাড়ে বারোটায় দ্বিতীয়বার ঘুমের জন্য প্রস্তুতি নেন।
এরপর দুপুরের খাবারে মুরগি ও সালাদ খান।
বিকেলে তিনটায় আবার ঘুমান।
সাড়ে চারটায় দ্বিতীয় দুপুরের খাবার খান (সালাদ, ডিম, জলপাই ও টুনা মাছ)।
সন্ধ্যা সাতটায় রাতের খাবারে চর্বিহীন মাংস বা মাছ ও সবজি খান।
রাত ১০টায় সুইমিংপুলে সাঁতার কাটেন প্রায় এক ঘণ্টা।
রাত ১১টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ঘুমান।
এরপর মধ্যরাত ৩টা পর্যন্ত ব্যক্তিগত সময় কাটান।
এরপর আবার ৯০ মিনিটের ঘুম নেন।
তারপর নতুন করে শুরু হয় তার দিন।
রোনালদোর বিশেষ ঘুমের প্যাটার্ন
রোনালদো দিনে পাঁচবার ঘুমান, প্রতি ন্যাপ প্রায় ৯০ মিনিটের। এর ফলে তিনি মোট ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুম পান। এই ঘুমের নিয়ম তাকে মানসিক ও শারীরিকভাবে সতেজ রাখে। তিনি একটি নির্দিষ্ট ভঙ্গিমায় (ফোয়েটল পজিশন) ঘুমাতে পছন্দ করেন যা তার ঘুমের মান উন্নত করে।
রুটিনের গুরুত্ব
ঘুম, ব্যায়াম, খাদ্য ও বিশ্রামের সঠিক সমন্বয় রোনালদোর খেলা ও জীবনের মান ধরে রাখতে সাহায্য করে। নিয়মিত এই রুটিন মেনে চলাই তার সাফল্যের অন্যতম চাবিকাঠি।
১ ডিসেম্বর পালিত হয় বিশ্ব এইডস দিবস। এই দিনটি মূলত বিশ্বের সকল মানুষকে এইচআইভি ও এইডস সম্পর্কে সচেতন করার জন্য নির্ধারিত। যদিও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চিকিৎসা ও সচেতনতার কারণে এই রোগ নিয়ন্ত্রণে এসেছে, তবুও বাংলাদেশে এবং বিশ্বজুড়ে এইডস নিয়ে অনেক ভুল ধারণা ও অবহেলা রয়ে গেছে। বিশেষ করে আমাদের দেশের চাকরির পরীক্ষায় এই রোগ সম্পর্কিত প্রশ্ন বা স্বাস্থ্য বিষয়ক অংশে এই বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
এইডস ও এইচআইভি: কী ও কেন?
এইচআইভি (HIV) অর্থাৎ হিউম্যান ইমিউনোডেফিসিয়েন্সি ভাইরাস হলো এমন একটি ভাইরাস যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ধ্বংস করে।
ভাইরাসটি ধীরে ধীরে রোগ প্রতিরোধী কোষগুলোকে ধ্বংস করে দেয়।
যখন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এতটাই কমে যায় যে শরীর সাধারণ সংক্রমণ ও রোগ প্রতিরোধ করতে পারে না, তখন সেটাই এইডস (AIDS)। অর্থাৎ, এইডস হলো এইচআইভির শেষ পর্যায়।
এইডস সংক্রমণের প্রধান কারণ ও ঝুঁকি
অবিবাহিত বা বিবাহবহির্ভূত অস্থির যৌনসম্পর্ক। সঙ্গীর প্রতি বিশ্বস্ত না থাকা ঝুঁকি বাড়ায়।
যৌনমাধ্যমে ছড়ানো অন্যান্য রোগ যেমন গনোরিয়া, সিফিলিস থাকলে এইডসের ঝুঁকি বাড়ে।
কনডম ব্যবহার না করা বা ভুল ব্যবহার।
শেয়ার করা সিরিঞ্জ বা নিডল ব্যবহার, বিশেষ করে ড্রাগ সেবনের সময়।
অন্যের ব্যবহৃত ব্লেড, রেজার বা ট্যাটু মেশিন ব্যবহার।
নিরাপত্তাহীন রক্ত সঞ্চালন বা অপরিষ্কার মেডিক্যাল যন্ত্রপাতি।
মায়ের কাছ থেকে শিশুতে সংক্রমণ।
বাংলাদেশে এইডসের বর্তমান অবস্থা
বাংলাদেশে সরকার ও বিভিন্ন স্বাস্থ্য সংস্থা সচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করছে। নিয়মিত ব্লাড ব্যাংক ও হাসপাতালগুলোতে রক্ত পরীক্ষা বাধ্যতামূলক। তবে জনসচেতনতা এবং নিরাপদ যৌনাচার সম্পর্কে আরও শিক্ষা প্রয়োজন।
এইডসের লক্ষণ ও উপসর্গ
প্রাথমিক অবস্থায় এইডস ধরা পড়া কঠিন, কারণ উপসর্গ খুব সাধারণ এবং অন্যান্য অসুখের মতো। তবে নিচের লক্ষণগুলো দেখা দিলে সতর্ক হওয়া জরুরি:
১০ দিনের বেশি অবিরাম জ্বর।
দীর্ঘস্থায়ী ডায়রিয়া।
মুখ, গলা, জরায়ুমুখে ছত্রাক সংক্রমণ, সাদা স্তর বা পুরু জমাট।
বিভিন্ন স্থানে ঘা বা ফোস্কা।
অকারণে ওজন কমে যাওয়া ও দুর্বলতা।
ঘাড় বা কুঁচকিতে ফোলা লিম্ফ নোড।
ত্বকে লালচে ফুসকুড়ি বা রক্তক্ষরণ।
অস্বাভাবিক ক্লান্তি বা শক্তি কমে যাওয়া।
কখন চিকিৎসকের কাছে যাবেন?
এই উপসর্গগুলো যদি দেখা যায়, বিশেষ করে ঝুঁকিপূর্ণ জীবনযাপন করে থাকেন বা সন্দেহ হয়, তাহলে দ্রুত নিকটস্থ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
এইডস প্রতিরোধের কার্যকর উপায়
বিশ্বস্ত সঙ্গী নির্বাচন ও দীর্ঘমেয়াদি সম্পর্ক বজায় রাখা।
যৌন সম্পর্কের সময় কনডম ব্যবহার নিশ্চিত করা।
একবার ব্যবহার করা সিরিঞ্জ, ব্লেড, রেজার পুনরায় ব্যবহার থেকে বিরত থাকা।
নিরাপদ ও পরীক্ষিত ব্লাড ব্যাংক থেকে রক্ত গ্রহণ।
অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ ও যন্ত্রপাতি থেকে দূরে থাকা।
মাতৃগর্ভাবস্থায় মাতৃ-শিশু সংক্রমণ প্রতিরোধে নিয়মিত পরীক্ষা ও চিকিৎসা।
বিশ্ব এইডস দিবসে করণীয়
১ ডিসেম্বর বিশ্ব এইডস দিবসে সরকার, স্বাস্থ্য সংস্থা ও সামাজিক সংগঠনগুলো জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে নানা কার্যক্রম পরিচালনা করে। সবাই মিলে সচেতনতা বৃদ্ধি, ভুল তথ্য দূরীকরণ এবং নিরাপদ জীবনযাপনের জন্য কাজ করা দরকার।
এইডস এবং বাংলাদেশি চাকরির পরীক্ষায় গুরুত্ব
বাংলাদেশে যেকোনো সরকারি ও বেসরকারি চাকরির পরীক্ষায় স্বাস্থ্য বিষয়ক প্রশ্নে এইডসের বিষয়টি প্রায়শই আসে। তাই এই রোগের কারণ, লক্ষণ, প্রতিরোধ ও সচেতনতার বিষয়ে ভালো ধারণা থাকা আবশ্যক।
উপসংহার
এইডস ভয়ংকর রোগ হলেও সঠিক সচেতনতা, নিরাপদ অভ্যাস ও দ্রুত চিকিৎসার মাধ্যমে এর প্রভাব অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। ১ ডিসেম্বর বিশ্ব এইডস দিবস এই সচেতনতা বাড়ানোর মহৎ উদ্যোগ।
বর্তমানে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের জন্য গোপনীয়তা রক্ষা করাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। নতুন হোয়াটসঅ্যাপ গোপনীয়তা ফিচার হিসেবে ভয়েস মেসেজে ‘ভিউ ওয়ান্স’ অপশন চালু হয়েছে, যা মেসেজের সুরক্ষা আরও বাড়িয়ে দেবে।
হোয়াটসঅ্যাপ গোপনীয়তা ফিচার: ‘ভিউ ওয়ান্স’ মোড কী?
‘ভিউ ওয়ান্স’ মোড হলো এমন একটি সুবিধা, যেখানে পাঠানো ভয়েস নোট মাত্র একবারই খোলা ও শোনা যাবে। একবার শুনলে তা মুছে যাবে এবং আর সেন্ডার বা রিসিভার দুজনেরই ফাইলে আর অ্যাক্সেস থাকবে না। এর ফলে ব্যক্তিগত তথ্য বা সংবেদনশীল মেসেজ অন্য কারো হাতে পড়ার ঝুঁকি কমে যায়।
হোয়াটসঅ্যাপ গোপনীয়তা ফিচার: কিভাবে ব্যবহার করবেন?
এই নতুন হোয়াটসঅ্যাপ গোপনীয়তা ফিচার ব্যবহার করতে হলে অ্যান্ড্রয়েড বিটা ২.২৩.২২.৪ বা আইওএস বিটা ২৩.২১.১.৭৩ ভার্সন ইনস্টল করতে হবে। ভয়েস নোট রেকর্ড করার সময় ডান পাশে ছোট আইকন ট্যাপ করে ‘ভিউ ওয়ান্স’ মোড চালু করতে পারবেন।
হোয়াটসঅ্যাপ গোপনীয়তা ফিচার: সুবিধা ও গুরুত্ব
একবার শুনার পর ভয়েস মেসেজ স্বয়ংক্রিয়ভাবে মুছে যায়।
সেন্ডার বা রিসিভার ফাইলটি আর দেখতে বা শোনাতে পারবে না।
ব্যক্তিগত তথ্যের সুরক্ষা নিশ্চিত হয়।
মেসেজ ফরোয়ার্ড বা সেভ করা যায় না।
নিরাপত্তায় এক নতুন দিগন্ত
নতুন হোয়াটসঅ্যাপ গোপনীয়তা ফিচার ‘ভিউ ওয়ান্স’ মোড আপনার ভয়েস মেসেজের সুরক্ষা নিশ্চিত করবে। এই উন্নত ফিচার ব্যবহার করে ব্যক্তিগত তথ্য রক্ষা করুন এবং মেসেজের গোপনীয়তাকে নতুন মাত্রা দিন।
🧠 ইংরেজি শব্দ মুখস্থ করার কৌশল: সহজে শব্দ মনে রাখার কার্যকর পদ্ধতি
📌 কীওয়ার্ড ফোকাস:
ইংরেজি শব্দ মুখস্থ করার কৌশল
ইংরেজি ভোকাবুলারি মনে রাখার উপায়
শব্দ শেখার কৌশল
ইংরেজি শেখার কৌশল বাংলা ভাষায়
ইংরেজি শব্দ মুখস্থ করার কৌশল
🌟 ভূমিকা
ইংরেজি শেখার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জগুলোর একটি হলো নতুন শব্দ মুখস্থ করা এবং তা মনে রাখা। অনেকেই মনে করেন যে মুখস্থ করা মানেই বারবার পড়ে রাখা, কিন্তু গবেষণায় দেখা গেছে—যদি আপনি সঠিক কৌশল অবলম্বন করেন, তাহলে খুব সহজেই হাজার হাজার শব্দ মনে রাখা সম্ভব।
এই ব্লগে আমরা জানব, কীভাবে আপনি দৈনন্দিন চর্চার মাধ্যমে ইংরেজি শব্দ সহজে ও দ্রুত মুখস্থ করতে পারেন।
✅ ১. শব্দের অর্থসহ শিখুন (বাংলা অনুবাদ করুন)
প্রথমেই শব্দ শেখার সময় বাংলা অর্থসহ শেখা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ নিজের মাতৃভাষা দিয়ে আপনি নতুন শব্দটি বাস্তব জীবনের সঙ্গে সংযোগ ঘটাতে পারবেন।
উদাহরণ:
Accurate = সঠিক
Challenge = চ্যালেঞ্জ/বাধা
Curious = কৌতূহলী
🔁 প্রতিদিন ১০টি করে শব্দ বাংলা অর্থসহ নোট করে মুখস্থ করুন।
✅ ২. Mnemonic বা শব্দ মনে রাখার কৌশল ব্যবহার করুন
Mnemonic হলো স্মরণীয় রিমাইন্ডার তৈরি করার পদ্ধতি। শব্দের সঙ্গে নিজস্ব কোনো সম্পর্ক তৈরি করলে তা সহজেই মনে থাকবে।
উদাহরণ:
Word: “Generous” → মনে রাখুন “Genuine + Rose” = Generous (যে ব্যক্তি সত্যিকারের ভালো, যেমন গোলাপের মতো উদার)
Word: “Benevolent” → “Ben is a kind person” → Benevolent = দয়ালু
✅ ৩. শব্দ দিয়ে বাক্য তৈরি করুন
শুধু অর্থ মুখস্থ করলেই হবে না, শব্দটি দিয়ে নিজে বাক্য বানান। এতে শব্দটির ব্যবহারিক জ্ঞান তৈরি হবে।
যেমন:
Word: Confident
Sentence: I feel confident before my exams.
বাংলা: পরীক্ষার আগে আমি আত্মবিশ্বাসী অনুভব করি।
👉 প্রতিটি শব্দ দিয়ে একটি করে নিজস্ব বাক্য তৈরি করুন।
✅ ৪. নিয়মিত রিভিশন দিন (Revision is Key)
মুখস্থ করা শব্দ ভুলে যাওয়া খুবই স্বাভাবিক। তাই সপ্তাহে অন্তত একদিন আগের শেখা শব্দগুলো রিভিশন দিন।
📅 রিভিশন রুটিন উদাহরণ:
শনিবার: নতুন ১০ শব্দ
রবিবার: আগের দিনের শব্দ + নতুন ১০
বুধবার: পুরো সপ্তাহের পুনরাবৃত্তি
✅ ৫. স্মার্টফোন অ্যাপস ব্যবহার করুন
বর্তমানে অনেক দারুণ অ্যাপস আছে যেগুলো দিয়ে আপনি গেম খেলে, কুইজ দিয়ে ও শুনে শুনে শব্দ মুখস্থ করতে পারবেন।
শ্রেষ্ঠ কিছু অ্যাপসঃ
WordUp Vocabulary (বাংলা ব্যাখ্যাসহ)
Quizlet (Flashcards বানিয়ে পড়া)
Anki (Spaced Repetition সিস্টেমে শেখা)
Memrise
✅ ৬. শব্দ চর্চার পরিবেশ তৈরি করুন
শব্দ মুখস্থ করতে গেলে শুধু বই পড়লেই হবে না। আপনার চারপাশে ইংরেজির ব্যবহার বাড়াতে হবে।
পরামর্শ:
ইংরেজি সাবটাইটেল দিয়ে মুভি দেখুন
ইউটিউবে “English Conversation with Subtitles” লিখে দেখুন
দৈনিক ৫টি ইংরেজি শব্দ ফেসবুকে লিখে পোস্ট করুন
✅ ৭. নিজের শেখার স্টাইল অনুসরণ করুন
সবাই একইভাবে শেখে না। আপনি যদি ভিজ্যুয়াল লার্নার হন, তাহলে শব্দের ছবি তৈরি করুন। শ্রবণশক্তিতে ভরসা করেন? তাহলে অডিও শুনে শিখুন।
উদাহরণ:
Picture-based Vocabulary
Spoken Word Practice
Group Study with Friends
💡 অতিরিক্ত টিপস:
✏️ একটি “ভোকাবুলারি ডায়েরি” রাখুন
🔄 Spaced Repetition সিস্টেম ব্যবহার করুন (বারবার কম ব্যবধানে শেখা)
📚 ফ্ল্যাশকার্ড তৈরি করুন (Quizlet/Anki)
🧠 প্রতিদিন নিজেকে ১০টি শব্দে কুইজ দিন
🧾 উপসংহার
ইংরেজি শব্দ মুখস্থ করার কৌশল মানে শুধু মুখস্থ নয়—তা হলো বুঝে, চর্চা করে এবং ব্যবহার করে শেখা। আপনার শেখার পদ্ধতি যদি মজাদার, নিয়মিত এবং নিজের লাইফস্টাইলের সঙ্গে মানানসই হয়, তবে শব্দ শেখা হবে অনেক সহজ, কার্যকর এবং দীর্ঘস্থায়ী।
ইংরেজি শব্দভান্ডার বৃদ্ধির সহজ উপায়: বেসিক ভোকাবুলারি কোর্স
ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা অর্জনের জন্য সমৃদ্ধ শব্দভান্ডার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক শব্দভান্ডার ছাড়া সহজভাবে কথা বলা, লেখা, এবং বোঝা কঠিন হয়ে পড়ে। তবে অনেকেই যথাযথ দিকনির্দেশনার অভাবে শব্দভান্ডার সমৃদ্ধ করতে পারেন না। এই সমস্যার সমাধানে বেসিক ভোকাবুলারি কোর্সহতে পারে আপনার জন্য একটি কার্যকর সমাধান।
বেসিক ভোকাবুলারি কোর্স
কোর্সের বৈশিষ্ট্যসমূহ
১. লাইভ ক্লাসের সুবিধা
প্রশিক্ষক ওয়াসিক বিল্লাহ আসিফ সরাসরি ক্লাস নেবেন, যেখানে আপনি ইন্টারঅ্যাকটিভভাবে অংশ নিতে পারবেন। শিক্ষকদের সঙ্গে সরাসরি আলোচনা ও প্রশ্ন করার সুযোগ থাকায় শেখার অভিজ্ঞতা আরও উন্নত হবে।
২. রেকর্ডেড সেশন
অনেক সময় ব্যস্ততার কারণে লাইভ ক্লাস মিস হয়ে যেতে পারে। তাই, এই কোর্সের প্রতিটি ক্লাস রেকর্ড করে সংরক্ষণ করা হয়, যাতে পরবর্তীতে যেকোনো সময় দেখে শেখার সুযোগ থাকে।
৩. পরীক্ষা ও মূল্যায়ন
কোনো কিছু শেখার পর সেটি মনে রাখার জন্য নিয়মিত মূল্যায়ন করা জরুরি। এই কোর্সে নিয়মিত কুইজ ও পরীক্ষার ব্যবস্থা রয়েছে, যা শেখা বিষয়গুলো আরও গভীরভাবে মনে রাখতে সাহায্য করবে।
৪. সার্টিফিকেট প্রদান
কোর্স শেষে সফল শিক্ষার্থীদের জন্য একটি স্বীকৃত সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়, যা ভবিষ্যতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যেতে পারে।
কেন এই কোর্সটি করবেন?
১. সহজ ও কার্যকর পদ্ধতি
এই কোর্সটি এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যাতে শিক্ষার্থীরা সহজেই নতুন শব্দ শিখতে ও মনে রাখতে পারেন। নতুন শব্দ শেখার পাশাপাশি সেগুলোর ব্যবহার ও প্রয়োগ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
২. বাংলা উচ্চারণসহ শব্দ শেখা
প্রত্যেকটি ইংরেজি শব্দের বাংলা উচ্চারণ ও অর্থ প্রদান করা হয়, যা শিক্ষার্থীদের শেখার প্রক্রিয়াকে আরও সহজ করে তোলে।
৩. নিয়মিত অনুশীলন ও হোমওয়ার্ক
শুধু শোনার মাধ্যমে নয়, শেখার পর তা প্রয়োগ করাটাই গুরুত্বপূর্ণ। তাই, এই কোর্সে নিয়মিত অনুশীলন ও হোমওয়ার্ক প্রদান করা হয়, যাতে শেখা শব্দগুলো দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহার করা যায়।
৪. বাস্তব জীবনে ব্যবহারের পরামর্শ
ইংরেজি শব্দভান্ডার বাড়ানোর জন্য বাস্তব জীবনে কিভাবে তা ব্যবহার করা যায় সে সম্পর্কে পরামর্শ প্রদান করা হয়। অফিসিয়াল ইমেইল লেখা, প্রেজেন্টেশন দেওয়া বা সাধারণ কথোপকথনের জন্য দরকারি শব্দ ও বাক্য শেখানো হয়।
এই কোর্সটি কাদের জন্য উপযোগী?
১. শিক্ষার্থী, যারা ইংরেজি দক্ষতা বাড়াতে চায়। 2. পেশাজীবী, যারা অফিসিয়াল কাজে ইংরেজি ব্যবহার করতে চান। 3. ফ্রিল্যান্সার, যারা আন্তর্জাতিক ক্লায়েন্টদের সঙ্গে ইংরেজিতে যোগাযোগ করতে চান। 4. সাধারণ আগ্রহী, যারা ব্যক্তিগত দক্ষতা বাড়াতে চান।
কোর্সে কীভাবে যোগদান করবেন?
এই চমৎকার কোর্সে যোগদানের জন্য নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে বিস্তারিত তথ্য ও রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানুন:
ইংরেজি শব্দভান্ডার বৃদ্ধির জন্য এই কোর্সটি আপনার জন্য হতে পারে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। সঠিক দিকনির্দেশনা ও নিয়মিত অনুশীলনের মাধ্যমে আপনি ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা অর্জন করতে সক্ষম হবেন। আজই নিবন্ধন করুন এবং নিজের ভাষাগত দক্ষতা আরও উন্নত করুন!
বিশ্ব মহাসাগর World Ocean) হল পৃথিবীর মহাসাগরীয় জলরাশির একটি আন্তঃসংযুক্ত ব্যবস্থা। মহাসাগর বা মহাসমুদ্র বা মহাসিন্ধু প্রভিতি অতি প্রকাণ্ড এবং লবণযুক্ত, প্রসারিত বিপুল জলরাশি যা পৃথিবীকে বেষ্টন করে আছে। মহাসাগর শব্দটি এসেছে গ্রীক শব্দ ওকিআনোজ থেকে। মহাসাগরীয় জলরাশি পৃথিবীর মোট আয়তনের ৩.৬১ ১০১৪ বর্গ মিটার প্রায় ৭০.৯% স্থান দখল করে আছে। এ বিপুল জলরাশি অনেকগুলো মহাসাগর এবং ছোট ছোট সমুদ্র, উপসাগরে বিভক্ত হয়ে আছে।
আজকের এই আলোচনায় আমরা মহাসাগরীয় জলরাশি তথা মহাসাগর, সাগর, উপসাগর ও হ্রদ কি এবং কিছু গুরুত্বপুর্ণ তথ্য জানব যা আমাদের জানার ইচ্ছা বা অজানা পৃথিবীর সম্পর্কে জ্ঞানকে যেমন প্রসারিত করবে তেমনি বিভিন্ন প্রতিযোগীতামূলক পরীক্ষার জন্যও প্রস্তুতি নিতে পারবেন। এই বিষয়ের কিছু গুরুত্বপুর্ণ তথ্য সাজিয়ে পিডিএফদেয়া আছে যা আপনারা ডাউনলোড করে পরীক্ষার জন্য রিভিসন দিতেও পারেন। চলুন তাহলে আমাদের কিছু প্রশ্নের উত্তর খুঁজি।
মহাসাগর, সাগর, উপসাগর ও হ্রদ সম্পর্কে গুরুত্বপুর্ণ তথ্য
মহাসাগরীয় জলরাশি কি?
মহাসাগরীয় জলরাশি বা মহাসাগর সম্পর্কে আমাদের বুঝতে হলে আগে বুঝতে হবে মহাদেশ কি, পৃথিবীর উপরিভাগের গঠন কেমন। অতি প্রকাণ্ড ও লবণযুক্ত বিপুল জলরাশি যা পৃথিবীকে বেষ্টন করে আছে। এবং মহাদেশগুলোকে পরস্পর থেকে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে।
আমরা জানি আমাদের পৃথিবীর উপরিভাগ সম্পুর্ণ গোলাকার বা মসৃণ নয়। কোথাও উঁচু পাহাড় আবার কোথাও অনেক গভীর জলরাশি। মহাদেশ বা আমাদের বসবাসের ভুমির মধ্যবর্তী সুগভীর ও বিশাল জলরাশিকেই মুলত মহাসাগর বা মহাসাগরীয় জলরাশি বলে।
মহাসাগর মুলত কাকে বলে?
অতি প্রকাণ্ড ও লবণযুক্ত বিপুল জলরাশি যা মুলত পৃথিবীকে বেষ্টন করে আছে, এবং মহাদেশগুলোকে বিভক্ত করে তাকেই মহাসাগর বা মহাসমুদ্র (Ocean) বলে। মহাসাগর জলভাগ পৃথিবীর মোট আয়তনের প্রায় ৭০.৯% অর্থাৎ পৃথিবীর তিনভাগ জল ও একভাগ স্থল রয়েছে। সুতরাং বুঝতে পারছেন একটি উম্নুক্ত বিশাল এলাকা জুড়ে বিস্তীর্ণ জায়গায় জল জমা হয়ে থাকলেই তা মহাসাগর হয়ে যায়।
পৃথিবীর একভাগ স্থলের মধ্যে ৭টি মহাদেশ রয়েছে। এবং বাকি অংশ জলে পরিপূর্ণ। এই জলটিকেই বিভিন্ন মহাসাগরে ভাগ করা হয়েছে। এবং আলাদা আলাদা নাম দেওয়া হয়েছে।
মহাসাগরের অর্ধেকের বেশী স্থানে গড় গভীরতা ৩,০০০ মিটার বা ৯,৮০০ বর্গফুটরেও বেশী। গড় লবণাক্তের পরিমান ৩.৫% এবং প্রায় সকল সমুদ্রের গড় লবণাক্ততা ৩% থেকে ৩.৮% থাকে। বৈজ্ঞানিকেরা হিসেব করে দেখেছেন, মহাসাগরে প্রায় ২,৩০,০০০ সামুদ্রিক এবং জলজ প্রাণীও আছে। প্রকৃতপক্ষে সামুদ্রিক ও জলজ প্রাণীর মোট সংখ্যা নির্ণিত সংখ্যার তুলনায় প্রায় ১০ গুণ বেশী হতে পারে বলে ধারনা করা হয়।
পৃথিবীর মোট মহাসাগর কয়টি ও কি কি?
বিজ্ঞানীরা পৃথিবীর এই বিশাল জলরাশিকে আলাদা আলাদা পাঁচটি ভাগে ভাগ করেছেন এবং প্রত্যেক আলাদা ভাগের নাম দিয়েছেন। এই ভাগগুলিকেই পাঁচটি মহাসাগর হিসেবে চিহ্নিত করা হয় অর্থাৎ বিশ্বে মোট পাঁচটি মহাসাগর রয়েছে। এর মধ্যে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় মহাসাগরের নাম হলো প্রশান্ত মহাসাগর এবং সবচেয়ে ছোট মহাসাগরের নাম হলো দক্ষিণ মহাসাগর। চলুন এবার পৃথিবীর ৫টি মহাসাগর সমন্ধে বিস্তারিত ও গুরুত্বপুর্ণ তথ্য জেনে নেই।
পৃথিবীর ৫টি মহাসাগর(আয়োতনে বৃহত্তম থেকে ক্ষুদ্রতম ক্রমে) হলো–
১. প্রশান্ত মহাসাগর (Pacific Ocean)
২. আটলান্টিক মহাসাগর (Atlantic Ocean)
৩. ভারত মহাসাগর (Indian Ocean)
৪. দক্ষিণ বা কুমেরু মহাসাগর (Southern Ocean)
৫. উত্তর বা সুমেরু মহাসাগর (Arctic Ocean)
সাগর কাকে বলে?
পৃথিবীর মোট সাগর কয়টি ও কি কি?
উপসাগর কাকে বলে?
পৃথিবীর উপসাগরগুলো কি কি?
হ্রদ কাকে বলে? কিভাবে চেনা যায় ?
পৃথিবীর হ্রদ আসলে কোনগুলো?
পৃথিবীর ৫টি মহাসাগর সমন্ধে বিস্তারিত ও গুরুত্বপুর্ণ তথ্য
বিশ্ব মহাসাগর World Ocean) হল পৃথিবীর মহাসাগরীয় জলরাশির একটি আন্তঃসংযুক্ত ব্যবস্থা। মহাসাগর বা মহাসমুদ্র বা মহাসিন্ধু প্রভিতি অতি প্রকাণ্ড এবং লবণযুক্ত, প্রসারিত বিপুল জলরাশি যা পৃথিবীকে বেষ্টন করে আছে। মহাসাগর শব্দটি এসেছে গ্রীক শব্দ ওকিআনোজ থেকে। মহাসাগরীয় জলরাশি পৃথিবীর মোট আয়তনের ৩.৬১ ১০১৪ বর্গ মিটার প্রায় ৭০.৯% স্থান দখল করে আছে। এ বিপুল জলরাশি অনেকগুলো মহাসাগর এবং ছোট ছোট সমুদ্র, উপসাগরে বিভক্ত হয়ে আছে।
আজকের এই আলোচনায় আমরা মহাসাগরীয় জলরাশি তথা মহাসাগর উপর সীমাবদ্ধ রাখব। কিছু গুরুত্বপুর্ণ তথ্য জানব যা আমাদের জানার ইচ্ছা বা অজানা পৃথিবীর সম্পর্কে জ্ঞানকে যেমন প্রসারিত করবে তেমনি বিভিন্ন প্রতিযোগীতামূলক পরীক্ষার জন্যও প্রস্তুতি নিতে পারবেন। এই বিষয়ের কিছু গুরুত্বপুর্ণ তথ্য সাজিয়ে পিডিএফদেয়া আছে যা আপনারা ডাউনলোড করে পরীক্ষার জন্য রিভিসন দিতেও পারেন। চলুন তাহলে আমাদের কিছু প্রশ্নের উত্তর খুঁজি।
পৃথিবীর ৫টি মহাসাগর সমন্ধে কিছু গুরুত্বপুর্ণ তথ্য
একসময় বর্তমানকালের মহাসাগরগুলোর আন্তঃসংযোগকৃত লবণাক্ত জলরাশি বৈশ্বিক মহাসাগর হিসেবে নির্দেশ করা হতো। মূলত মহাসাগর একটি। এ ধারণাটি অবিচ্ছেদ্য ও পারস্পরিক সম্পর্কযুক্ত এবং মুক্ত জলরাশির আন্তঃসংযোগে মহাসাগরীয়বিদ্যার মৌলিক গুরুত্বকেই এখানে তুলে ধরে। পাশ্চাত্য ভূগোলবিদরা তাদের নিজেদের সুবিধার্থে মহাসাগরকে ৫টি অংশে বিভক্ত করেছেন। মহাসাগরীয় বিভাজনসমূহ সংজ্ঞায়িত এবং মূল্যায়িত হয়েছে মহাদেশ মাটির স্তর এবং অন্যান্য শর্তাবলীর আংগিকে।
মহাসাগরীয় জলরাশি কি?
মহাসাগরীয় জলরাশি বা মহাসাগর সম্পর্কে আমাদের বুঝতে হলে আগে বুঝতে হবে মহাদেশ কি, পৃথিবীর উপরিভাগের গঠন কেমন। অতি প্রকাণ্ড ও লবণযুক্ত বিপুল জলরাশি যা পৃথিবীকে বেষ্টন করে আছে। এবং মহাদেশগুলোকে পরস্পর থেকে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে।
আমরা জানি আমাদের পৃথিবীর উপরিভাগ সম্পুর্ণ গোলাকার বা মসৃণ নয়। কোথাও উঁচু পাহাড় আবার কোথাও অনেক গভীর জলরাশি। মহাদেশ বা আমাদের বসবাসের ভুমির মধ্যবর্তী সুগভীর ও বিশাল জলরাশিকেই মুলত মহাসাগর বা মহাসাগরীয় জলরাশি বলে।
মহাসাগর মুলত কাকে বলে?
অতি প্রকাণ্ড ও লবণযুক্ত বিপুল জলরাশি যা মুলত পৃথিবীকে বেষ্টন করে আছে, এবং মহাদেশগুলোকে বিভক্ত করে তাকেই মহাসাগর বা মহাসমুদ্র (Ocean) বলে। মহাসাগর জলভাগ পৃথিবীর মোট আয়তনের প্রায় ৭০.৯% অর্থাৎ পৃথিবীর তিনভাগ জল ও একভাগ স্থল রয়েছে। সুতরাং বুঝতে পারছেন একটি উম্নুক্ত বিশাল এলাকা জুড়ে বিস্তীর্ণ জায়গায় জল জমা হয়ে থাকলেই তা মহাসাগর হয়ে যায়।
পৃথিবীর একভাগ স্থলের মধ্যে ৭টি মহাদেশ রয়েছে। এবং বাকি অংশ জলে পরিপূর্ণ। এই জলটিকেই বিভিন্ন মহাসাগরে ভাগ করা হয়েছে। এবং আলাদা আলাদা নাম দেওয়া হয়েছে।
মহাসাগরের অর্ধেকের বেশী স্থানে গড় গভীরতা ৩,০০০ মিটার বা ৯,৮০০ বর্গফুটরেও বেশী। গড় লবণাক্তের পরিমান ৩.৫% এবং প্রায় সকল সমুদ্রের গড় লবণাক্ততা ৩% থেকে ৩.৮% থাকে। বৈজ্ঞানিকেরা হিসেব করে দেখেছেন, মহাসাগরে প্রায় ২,৩০,০০০ সামুদ্রিক এবং জলজ প্রাণীও আছে। প্রকৃতপক্ষে সামুদ্রিক ও জলজ প্রাণীর মোট সংখ্যা নির্ণিত সংখ্যার তুলনায় প্রায় ১০ গুণ বেশী হতে পারে বলে ধারনা করা হয়।
পৃথিবীর মোট মহাসাগর কয়টি ও কি কি?
বিজ্ঞানীরা পৃথিবীর এই বিশাল জলরাশিকে আলাদা আলাদা পাঁচটি ভাগে ভাগ করেছেন এবং প্রত্যেক আলাদা ভাগের নাম দিয়েছেন। এই ভাগগুলিকেই পাঁচটি মহাসাগর হিসেবে চিহ্নিত করা হয় অর্থাৎ বিশ্বে মোট পাঁচটি মহাসাগর রয়েছে। এর মধ্যে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় মহাসাগরের নাম হলো প্রশান্ত মহাসাগর এবং সবচেয়ে ছোট মহাসাগরের নাম হলো দক্ষিণ মহাসাগর। চলুন এবার পৃথিবীর ৫টি মহাসাগর সমন্ধে বিস্তারিত ও গুরুত্বপুর্ণ তথ্য জেনে নেই।
পৃথিবীর ৫টি মহাসাগর(আয়োতনে বৃহত্তম থেকে ক্ষুদ্রতম ক্রমে) হলো–
১. প্রশান্ত মহাসাগর (Pacific Ocean)
২. আটলান্টিক মহাসাগর (Atlantic Ocean)
৩. ভারত মহাসাগর (Indian Ocean)
৪. দক্ষিণ বা কুমেরু মহাসাগর (Southern Ocean)
৫. উত্তর বা সুমেরু মহাসাগর (Arctic Ocean)
মহাসাগর- অতি প্রকাণ্ড ও লবণযুক্ত বিপুল জলরাশি যা মুলত পৃথিবীকে বেষ্টন করে আছে, এবং মহাদেশগুলোকে বিভক্ত করে তাকেই মহাসাগর বা মহাসমুদ্র (Ocean) বলে। অর্বিথাৎ বিস্তীর্ন বিশাল জলরাশি যার সীমা নির্ণয় করা প্রায় দু:সাধ্য তাকে বলে মহাসাগর। মহাসাগর বলতে বোঝায় কয়েকটি সাগরের মিলিত রূপ। তবে পৃথিবীতে মাত্র ৫ টি মহাসাগর রয়েছে। প্রশান্ত, ভারত, উত্তর মহাসাগর।
সাগর– মহাসাগরে চেয়ে ছোট কিন্তু বিস্তীর্ন জলরাশিকে সাগর বলে। মহাসাগরে চেয়ে ছোট বিস্তীর্ন জলরাশি হল সাগর বলে। সাগর হলো মহাদেশের উপকূলভাগে মহাসাগরের প্রান্তে অবস্থিত জলভাগ যা প্রাকৃতিকভাবে ভূ- প্রকৃতির দ্বারা মহাসাগর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে থাকে। তবে পৃথিবীর সকল সাগরই কোন না কোন মহাসাগরের অন্তর্ভুক্ত। পৃথিবীতে অসংখ্য সাগর রয়েছে। ভুমধ্যসাগর, আরব সাগর প্রভৃতি।
উপসাগর– যে সাগরে তিনদিক স্থল সীমানা দ্বারা পরিবেষ্টিত অর্থাৎ শুধু মাত্র একদিক উম্মুক্ত তাকে উপসাগর বলে। যেমন বঙ্গোপসাগর হল একটি উপসাগর যা পৃথিবীর মধ্যে সর্ববৃহৎ ।
হৃদ- চারদিকে স্থলভাগ দ্বারা পরিবেষ্টিত বিশাল জলরাশি। এটি প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্ট, অপেক্ষাকৃত বড় জলের অংশ যা শুষ্ক ভূমি দ্বারা বেষ্টিত একটি অববাহিকায় স্থানান্তরিত হয়। বৈকাল হ্রদ · ভিক্টোরিয়া হ্রদ · সুপিরিয়র হ্রদ প্রভৃতি হল হ্রদ।
পৃথিবীর ৫টি মহাসাগর সমন্ধে বিস্তারিত ও গুরুত্বপুর্ণ তথ্য
৫টি মহাসাগরের তথ্য-পিডিএফ
১. প্রশান্ত মহাসাগর
আয়তনের দিক থেকে পৃথিবীর বৃহত্তম ও গভীরতম মহাসাগর হলো প্রশান্ত মহাসাগর। এর আকৃতি বৃহদাকার বিষম ত্রিভুজের ন্যায়। এটি দক্ষিণ দিকে প্রশস্ত যা নিরক্ষরেখা বরাবর সবচেয়ে বেশি কিন্তু উত্তর দিকে ক্রমেই সংকীর্ণ। এছাড়াও এ মহাসাগরে রয়েছে কয়েকটি মালভূমি। এসব মালভূমির উপরিভাগ সমুদ্রের উপর উত্থিত হওয়ার ফলে এখানে বহুসংখ্যক দ্বীপের সৃষ্টি করেছে। যার মধ্যে রয়েছে পশ্চিমে কিউরাইল দ্বীপপুঞ্জ, ফিলিপাইন, জাপান, ইন্দোনেশিয়া, নিউজিল্যান্ডসহ বড় বড় অনেক দ্বীপপুঞ্জ।
এছাড়াও নিউহেবরাইডস, ফিজি, নাউরু, কিরিবাতি,মার্শাল, সোলোমন, হাওয়াই, অলিউশিয়ান প্রভৃতি। এ মহাসাগরের পশ্চিমে ওখটস্ক সাগর, পীত সাগর, পূর্বচীন সাগর এবং উত্তর দিকে বেরিং প্রণালি দ্বারা মহাসাগরের মহীঢাল ক্রমশ অধিক ঢালু হয়ে সমুদ্রের তলদেশ পর্যন্ত বিস্তৃত।
অবস্থান : প্রশান্ত মহাসাগের পূর্বে উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশ, পশ্চিমে এশিয়া ও ওসেনিয়া মহাদেশ অবস্থিত।
আয়তন : এ মহাসাগর আয়তনে সর্বাপেক্ষা বৃহত্তর । এর মোট আয়তন প্রায় ১৬৫.৪ মিলিয়ন বর্গকিলোমিটার বা ১৬ কোটি ৬০ লক্ষ বর্গ কিলোমিটার; যা সমস্ত ভূপৃষ্ঠের প্রায় – অংশ জুড়ে বিস্তৃত।
গভীরতা : প্রশান্ত মহাসাগরে সর্বোচ্চ গভীরতা ৩৫,৯৫৮ ফুট এবং গড় গভীরতা ১৪,০০০ ফুট যা পৃথিবীর গভীরতমও বটে।
একনজরে প্রশান্ত মহাসাগরের কিছু গুরুত্তপুর্ণ তথ্য-
মোট আয়তন
১৬ কোটি ৬০ লক্ষ বর্গ কিলোমিটার
গড় গভীরতা
৪২৭০ মিটার
আকৃতি
ত্রিভুজের মত (Tringle Shaped)
সর্বোচ্চ গভীরতম খাদ
মারিয়ানা ট্রেন্স বা খাদ (Mariana Trench)
খাদের দৈর্ঘ
২২৫০ কিলোমিটার
খাদের গভীরতম স্থান
চ্যালেঞ্জার ডিপ ( Challenger Deep)
গভীরতম স্থানের গভীরতা
৭০ কিলোমিটার
অবস্থান
এটি পৃথিবীর বৃহত্তম মহাসাগর। এশিয়া ও অস্ট্রেলিয়ার সাথে দুই আমেরিকাকে পৃথক করে।
নিরক্ষরেখা সাপেক্ষে এটি আবার উত্তর গোলার্ধে উত্তর প্রশান্ত মহাসাগর ও দক্ষিণ গোলার্ধে
দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরে বিভক্ত।
দ্বীপপুঞ্জ বা দ্বীপরাষ্ট্র
ফিলিপাইন, পাপুয়া নিউগিনি, পালাউ, লাউরু এবং সালোমন দ্বীপপুঞ্জ
২. আটলান্টিক মহাসাগর
আটলান্টিক মহাসাগর পৃথিবীর মধ্যে দ্বিতীয় বৃহত্তম মহাসাগর। এর আকৃতি অনেকটা ইংরেজি ‘S’ অক্ষরের মত। এ মহাসাগরটি নিরক্ষরেখার কাছে সর্বাধিক সংকীর্ণ এবং নিরক্ষরেখা থেকে উত্তরে ও দক্ষিণে ক্রমশ চওড়া হয়ে অবস্থিত। মহাসাগরটির মধ্যভাগ দিয়ে নিরক্ষরেখা অতিক্রম করে তাই নিরক্ষরেখার উত্তর অংশকে উত্তর আটলান্টিক এবং দক্ষিণ অংশকে দক্ষিণ আটলান্টিক মহাসাগর বলা হয়। আটলান্টিক শৈলশিরা নামে মহাসাগরের মধ্যভাগে এক বিশাল শৈলশিরা অবস্থিত।
এছাড়া ওয়ালভিস শৈলশিরা, চ্যালেঞ্জার শৈলশিরা, রিও গ্যান্ড শৈলশিরা, ডলফিন শৈলশিরা প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য। এ মহাসাগরের দ্বীপগুলো বেশিরভাগই উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকার মধ্যবর্তীতে অবস্থিত। দ্বীপগুলোর মধ্যে পশ্চিম ভারতীয় দ্বীপপুঞ্জ, ব্রিটিশ দ্বীপপুঞ্জ, বারমুডা, নিউফাইন্ডল্যান্ড, ক্যানারি, ত্রিনিদাদ, ক্যাপভার্দে প্রভৃতি প্রধান ভাবে উল্লেখ্যযোগ্য। এ মহাসাগরে সাগর ও উপসাগরের মধ্যে উত্তর সাগর, বাল্টিক সাগর, অ্যাড্রিয়াটিক সাগর, বাফিন সাগর, বিস্কে উপসাগর, মেক্সিকো উপসাগর, ভূমধ্যসাগর, ক্যারিবিয়ান সাগর প্রভৃতি প্রধান প্রধান সাগর।
অবস্থান : আটলান্টিক মহাসাগর ইউরোপ ও আফ্রিকার পশ্চিমে এবং উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকার পূর্বে অবস্থিত।
আয়তন : এ মহাসাগরের মোট আয়তন ৮২.২ মিলিয়ন বর্গকিলোমিটার; যা মহাসাগরগুলোর মধ্যে দ্বিতীয় বৃহত্তম।
গভীরতা : এ মহাসাগরের সর্বাধিক গভীরতা প্রায় ৩০,১৪৩ ফুট এবং গড় গভীরতা প্রায় ১২,০০০ ফুট হিসাব করা হয়েছে।
একনজরে আটলান্টিক মহাসাগরের কিছু গুরুত্তপুর্ণ তথ্য-
মোট আয়তন
৮ কোটি ২৪ লক্ষ বর্গ কিলোমিটার
গড় গভীরতা
৩৯৩২ মিটার
আকৃতি
“S” আকৃতির ( “S” -shaped)
সর্বোচ্চ গভীরতম খাদ
পুয়ের্তো রিকো খাত (Puerto Rico Stretch)
খাদের দৈর্ঘ
৮০০ কিলোমিটার (৪৯৭ মাইল) দীর্ঘ
খাদের গভীরতম স্থান
মিওয়ার্কি ডিপ
গভীরতম স্থানের গভীরতা
সর্বোচ্চ গভীরতা ৮,৩৭৬ মিটার (২৭,৪৮০ফুট)
অবস্থান
এটি পৃথিবীর ২য় বৃহত্তম মহাসাগর। পূর্বদিকে ইউরোপ এবং আফ্রিকা এবং
পশ্চিমে আমেরিকার অঞ্চলের মধ্যবর্তী অঞ্চলে দীর্ঘায়িত।
ভারত মহাসাগরের আকৃতি উত্তর দিক হতে ক্রমশ দক্ষিণে প্রশস্ত। এ মহাসাগরে কটি গভীরতম খাত হল ‘সুন্ডাখাত’। এ মহাসাগরের উল্লেখযোগ্য দ্বীপগুলোর মধ্যে শ্রীলঙ্কা, আন্দামান, নিকোবর, লাক্ষা দ্বীপ, মাদাগাস্কার, মালদ্বীপ, সিসিলি প্রভৃতি প্রধান। এ সহাসাগরে মধ্যে সাগর ও মহাসাগরের সংখ্যা কম। আরব সাগর, পারস্য উপসাগর, লোহিতসাগর, বঙ্গোপসাগর প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য সাগর।
অবস্থান : ভারত মহাসাগর এশিয়ার দক্ষিণে, আফ্রিকার পূর্বে, ওসেনিয়ার পশ্চিমে, এন্টার্কটিকার উত্তরে অবস্থিত।
গভীরতা : ভারত মহাসাগরের সর্বাধিক গভীরতা ২৪,০০০ ফুট এবং গড় গভীরতা ১২,৮০০ ফুট।
একনজরে ভারত মহাসাগরের কিছু গুরুত্তপুর্ণ তথ্য-
মোট আয়তন
৭ কোটি ৩৬ লক্ষ বর্গ কিলোমিটার
গড় গভীরতা
৩৯৬২ মিটার
আকৃতি
প্রায় বৃত্তাকার
সর্বোচ্চ গভীরতম খাদ
সুন্ডা খাত (Sunda Trench)- পুর্ব নাম জাভা খাদ (Java Trench)
খাদের দৈর্ঘ
৩২০০ কিলোমিটার দীর্ঘ
খাদের গভীরতম স্থান
সুন্ডা খাত
গভীরতম স্থানের গভীরতা
সর্বোচ্চ গভীরতা ৭২৯০ মিটার
অবস্থান
এই মহাসাগরের উত্তর সীমায় রয়েছে ভারতীয় উপমহাদেশ; পশ্চিমে রয়েছে পূর্ব আফ্রিকা;
পূর্বে রয়েছে ইন্দোচীন, সুন্দা দ্বীপপুঞ্জ ও অস্ট্রেলিয়া।
এটি পৃথিবীর ৩য় বৃহত্তম মহাসাগর।
দ্বীপপুঞ্জ বা দ্বীপরাষ্ট্র
মাদাগাস্কার (বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম দ্বীপ),ইন্দোনেশিয়া, কোমোরোস, সেশেল, মালদ্বীপ, মরিশাস ও শ্রীলঙ্কা।
কুমেরু বা দক্ষিণ মহাসাগর
কুমেরু মহাসাগরটির আকৃতিও অনেকটা বৃত্তাকার এবং মহাসাগরটি প্রায়ই বরফে আবৃত রয়েছে। সাগর মহাসাগরের মধ্যে রস সাগর, ওয়েডেল সাগর, এ্যামুন্ডসন সাগর প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।
অবস্থান : কুমেরু ৰা দক্ষিণ বা অ্যান্টার্কটিকা মহাসাগরটি এন্টার্কটিকা মহাদেশে উত্তরাংশের চারদিকে বেষ্টন করে অবস্থিত।
আয়তন : অ্যান্টার্কটিকা মহাসাগরের আয়তন প্রায় ১৪.৮ মিলিয়ন বর্গকিলোমিটার; যা মহাসাগরগুলো মধ্যে ৪র্থ।
গভীরতা : কুমেরু মহাসাগরটির সর্বাধিক গভীরতা প্রায় ১৮,৭৯৪ ফুট এবং গড় গভীরতা প্রায় ৪,৯২০ ফুট।
একনজরে কুমেরু বা দক্ষিণ মহাসাগরের কিছু গুরুত্তপুর্ণ তথ্য-
মোট আয়তন
১ কোটি ৪৭ লক্ষ বর্গ কিলোমিটার
গড় গভীরতা
গড় গভীরতা ১৪৯ মিটার
আকৃতি
প্রায় অর্ধ গোলাকার
সর্বোচ্চ গভীরতম খাদ
দক্ষিণ স্যান্ডউইচ ট্রেঞ্চ (South Sandwich Trench)
গভীরতম স্থানের গভীরতা
৭,৪৩৪ মিটার (২৪,৩৯০ ফু)
অবস্থান
দক্ষিণতম জল নিয়ে গঠিত, ৬০° দক্ষিণ অক্ষাংশের দক্ষিণদিকে অবস্থিত
এবং অ্যান্টার্কটিকাকে ঘিরে রয়েছে।
৫. সুমেরু বা উত্তর মহাসাগর
সুমেরু বা উত্তর বা আরটিক মহাসাগরটির আকৃতি অনেকটা বৃত্তাকার। এ মহাসাগরের অধিকাংশ স্থানই বরফ দ্বারা আবৃত। এ মহাসাগরে ক্ষুদ্র ও বৃহৎ কিছু দ্বীপপুঞ্জ রয়েছে যার অধিকাংশই কানাডা, সাইবেরিয়া প্রভৃতি ভূখণ্ডের নিমজ্জিত অংশ নিয়ে গঠিত। সাগর উপসাগরের মধ্যে পূর্ব সাইবেরিয়ার সাগর, ব্যারেন্ট সাগর, কারা সাগর, ল্যাপটিভ সাগর প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।
অবস্থান : প্রায় স্থলভাগ দ্বারা বেষ্টিত সুমেরু বা উত্তর মহাসাগরটি সুমেরু বৃত্তের মধ্যে অবস্থিত; যার দক্ষিণ ভাগ উত্তর আমেরিকার কানাডা, গ্রিণল্যান্ড এবং ইউরোপ দ্বারা বেষ্টিত রয়েছে।
আয়তন : সুমেরু বা উত্তর মহাসাগরটির মোট আয়তন প্রায় ১৫ মিলিয়ন বর্গকিলোমিটার; যা মহাসাগরগুলোর মধ্যে পঞ্চম।
গভীরতা : এ মহাসাগরের সর্বাধিক গভীরতা প্রায় ১৮,০০০ ফুট এবং গভীরতা প্রায় ২,৭০০ ফুট।
একনজরে উত্তর মহাসাগরের কিছু গুরুত্তপুর্ণ তথ্য-
মোট আয়তন
১ কোটি ৪০ লক্ষ বর্গ কিলোমিটার
গড় গভীরতা
৮২৪ মিটার বা ১,০৩৮
আকৃতি
মোটামুটি বৃত্তাকার
সর্বোচ্চ গভীরতম
ফ্র্যাম প্রণালীর মোলোয় অববাহিকা
গভীরতম স্থানের গভীরতা
৫,৫৫০ মি (১৮,২১০ ফু)
অবস্থান
উত্তর মহাসাগর বা সুমেরু মহাসাগর উত্তর গোলার্ধের সুমেরু অঞ্চলে অবস্থিত বিশ্বের ক্ষুদ্রতম
এবং সর্বাপেক্ষা কম গভীর একটি মহাসাগর। এটি পৃথিবীর ক্ষুদ্রতম মহাসাগর।
এটি পৃথিবীর বৃহত্তম মহাসাগর। এশিয়া ও অস্ট্রেলিয়ার সাথে দুই আমেরিকাকে পৃথক করে।
নিরক্ষরেখা সাপেক্ষে এটি আবার উত্তর গোলার্ধে উত্তর প্রশান্ত মহাসাগর ও দক্ষিণ গোলার্ধে
দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরে বিভক্ত।
দ্বীপপুঞ্জ বা দ্বীপরাষ্ট্র
ফিলিপাইন, পাপুয়া নিউগিনি, পালাউ, লাউরু এবং সালোমন দ্বীপপুঞ্জ
সুন্ডা খাত (Sunda Trench)- পুর্ব নাম জাভা খাদ (Java Trench)
খাদের দৈর্ঘ
৩২০০ কিলোমিটার দীর্ঘ
খাদের গভীরতম স্থান
সুন্ডা খাত
গভীরতম স্থানের গভীরতা
সর্বোচ্চ গভীরতা ৭২৯০ মিটার
অবস্থান
এই মহাসাগরের উত্তর সীমায় রয়েছে ভারতীয় উপমহাদেশ; পশ্চিমে রয়েছে পূর্ব আফ্রিকা;
পূর্বে রয়েছে ইন্দোচীন, সুন্দা দ্বীপপুঞ্জ ও অস্ট্রেলিয়া।
এটি পৃথিবীর ৩য় বৃহত্তম মহাসাগর।
দ্বীপপুঞ্জ বা দ্বীপরাষ্ট্র
মাদাগাস্কার (বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম দ্বীপ),ইন্দোনেশিয়া, কোমোরোস, সেশেল, মালদ্বীপ, মরিশাস ও শ্রীলঙ্কা।
নাম
অ্যান্টার্কটিকা বা দক্ষিণ মহাসাগর/ Antarctic or Southern Ocean
মোট আয়তন
১ কোটি ৪৭ লক্ষ বর্গ কিলোমিটার
গড় গভীরতা
গড় গভীরতা ১৪৯ মিটার
আকৃতি
প্রায় অর্ধ গোলাকার
সর্বোচ্চ গভীরতম খাদ
দক্ষিণ স্যান্ডউইচ ট্রেঞ্চ (South Sandwich Trench)
গভীরতম স্থানের গভীরতা
৭,৪৩৪ মিটার (২৪,৩৯০ ফু)
অবস্থান
দক্ষিণতম জল নিয়ে গঠিত, ৬০° দক্ষিণ অক্ষাংশের দক্ষিণদিকে অবস্থিত
এবং অ্যান্টার্কটিকাকে ঘিরে রয়েছে।
নাম
আর্কটিক বা সুমেরু বা উত্তর মহাসাগর/ Artic or Northern Ocean
মোট আয়তন
১ কোটি ৪০ লক্ষ বর্গ কিলোমিটার
গড় গভীরতা
৮২৪ মিটার বা ১,০৩৮
আকৃতি
মোটামুটি বৃত্তাকার
সর্বোচ্চ গভীরতম
ফ্র্যাম প্রণালীর মোলোয় অববাহিকা
গভীরতম স্থানের গভীরতা
৫,৫৫০ মি (১৮,২১০ ফু)
অবস্থান
উত্তর মহাসাগর বা সুমেরু মহাসাগর উত্তর গোলার্ধের সুমেরু অঞ্চলে অবস্থিত বিশ্বের ক্ষুদ্রতম
এবং সর্বাপেক্ষা কম গভীর একটি মহাসাগর। এটি পৃথিবীর ক্ষুদ্রতম মহাসাগর।
পৃথিবীর ৫টি মহাসাগরের সংক্ষিপ্ত ও গুরুত্বপুর্ণ তথ্য
নাম
প্রশান্ত মহাসাগর/ Pacific Ocean
মোট আয়তন
১৬ কোটি ৬০ লক্ষ বর্গ কিলোমিটার
গড় গভীরতা
৪২৭০ মিটার
আকৃতি
ত্রিভুজের মত (Tringle Shaped)
সর্বোচ্চ গভীরতম খাদ
মারিয়ানা ট্রেন্স বা খাদ (Mariana Trench)
খাদের দৈর্ঘ
২২৫০ কিলোমিটার
খাদের গভীরতম স্থান
চ্যালেঞ্জার ডিপ ( Challenger Deep)
গভীরতম স্থানের গভীরতা
৭০ কিলোমিটার
অবস্থান
এটি পৃথিবীর বৃহত্তম মহাসাগর। এশিয়া ও অস্ট্রেলিয়ার সাথে দুই আমেরিকাকে পৃথক করে। নিরক্ষরেখা সাপেক্ষে এটি আবার উত্তর গোলার্ধে উত্তর প্রশান্ত মহাসাগর ও দক্ষিণ গোলার্ধে দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরে বিভক্ত।
দ্বীপপুঞ্জ বা দ্বীপরাষ্ট্র
ফিলিপাইন, পাপুয়া নিউগিনি, পালাউ, লাউরু এবং সালোমন দ্বীপপুঞ্জ
সুন্ডা খাত (Sunda Trench)- পুর্ব নাম জাভা খাদ (Java Trench)
খাদের দৈর্ঘ
৩২০০ কিলোমিটার দীর্ঘ
খাদের গভীরতম স্থান
সুন্ডা খাত
গভীরতম স্থানের গভীরতা
সর্বোচ্চ গভীরতা ৭২৯০ মিটার
অবস্থান
এই মহাসাগরের উত্তর সীমায় রয়েছে ভারতীয় উপমহাদেশ; পশ্চিমে রয়েছে পূর্ব আফ্রিকা; পূর্বে রয়েছে ইন্দোচীন, সুন্দা দ্বীপপুঞ্জ ও অস্ট্রেলিয়া।
এটি পৃথিবীর ৩য় বৃহত্তম মহাসাগর।
দ্বীপপুঞ্জ বা দ্বীপরাষ্ট্র
মাদাগাস্কার (বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম দ্বীপ),ইন্দোনেশিয়া, কোমোরোস, সেশেল, মালদ্বীপ, মরিশাস ও শ্রীলঙ্কা।
নাম
অ্যান্টার্কটিকা বা দক্ষিণ মহাসাগর/ Antarctic or Southern Ocean
মোট আয়তন
১ কোটি ৪৭ লক্ষ বর্গ কিলোমিটার
গড় গভীরতা
গড় গভীরতা ১৪৯ মিটার
আকৃতি
প্রায় অর্ধ গোলাকার
সর্বোচ্চ গভীরতম খাদ
দক্ষিণ স্যান্ডউইচ ট্রেঞ্চ (South Sandwich Trench)
গভীরতম স্থানের গভীরতা
৭,৪৩৪ মিটার (২৪,৩৯০ ফু)
অবস্থান
দক্ষিণতম জল নিয়ে গঠিত, ৬০° দক্ষিণ অক্ষাংশের দক্ষিণদিকে অবস্থিত এবং অ্যান্টার্কটিকাকে ঘিরে রয়েছে।
নাম
আর্কটিক বা সুমেরু বা উত্তর মহাসাগর/ Artic or Northern Ocean
মোট আয়তন
১ কোটি ৪০ লক্ষ বর্গ কিলোমিটার
গড় গভীরতা
৮২৪ মিটার বা ১,০৩৮
আকৃতি
মোটামুটি বৃত্তাকার
সর্বোচ্চ গভীরতম
ফ্র্যাম প্রণালীর মোলোয় অববাহিকা
গভীরতম স্থানের গভীরতা
৫,৫৫০ মি (১৮,২১০ ফু)
অবস্থান
উত্তর মহাসাগর বা সুমেরু মহাসাগর উত্তর গোলার্ধের সুমেরু অঞ্চলে অবস্থিত বিশ্বের ক্ষুদ্রতম এবং সর্বাপেক্ষা কম গভীর একটি মহাসাগর। এটি পৃথিবীর ক্ষুদ্রতম মহাসাগর।