Recent Updates
Author

Bangla Note Boi

Browsing

বিশ্ব মহাসাগর  World Ocean) হল পৃথিবীর মহাসাগরীয় জলরাশির একটি আন্তঃসংযুক্ত ব্যবস্থা। মহাসাগর বা মহাসমুদ্র বা মহাসিন্ধু প্রভিতি অতি প্রকাণ্ড এবং লবণযুক্ত, প্রসারিত বিপুল জলরাশি যা পৃথিবীকে বেষ্টন করে আছে। মহাসাগর শব্দটি এসেছে গ্রীক শব্দ ওকিআনোজ থেকে। মহাসাগরীয় জলরাশি পৃথিবীর মোট আয়তনের ৩.৬১ ১০১৪ বর্গ মিটার প্রায় ৭০.৯% স্থান দখল করে আছে। এ বিপুল জলরাশি  অনেকগুলো মহাসাগর এবং ছোট ছোট সমুদ্র, উপসাগরে বিভক্ত হয়ে আছে।

৫টি মহাসাগর সমন্ধে গুরুত্বপুর্ণ তথ্যের পিডিএফ ।। ডাইনলোড করুন

আজকের এই আলোচনায় আমরা মহাসাগরীয় জলরাশি তথা মহাসাগর উপর সীমাবদ্ধ রাখব। কিছু গুরুত্বপুর্ণ তথ্য জানব যা আমাদের জানার ইচ্ছা বা অজানা পৃথিবীর সম্পর্কে জ্ঞানকে যেমন প্রসারিত করবে তেমনি বিভিন্ন প্রতিযোগীতামূলক পরীক্ষার জন্যও প্রস্তুতি নিতে পারবেন। এই বিষয়ের কিছু গুরুত্বপুর্ণ তথ্য সাজিয়ে পিডিএফ দেয়া আছে যা আপনারা ডাউনলোড করে পরীক্ষার জন্য রিভিসন দিতেও পারেন। চলুন তাহলে আমাদের কিছু প্রশ্নের উত্তর খুঁজি।

পৃথিবীর ৫টি মহাসাগর সমন্ধে কিছু গুরুত্বপুর্ণ তথ্য

একসময় বর্তমানকালের মহাসাগরগুলোর আন্তঃসংযোগকৃত লবণাক্ত জলরাশি বৈশ্বিক মহাসাগর হিসেবে নির্দেশ করা হতো। মূলত মহাসাগর একটি। এ ধারণাটি অবিচ্ছেদ্য ও পারস্পরিক সম্পর্কযুক্ত এবং মুক্ত জলরাশির আন্তঃসংযোগে মহাসাগরীয়বিদ্যার মৌলিক গুরুত্বকেই এখানে তুলে ধরে। পাশ্চাত্য ভূগোলবিদরা তাদের নিজেদের সুবিধার্থে মহাসাগরকে ৫টি অংশে বিভক্ত করেছেন। মহাসাগরীয় বিভাজনসমূহ সংজ্ঞায়িত এবং মূল্যায়িত হয়েছে মহাদেশ মাটির স্তর এবং অন্যান্য শর্তাবলীর আংগিকে।

মহাসাগরীয় জলরাশি কি?

মহাসাগরীয় জলরাশি বা মহাসাগর সম্পর্কে আমাদের বুঝতে হলে আগে বুঝতে হবে মহাদেশ কি, পৃথিবীর উপরিভাগের গঠন কেমন। অতি প্রকাণ্ড ও লবণযুক্ত বিপুল জলরাশি যা পৃথিবীকে বেষ্টন করে আছে। এবং মহাদেশগুলোকে পরস্পর থেকে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে।

আমরা জানি আমাদের পৃথিবীর উপরিভাগ সম্পুর্ণ গোলাকার বা মসৃণ নয়। কোথাও উঁচু পাহাড় আবার কোথাও অনেক গভীর জলরাশি। মহাদেশ বা আমাদের বসবাসের ভুমির মধ্যবর্তী সুগভীর ও বিশাল জলরাশিকেই মুলত মহাসাগর বা মহাসাগরীয় জলরাশি বলে

মহাসাগর মুলত কাকে বলে?

অতি প্রকাণ্ড ও লবণযুক্ত বিপুল জলরাশি যা মুলত পৃথিবীকে বেষ্টন করে আছে, এবং মহাদেশগুলোকে বিভক্ত করে তাকেই মহাসাগর বা মহাসমুদ্র (Ocean) বলে। মহাসাগর জলভাগ পৃথিবীর মোট আয়তনের প্রায় ৭০.৯% অর্থাৎ পৃথিবীর তিনভাগ জল ও একভাগ স্থল রয়েছে। সুতরাং বুঝতে পারছেন একটি উম্নুক্ত বিশাল এলাকা জুড়ে বিস্তীর্ণ জায়গায় জল জমা হয়ে থাকলেই তা মহাসাগর হয়ে যায়।

পৃথিবীর একভাগ স্থলের মধ্যে ৭টি মহাদেশ রয়েছে। এবং বাকি অংশ জলে পরিপূর্ণ। এই জলটিকেই বিভিন্ন মহাসাগরে ভাগ করা হয়েছে। এবং আলাদা আলাদা নাম দেওয়া হয়েছে।

মহাসাগরের অর্ধেকের বেশী স্থানে গড় গভীরতা ৩,০০০ মিটার বা ৯,৮০০ বর্গফুটরেও বেশী। গড় লবণাক্তের পরিমান ৩.৫% এবং প্রায় সকল সমুদ্রের গড় লবণাক্ততা ৩% থেকে ৩.৮% থাকে। বৈজ্ঞানিকেরা হিসেব করে দেখেছেন, মহাসাগরে প্রায় ২,৩০,০০০ সামুদ্রিক এবং জলজ প্রাণীও আছে। প্রকৃতপক্ষে সামুদ্রিক ও জলজ প্রাণীর মোট সংখ্যা নির্ণিত সংখ্যার তুলনায় প্রায় ১০ গুণ বেশী হতে পারে বলে ধারনা করা হয়।

পৃথিবীর মোট মহাসাগর কয়টি ও কি কি?

বিজ্ঞানীরা পৃথিবীর এই বিশাল জলরাশিকে আলাদা আলাদা পাঁচটি ভাগে ভাগ করেছেন এবং প্রত্যেক আলাদা ভাগের নাম দিয়েছেন। এই ভাগগুলিকেই পাঁচটি মহাসাগর হিসেবে চিহ্নিত করা হয় অর্থাৎ বিশ্বে মোট পাঁচটি মহাসাগর রয়েছে। এর মধ্যে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় মহাসাগরের নাম হলো প্রশান্ত মহাসাগর এবং সবচেয়ে ছোট মহাসাগরের নাম হলো দক্ষিণ মহাসাগর। চলুন এবার পৃথিবীর ৫টি মহাসাগর সমন্ধে বিস্তারিত ও গুরুত্বপুর্ণ তথ্য জেনে নেই।

পৃথিবীর ৫টি মহাসাগর(আয়োতনে বৃহত্তম থেকে ক্ষুদ্রতম ক্রমে) হলো–
১. প্রশান্ত মহাসাগর (Pacific Ocean)
২. আটলান্টিক মহাসাগর (Atlantic Ocean)
৩. ভারত মহাসাগর (Indian Ocean)
৪. দক্ষিণ বা কুমেরু মহাসাগর (Southern Ocean)
৫. উত্তর বা সুমেরু মহাসাগর (Arctic Ocean)

৫টি মহাসাগর সমন্ধে গুরুত্বপুর্ণ তথ্যের পিডিএফ ।। ডাইনলোড করুন

মহাসাগর, সাগর, উপসাগর ও হ্রদ কি এবং গুরুত্বপুর্ণ তথ্য পিডিএফ সহ 

মহাসাগর, সাগর,  উপসাগ ও হৃদ -এর পার্থ্যক্য কি?

সাগর-মহাসাগরের তথ্য-পিডিএফ
সাগর-মহাসাগরের তথ্য

মহাসাগর- অতি প্রকাণ্ড ও লবণযুক্ত বিপুল জলরাশি যা মুলত পৃথিবীকে বেষ্টন করে আছে, এবং মহাদেশগুলোকে বিভক্ত করে তাকেই মহাসাগর বা মহাসমুদ্র (Ocean) বলে। অর্বিথাৎ বিস্তীর্ন বিশাল জলরাশি যার সীমা নির্ণয় করা প্রায় দু:সাধ্য তাকে বলে মহাসাগর। মহাসাগর বলতে বোঝায় কয়েকটি সাগরের মিলিত রূপ। তবে পৃথিবীতে মাত্র ৫ টি মহাসাগর রয়েছে। প্রশান্ত, ভারত, উত্তর মহাসাগর।

সাগর– মহাসাগরে চেয়ে ছোট কিন্তু বিস্তীর্ন জলরাশিকে সাগর বলে। মহাসাগরে চেয়ে ছোট বিস্তীর্ন জলরাশি হল সাগর বলে। সাগর হলো মহাদেশের উপকূলভাগে মহাসাগরের প্রান্তে অবস্থিত জলভাগ যা প্রাকৃতিকভাবে ভূ- প্রকৃতির দ্বারা মহাসাগর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে থাকে। তবে পৃথিবীর সকল সাগরই কোন না কোন মহাসাগরের অন্তর্ভুক্ত। পৃথিবীতে অসংখ্য সাগর রয়েছে। ভুমধ্যসাগর, আরব সাগর প্রভৃতি।

উপসাগর– যে সাগরে তিনদিক স্থল সীমানা দ্বারা পরিবেষ্টিত অর্থাৎ শুধু মাত্র একদিক উম্মুক্ত তাকে উপসাগর বলে। যেমন বঙ্গোপসাগর হল একটি উপসাগর যা পৃথিবীর মধ্যে সর্ববৃহৎ ।

হৃদ- চারদিকে স্থলভাগ দ্বারা পরিবেষ্টিত বিশাল জলরাশি। এটি প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্ট, অপেক্ষাকৃত বড় জলের অংশ যা শুষ্ক ভূমি দ্বারা বেষ্টিত একটি অববাহিকায় স্থানান্তরিত হয়। বৈকাল হ্রদ · ‎ভিক্টোরিয়া হ্রদ · ‎সুপিরিয়র হ্রদ প্রভৃতি হল হ্রদ।

পৃথিবীর ৫টি মহাসাগর সমন্ধে বিস্তারিত ও গুরুত্বপুর্ণ তথ্য

৫টি মহাসাগরের তথ্য-পিডিএফ
৫টি মহাসাগরের তথ্য-পিডিএফ

১. প্রশান্ত মহাসাগর

আয়তনের দিক থেকে পৃথিবীর বৃহত্তম ও গভীরতম মহাসাগর হলো প্রশান্ত মহাসাগর। এর আকৃতি বৃহদাকার বিষম ত্রিভুজের ন্যায়। এটি দক্ষিণ দিকে প্রশস্ত যা নিরক্ষরেখা বরাবর সবচেয়ে বেশি কিন্তু উত্তর দিকে ক্রমেই সংকীর্ণ।  এছাড়াও এ মহাসাগরে রয়েছে কয়েকটি মালভূমি। এসব মালভূমির উপরিভাগ সমুদ্রের উপর উত্থিত হওয়ার ফলে এখানে বহুসংখ্যক দ্বীপের সৃষ্টি করেছে। যার মধ্যে রয়েছে পশ্চিমে কিউরাইল দ্বীপপুঞ্জ, ফিলিপাইন, জাপান, ইন্দোনেশিয়া, নিউজিল্যান্ডসহ বড় বড় অনেক দ্বীপপুঞ্জ।

এছাড়াও নিউহেবরাইডস, ফিজি, নাউরু, কিরিবাতি,মার্শাল, সোলোমন, হাওয়াই, অলিউশিয়ান প্রভৃতি। এ মহাসাগরের পশ্চিমে ওখটস্ক সাগর, পীত সাগর, পূর্বচীন সাগর এবং উত্তর দিকে বেরিং প্রণালি দ্বারা মহাসাগরের মহীঢাল ক্রমশ অধিক ঢালু হয়ে সমুদ্রের তলদেশ পর্যন্ত বিস্তৃত।

অবস্থান : প্রশান্ত মহাসাগের পূর্বে উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশ, পশ্চিমে এশিয়া ও ওসেনিয়া মহাদেশ অবস্থিত।

আয়তন : এ মহাসাগর আয়তনে সর্বাপেক্ষা বৃহত্তর । এর মোট আয়তন প্রায় ১৬৫.৪ মিলিয়ন বর্গকিলোমিটার বা ১৬ কোটি ৬০ লক্ষ বর্গ কিলোমিটার; যা সমস্ত ভূপৃষ্ঠের প্রায় – অংশ জুড়ে বিস্তৃত।

গভীরতা : প্রশান্ত মহাসাগরে সর্বোচ্চ গভীরতা ৩৫,৯৫৮ ফুট এবং গড় গভীরতা ১৪,০০০ ফুট যা পৃথিবীর গভীরতমও বটে।

একনজরে প্রশান্ত মহাসাগরের কিছু গুরুত্তপুর্ণ তথ্য-

মোট আয়তন ১৬ কোটি ৬০ লক্ষ বর্গ কিলোমিটার
গড় গভীরতা ৪২৭০ মিটার
আকৃতি ত্রিভুজের মত (Tringle Shaped)
সর্বোচ্চ গভীরতম খাদ মারিয়ানা ট্রেন্স বা খাদ (Mariana Trench)
খাদের দৈর্ঘ ২২৫০ কিলোমিটার
খাদের গভীরতম স্থান চ্যালেঞ্জার ডিপ ( Challenger Deep)
গভীরতম স্থানের গভীরতা ৭০ কিলোমিটার
অবস্থান এটি পৃথিবীর বৃহত্তম মহাসাগর। এশিয়া ও অস্ট্রেলিয়ার সাথে দুই আমেরিকাকে পৃথক করে।
নিরক্ষরেখা সাপেক্ষে এটি আবার উত্তর গোলার্ধে উত্তর প্রশান্ত মহাসাগর ও দক্ষিণ গোলার্ধে
দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরে বিভক্ত।
দ্বীপপুঞ্জ বা দ্বীপরাষ্ট্র ফিলিপাইন, পাপুয়া নিউগিনি, পালাউ, লাউরু এবং সালোমন দ্বীপপুঞ্জ

২. আটলান্টিক মহাসাগর

আটলান্টিক মহাসাগর পৃথিবীর মধ্যে দ্বিতীয় বৃহত্তম মহাসাগর। এর আকৃতি অনেকটা ইংরেজি ‘S’ অক্ষরের মত। এ মহাসাগরটি নিরক্ষরেখার কাছে সর্বাধিক সংকীর্ণ এবং নিরক্ষরেখা থেকে উত্তরে ও দক্ষিণে ক্রমশ চওড়া হয়ে অবস্থিত। মহাসাগরটির মধ্যভাগ দিয়ে নিরক্ষরেখা অতিক্রম করে তাই নিরক্ষরেখার উত্তর অংশকে উত্তর আটলান্টিক এবং দক্ষিণ অংশকে দক্ষিণ আটলান্টিক মহাসাগর বলা হয়। আটলান্টিক শৈলশিরা নামে মহাসাগরের মধ্যভাগে এক বিশাল শৈলশিরা অবস্থিত।

এছাড়া ওয়ালভিস শৈলশিরা, চ্যালেঞ্জার শৈলশিরা, রিও গ্যান্ড শৈলশিরা, ডলফিন শৈলশিরা প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য। এ মহাসাগরের দ্বীপগুলো বেশিরভাগই উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকার মধ্যবর্তীতে অবস্থিত। দ্বীপগুলোর মধ্যে পশ্চিম ভারতীয় দ্বীপপুঞ্জ, ব্রিটিশ দ্বীপপুঞ্জ, বারমুডা, নিউফাইন্ডল্যান্ড, ক্যানারি,  ত্রিনিদাদ, ক্যাপভার্দে প্রভৃতি প্রধান ভাবে উল্লেখ্যযোগ্য। এ মহাসাগরে সাগর ও উপসাগরের মধ্যে উত্তর সাগর, বাল্টিক সাগর, অ্যাড্রিয়াটিক সাগর, বাফিন সাগর, বিস্কে উপসাগর, মেক্সিকো উপসাগর, ভূমধ্যসাগর, ক্যারিবিয়ান সাগর প্রভৃতি প্রধান প্রধান সাগর।

অবস্থান : আটলান্টিক মহাসাগর ইউরোপ ও আফ্রিকার পশ্চিমে এবং উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকার পূর্বে অবস্থিত।

আয়তন : এ মহাসাগরের মোট আয়তন ৮২.২ মিলিয়ন বর্গকিলোমিটার; যা মহাসাগরগুলোর মধ্যে দ্বিতীয় বৃহত্তম।

গভীরতা : এ মহাসাগরের সর্বাধিক গভীরতা প্রায় ৩০,১৪৩ ফুট এবং গড় গভীরতা প্রায় ১২,০০০ ফুট হিসাব করা হয়েছে।

একনজরে আটলান্টিক মহাসাগরের কিছু গুরুত্তপুর্ণ তথ্য-

মোট আয়তন ৮ কোটি ২৪ লক্ষ বর্গ কিলোমিটার
গড় গভীরতা ৩৯৩২ মিটার
আকৃতি “S” আকৃতির ( “S” -shaped)
সর্বোচ্চ গভীরতম খাদ পুয়ের্তো রিকো খাত (Puerto Rico Stretch)
খাদের দৈর্ঘ ৮০০ কিলোমিটার (৪৯৭ মাইল) দীর্ঘ
খাদের গভীরতম স্থান মিওয়ার্কি ডিপ
গভীরতম স্থানের গভীরতা সর্বোচ্চ গভীরতা ৮,৩৭৬ মিটার (২৭,৪৮০ফুট)
অবস্থান এটি পৃথিবীর ২য় বৃহত্তম মহাসাগর। পূর্বদিকে ইউরোপ এবং আফ্রিকা এবং
পশ্চিমে আমেরিকার অঞ্চলের মধ্যবর্তী অঞ্চলে দীর্ঘায়িত।
দ্বীপপুঞ্জ বা দ্বীপরাষ্ট্র ফকল্যান্ড, গ্রেট ব্রিটেন, আয়ারল্যান্ড, গ্রিনল্যান্ড, আইসল্যান্ড, কেপভারদে ও সেন্ট হেলেনা (যুক্তরাজ্য)।

৩. ভারত মহাসাগর

ভারত মহাসাগরের আকৃতি উত্তর দিক হতে ক্রমশ দক্ষিণে প্রশস্ত। এ মহাসাগরে  কটি গভীরতম  খাত হল ‘সুন্ডাখাত’। এ মহাসাগরের উল্লেখযোগ্য দ্বীপগুলোর মধ্যে শ্রীলঙ্কা, আন্দামান, নিকোবর, লাক্ষা দ্বীপ, মাদাগাস্কার, মালদ্বীপ, সিসিলি প্রভৃতি প্রধান। এ সহাসাগরে মধ্যে সাগর ও মহাসাগরের সংখ্যা কম। আরব সাগর, পারস্য উপসাগর, লোহিতসাগর,  বঙ্গোপসাগর প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য সাগর।

অবস্থান : ভারত মহাসাগর এশিয়ার দক্ষিণে, আফ্রিকার পূর্বে, ওসেনিয়ার পশ্চিমে, এন্টার্কটিকার উত্তরে অবস্থিত।

গভীরতা : ভারত মহাসাগরের সর্বাধিক গভীরতা ২৪,০০০ ফুট এবং গড় গভীরতা ১২,৮০০ ফুট।

একনজরে ভারত মহাসাগরের কিছু গুরুত্তপুর্ণ তথ্য-

মোট আয়তন ৭ কোটি ৩৬ লক্ষ বর্গ কিলোমিটার
গড় গভীরতা ৩৯৬২ মিটার
আকৃতি প্রায় বৃত্তাকার
সর্বোচ্চ গভীরতম খাদ সুন্ডা খাত (Sunda Trench)- পুর্ব নাম জাভা খাদ (Java Trench)
খাদের দৈর্ঘ ৩২০০ কিলোমিটার দীর্ঘ
খাদের গভীরতম স্থান সুন্ডা খাত
গভীরতম স্থানের গভীরতা সর্বোচ্চ গভীরতা ৭২৯০ মিটার
অবস্থান এই মহাসাগরের উত্তর সীমায় রয়েছে ভারতীয় উপমহাদেশ; পশ্চিমে রয়েছে পূর্ব আফ্রিকা;
পূর্বে রয়েছে ইন্দোচীন, সুন্দা দ্বীপপুঞ্জ ও অস্ট্রেলিয়া।
এটি পৃথিবীর ৩য় বৃহত্তম মহাসাগর।
দ্বীপপুঞ্জ বা দ্বীপরাষ্ট্র মাদাগাস্কার (বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম দ্বীপ),ইন্দোনেশিয়া, কোমোরোস, সেশেল, মালদ্বীপ, মরিশাস ও শ্রীলঙ্কা।

কুমেরু বা দক্ষিণ মহাসাগর

কুমেরু মহাসাগরটির আকৃতিও অনেকটা বৃত্তাকার এবং মহাসাগরটি প্রায়ই বরফে আবৃত রয়েছে। সাগর মহাসাগরের মধ্যে রস সাগর, ওয়েডেল সাগর, এ্যামুন্ডসন সাগর প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।

অবস্থান : কুমেরু ৰা দক্ষিণ বা অ্যান্টার্কটিকা মহাসাগরটি এন্টার্কটিকা মহাদেশে উত্তরাংশের চারদিকে বেষ্টন করে অবস্থিত।

আয়তন : অ্যান্টার্কটিকা মহাসাগরের আয়তন প্রায় ১৪.৮ মিলিয়ন বর্গকিলোমিটার; যা মহাসাগরগুলো মধ্যে ৪র্থ।

গভীরতা : কুমেরু মহাসাগরটির সর্বাধিক গভীরতা প্রায় ১৮,৭৯৪ ফুট এবং গড় গভীরতা প্রায় ৪,৯২০ ফুট।

একনজরে কুমেরু বা দক্ষিণ মহাসাগরের কিছু গুরুত্তপুর্ণ তথ্য-

মোট আয়তন ১ কোটি ৪৭ লক্ষ বর্গ কিলোমিটার
গড় গভীরতা গড় গভীরতা ১৪৯ মিটার
আকৃতি প্রায় অর্ধ গোলাকার
সর্বোচ্চ গভীরতম খাদ দক্ষিণ স্যান্ডউইচ ট্রেঞ্চ (South Sandwich Trench)
গভীরতম স্থানের গভীরতা ৭,৪৩৪ মিটার (২৪,৩৯০ ফু)
অবস্থান দক্ষিণতম জল নিয়ে গঠিত, ৬০° দক্ষিণ অক্ষাংশের দক্ষিণদিকে অবস্থিত
এবং অ্যান্টার্কটিকাকে ঘিরে রয়েছে।

৫. সুমেরু বা উত্তর মহাসাগর

সুমেরু বা উত্তর বা আরটিক মহাসাগরটির আকৃতি অনেকটা বৃত্তাকার। এ মহাসাগরের অধিকাংশ স্থানই বরফ দ্বারা আবৃত। এ মহাসাগরে ক্ষুদ্র ও বৃহৎ কিছু দ্বীপপুঞ্জ রয়েছে যার অধিকাংশই কানাডা, সাইবেরিয়া প্রভৃতি ভূখণ্ডের নিমজ্জিত অংশ নিয়ে গঠিত। সাগর উপসাগরের মধ্যে পূর্ব সাইবেরিয়ার সাগর, ব্যারেন্ট সাগর, কারা সাগর,  ল্যাপটিভ সাগর প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।

অবস্থান : প্রায় স্থলভাগ দ্বারা বেষ্টিত সুমেরু বা উত্তর মহাসাগরটি সুমেরু বৃত্তের মধ্যে অবস্থিত; যার দক্ষিণ ভাগ উত্তর আমেরিকার কানাডা, গ্রিণল্যান্ড এবং ইউরোপ দ্বারা বেষ্টিত রয়েছে।

আয়তন : সুমেরু বা উত্তর মহাসাগরটির মোট আয়তন প্রায় ১৫ মিলিয়ন বর্গকিলোমিটার; যা মহাসাগরগুলোর মধ্যে পঞ্চম।

গভীরতা : এ মহাসাগরের সর্বাধিক গভীরতা প্রায় ১৮,০০০ ফুট এবং গভীরতা প্রায় ২,৭০০ ফুট।

একনজরে উত্তর মহাসাগরের কিছু গুরুত্তপুর্ণ তথ্য-

মোট আয়তন ১ কোটি ৪০ লক্ষ বর্গ কিলোমিটার
গড় গভীরতা ৮২৪ মিটার বা ১,০৩৮
আকৃতি মোটামুটি বৃত্তাকার
সর্বোচ্চ গভীরতম ফ্র‍্যাম প্রণালীর মোলোয় অববাহিকা
গভীরতম স্থানের গভীরতা ৫,৫৫০ মি (১৮,২১০ ফু)
অবস্থান উত্তর মহাসাগর বা সুমেরু মহাসাগর উত্তর গোলার্ধের সুমেরু অঞ্চলে অবস্থিত বিশ্বের ক্ষুদ্রতম
এবং সর্বাপেক্ষা কম গভীর একটি মহাসাগর। এটি পৃথিবীর ক্ষুদ্রতম মহাসাগর।

৫টি মহাসাগর সমন্ধে গুরুত্বপুর্ণ তথ্যের পিডিএফ ।। ডাইনলোড করুন

মহাসাগর, সাগর, উপসাগর ও হ্রদ কি এবং গুরুত্বপুর্ণ তথ্য পিডিএফ সহ 

পৃথিবীর ৫টি মাহসাগরের গুরুত্বপুর্ণ তথ্যঃ

পৃথিবীর ৫টি মাহসাগরের গুরুত্বপুর্ণ
পৃথিবীর ৫টি মাহসাগরের গুরুত্বপুর্ণ
নাম
প্রশান্ত মহাসাগর/ Pacific Ocean
মোট আয়তন ১৬ কোটি ৬০ লক্ষ বর্গ কিলোমিটার
গড় গভীরতা ৪২৭০ মিটার
আকৃতি ত্রিভুজের মত (Tringle Shaped)
সর্বোচ্চ গভীরতম খাদ মারিয়ানা ট্রেন্স বা খাদ (Mariana Trench)
খাদের দৈর্ঘ ২২৫০ কিলোমিটার
খাদের গভীরতম স্থান চ্যালেঞ্জার ডিপ ( Challenger Deep)
গভীরতম স্থানের গভীরতা ৭০ কিলোমিটার
অবস্থান এটি পৃথিবীর বৃহত্তম মহাসাগর। এশিয়া ও অস্ট্রেলিয়ার সাথে দুই আমেরিকাকে পৃথক করে।
নিরক্ষরেখা সাপেক্ষে এটি আবার উত্তর গোলার্ধে উত্তর প্রশান্ত মহাসাগর ও দক্ষিণ গোলার্ধে
দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরে বিভক্ত।
দ্বীপপুঞ্জ বা দ্বীপরাষ্ট্র ফিলিপাইন, পাপুয়া নিউগিনি, পালাউ, লাউরু এবং সালোমন দ্বীপপুঞ্জ
অন্যান্য তথ্য
প্রবাল প্রাচীর গ্রেট ব্যারিয়ার রিফ (Great Barrier Reef) – পৃথিবীর দীর্ঘতম প্রবাল প্রাচীর
দীর্ঘতা ২৩০০ কিলোমিটার
অবস্থান অস্ট্রেলিয়া সংলগ্ন
 

 

নাম
আটলান্টিক মহাসাগর/ Atlantic Ocean
মোট আয়তন ৮ কোটি ২৪ লক্ষ বর্গ কিলোমিটার
গড় গভীরতা ৩৯৩২ মিটার
আকৃতি “S” আকৃতির ( “S” -shaped)
সর্বোচ্চ গভীরতম খাদ পুয়ের্তো রিকো খাত (Puerto Rico Stretch)
খাদের দৈর্ঘ ৮০০ কিলোমিটার (৪৯৭ মাইল) দীর্ঘ
খাদের গভীরতম স্থান মিওয়ার্কি ডিপ
গভীরতম স্থানের গভীরতা সর্বোচ্চ গভীরতা ৮,৩৭৬ মিটার (২৭,৪৮০ফুট)
অবস্থান এটি পৃথিবীর ২য় বৃহত্তম মহাসাগর। পূর্বদিকে ইউরোপ এবং আফ্রিকা এবং
পশ্চিমে আমেরিকার অঞ্চলের মধ্যবর্তী অঞ্চলে দীর্ঘায়িত।
দ্বীপপুঞ্জ বা দ্বীপরাষ্ট্র ফকল্যান্ড, গ্রেট ব্রিটেন, আয়ারল্যান্ড, গ্রিনল্যান্ড, আইসল্যান্ড, কেপভারদে ও সেন্ট হেলেনা (যুক্তরাজ্য)।
 

 

নাম
ভারত মহাসাগর/ Indian Ocean
মোট আয়তন ৭ কোটি ৩৬ লক্ষ বর্গ কিলোমিটার
গড় গভীরতা ৩৯৬২ মিটার
আকৃতি প্রায় বৃত্তাকার
সর্বোচ্চ গভীরতম খাদ সুন্ডা খাত (Sunda Trench)- পুর্ব নাম জাভা খাদ (Java Trench)
খাদের দৈর্ঘ ৩২০০ কিলোমিটার দীর্ঘ
খাদের গভীরতম স্থান সুন্ডা খাত
গভীরতম স্থানের গভীরতা সর্বোচ্চ গভীরতা ৭২৯০ মিটার
অবস্থান এই মহাসাগরের উত্তর সীমায় রয়েছে ভারতীয় উপমহাদেশ; পশ্চিমে রয়েছে পূর্ব আফ্রিকা;
পূর্বে রয়েছে ইন্দোচীন, সুন্দা দ্বীপপুঞ্জ ও অস্ট্রেলিয়া।
এটি পৃথিবীর ৩য় বৃহত্তম মহাসাগর।
দ্বীপপুঞ্জ বা দ্বীপরাষ্ট্র মাদাগাস্কার (বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম দ্বীপ),ইন্দোনেশিয়া, কোমোরোস, সেশেল, মালদ্বীপ, মরিশাস ও শ্রীলঙ্কা।
 

 

নাম
অ্যান্টার্কটিকা বা দক্ষিণ মহাসাগর/ Antarctic or Southern Ocean
মোট আয়তন ১ কোটি ৪৭ লক্ষ বর্গ কিলোমিটার
গড় গভীরতা গড় গভীরতা ১৪৯ মিটার
আকৃতি প্রায় অর্ধ গোলাকার
সর্বোচ্চ গভীরতম খাদ দক্ষিণ স্যান্ডউইচ ট্রেঞ্চ (South Sandwich Trench)
গভীরতম স্থানের গভীরতা ৭,৪৩৪ মিটার (২৪,৩৯০ ফু)
অবস্থান দক্ষিণতম জল নিয়ে গঠিত, ৬০° দক্ষিণ অক্ষাংশের দক্ষিণদিকে অবস্থিত
এবং অ্যান্টার্কটিকাকে ঘিরে রয়েছে।
 

 

নাম
আর্কটিক বা সুমেরু বা উত্তর মহাসাগর/ Artic or Northern Ocean
মোট আয়তন ১ কোটি ৪০ লক্ষ বর্গ কিলোমিটার
গড় গভীরতা ৮২৪ মিটার বা ১,০৩৮
আকৃতি মোটামুটি বৃত্তাকার
সর্বোচ্চ গভীরতম ফ্র‍্যাম প্রণালীর মোলোয় অববাহিকা
গভীরতম স্থানের গভীরতা ৫,৫৫০ মি (১৮,২১০ ফু)
অবস্থান উত্তর মহাসাগর বা সুমেরু মহাসাগর উত্তর গোলার্ধের সুমেরু অঞ্চলে অবস্থিত বিশ্বের ক্ষুদ্রতম
এবং সর্বাপেক্ষা কম গভীর একটি মহাসাগর। এটি পৃথিবীর ক্ষুদ্রতম মহাসাগর।

পৃথিবীর ৫টি মহাসাগরের সংক্ষিপ্ত ও গুরুত্বপুর্ণ তথ্য

নামপ্রশান্ত মহাসাগর/ Pacific Ocean
মোট আয়তন১৬ কোটি ৬০ লক্ষ বর্গ কিলোমিটার
গড় গভীরতা ৪২৭০ মিটার
আকৃতিত্রিভুজের মত (Tringle Shaped)
সর্বোচ্চ গভীরতম খাদ মারিয়ানা ট্রেন্স বা খাদ (Mariana Trench)
খাদের দৈর্ঘ ২২৫০ কিলোমিটার
খাদের গভীরতম স্থান চ্যালেঞ্জার ডিপ ( Challenger Deep)
গভীরতম স্থানের গভীরতা ৭০ কিলোমিটার
অবস্থান এটি পৃথিবীর বৃহত্তম মহাসাগর। এশিয়া ও অস্ট্রেলিয়ার সাথে দুই আমেরিকাকে পৃথক করে।
নিরক্ষরেখা সাপেক্ষে এটি আবার উত্তর গোলার্ধে উত্তর প্রশান্ত মহাসাগর ও দক্ষিণ গোলার্ধে
দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরে বিভক্ত।
দ্বীপপুঞ্জ বা দ্বীপরাষ্ট্র ফিলিপাইন, পাপুয়া নিউগিনি, পালাউ, লাউরু এবং সালোমন দ্বীপপুঞ্জ
অন্যান্য তথ্য
প্রবাল প্রাচীর গ্রেট ব্যারিয়ার রিফ (Great Barrier Reef) - পৃথিবীর দীর্ঘতম প্রবাল প্রাচীর
দীর্ঘতা২৩০০ কিলোমিটার
অবস্থান অস্ট্রেলিয়া সংলগ্ন
নামআটলান্টিক মহাসাগর/ Atlantic Ocean
মোট আয়তন৮ কোটি ২৪ লক্ষ বর্গ কিলোমিটার
গড় গভীরতা৩৯৩২ মিটার
আকৃতি"S" আকৃতির ( "S" -shaped)
সর্বোচ্চ গভীরতম খাদপুয়ের্তো রিকো খাত (Puerto Rico Stretch)
খাদের দৈর্ঘ৮০০ কিলোমিটার (৪৯৭ মাইল) দীর্ঘ
খাদের গভীরতম স্থানমিওয়ার্কি ডিপ
গভীরতম স্থানের গভীরতাসর্বোচ্চ গভীরতা ৮,৩৭৬ মিটার (২৭,৪৮০ফুট)
অবস্থান এটি পৃথিবীর ২য় বৃহত্তম মহাসাগর। পূর্বদিকে ইউরোপ এবং আফ্রিকা এবং
পশ্চিমে আমেরিকার অঞ্চলের মধ্যবর্তী অঞ্চলে দীর্ঘায়িত।
দ্বীপপুঞ্জ বা দ্বীপরাষ্ট্রফকল্যান্ড, গ্রেট ব্রিটেন, আয়ারল্যান্ড, গ্রিনল্যান্ড, আইসল্যান্ড, কেপভারদে ও সেন্ট হেলেনা (যুক্তরাজ্য)।
নামভারত মহাসাগর/ Indian Ocean
মোট আয়তন৭ কোটি ৩৬ লক্ষ বর্গ কিলোমিটার
গড় গভীরতা৩৯৬২ মিটার
আকৃতিপ্রায় বৃত্তাকার
সর্বোচ্চ গভীরতম খাদসুন্ডা খাত (Sunda Trench)- পুর্ব নাম জাভা খাদ (Java Trench)
খাদের দৈর্ঘ৩২০০ কিলোমিটার দীর্ঘ
খাদের গভীরতম স্থানসুন্ডা খাত
গভীরতম স্থানের গভীরতাসর্বোচ্চ গভীরতা ৭২৯০ মিটার
অবস্থান এই মহাসাগরের উত্তর সীমায় রয়েছে ভারতীয় উপমহাদেশ; পশ্চিমে রয়েছে পূর্ব আফ্রিকা;
পূর্বে রয়েছে ইন্দোচীন, সুন্দা দ্বীপপুঞ্জ ও অস্ট্রেলিয়া।
এটি পৃথিবীর ৩য় বৃহত্তম মহাসাগর।
দ্বীপপুঞ্জ বা দ্বীপরাষ্ট্রমাদাগাস্কার (বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম দ্বীপ),ইন্দোনেশিয়া, কোমোরোস, সেশেল, মালদ্বীপ, মরিশাস ও শ্রীলঙ্কা।
নামঅ্যান্টার্কটিকা বা দক্ষিণ মহাসাগর/ Antarctic or Southern Ocean
মোট আয়তন১ কোটি ৪৭ লক্ষ বর্গ কিলোমিটার
গড় গভীরতাগড় গভীরতা ১৪৯ মিটার
আকৃতিপ্রায় অর্ধ গোলাকার
সর্বোচ্চ গভীরতম খাদদক্ষিণ স্যান্ডউইচ ট্রেঞ্চ (South Sandwich Trench)
গভীরতম স্থানের গভীরতা৭,৪৩৪ মিটার (২৪,৩৯০ ফু)
অবস্থানদক্ষিণতম জল নিয়ে গঠিত, ৬০° দক্ষিণ অক্ষাংশের দক্ষিণদিকে অবস্থিত
এবং অ্যান্টার্কটিকাকে ঘিরে রয়েছে।
নামআর্কটিক বা সুমেরু বা উত্তর মহাসাগর/ Artic or Northern Ocean
মোট আয়তন১ কোটি ৪০ লক্ষ বর্গ কিলোমিটার
গড় গভীরতা৮২৪ মিটার বা ১,০৩৮
আকৃতি মোটামুটি বৃত্তাকার
সর্বোচ্চ গভীরতমফ্র‍্যাম প্রণালীর মোলোয় অববাহিকা
গভীরতম স্থানের গভীরতা ৫,৫৫০ মি (১৮,২১০ ফু)
অবস্থানউত্তর মহাসাগর বা সুমেরু মহাসাগর উত্তর গোলার্ধের সুমেরু অঞ্চলে অবস্থিত বিশ্বের ক্ষুদ্রতম
এবং সর্বাপেক্ষা কম গভীর একটি মহাসাগর। এটি পৃথিবীর ক্ষুদ্রতম মহাসাগর।

৫টি মহাসাগর সমন্ধে পিডিএফ ডাইনলোড করুন

মহাসাগর, সাগর, উপসাগর ও হ্রদ কি এবং গুরুত্বপুর্ণ তথ্য পিডিএফ সহ 

বাংলাদেশের মেগা প্রকল্প নিয়ে বিস্তারিত- পিডিএফ সহ

পিডিএফ ডাউনলোড করুন এখানে

গত কয়েক বছরে দেশে বেশ কিছু উন্নয়ন প্রকল্প প্রত্যক্ষ করেছে যাকে মেগা প্রকল্প বলা যেতে পারে। মেগা প্রকল্পগুলো সমাপ্তির ফলে বাংলাদেশের জিডিপি ৪ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে, তাদের সময়মতো বাস্তবায়ন নিশ্চিত করার জন্য সরকারের প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে আসন্ন অর্থবছরে প্রায় বিপুল শতাংশ বরাদ্দ পাওয়া যাবে।

উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, বাংলাদেশ কিছু প্রকল্পের  সমাপ্তির দ্বারপ্রান্তে রয়েছে। এই উচ্চাভিলাষী প্রয়াসগুলি দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থাকে নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত করতে এবং এর জনগণের জন্য অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির একটি নতুন যুগের সূচনা করতে পারে। দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থাকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার অটল অঙ্গীকারে, সরকার গত কয়েক বছরের বাজেট থেকে যোগাযোগ খাতে বিশেষ মনোযোগ দিয়ে মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নকে আবারও অগ্রাধিকার দিয়েছে।

সম্পুর্ণ পিডিএফ ডাউনলোড লিঙ্ক-এখানে

সম্পাদকীয় অনুবাদ ফ্রি পিডিএফ পেতে  Visit করুন।

বাংলা বাগধারার সম্পুর্ণ ফ্রি PDF সহ- পঞ্চম পর্ব

অন্যান্য পিডিএফ দেখুন

 

The Mega Projects Of Bangladesh with PDF

Download PDF from here

Over the past few years, Bangladesh has been at the forefront of numerous transformative development projects, often classified as mega projects. Anticipated to contribute significantly to the country’s GDP, these mega projects are earmarked for substantial allocations in the upcoming fiscal year, underscoring the government’s dedication to ensuring their timely completion.

A momentous transformation is on the horizon for Bangladesh, with the imminent conclusion of several mega projects. These ambitious initiatives are not only expected to reshape the nation’s communication system but also herald a new era of progress and prosperity for its citizens.

Demonstrating an unwavering commitment to elevating the country’s communication infrastructure, the government has consistently prioritized the implementation of mega projects. This steadfast focus on the communication sector has been a key feature of recent budgetary allocations, reflecting a strategic and forward-looking approach to fostering progress and development in Bangladesh.

সম্পুর্ণ পিডিএফ ডাউনলোড লিঙ্ক-এখানে

সম্পাদকীয় অনুবাদ ফ্রি পিডিএফ পেতে  Visit করুন।

বাংলা বাগধারার সম্পুর্ণ ফ্রি PDF সহ- পঞ্চম পর্ব

অন্যান্য পিডিএফ দেখুন

বাংলাদেশের মেগা প্রকল্পসমূহ

Padma Bridge / পদ্ম নেতু:

Padma Bridge
Padma Bridge

The Padma Multipurpose Bridge, commonly referred to as the Padma Bridge, stands as a two-level road-rail bridge spanning the Padma River, the principal distributary of the Ganges in Bangladesh. This bridge holds the distinction of being the longest in Bangladesh, as well as the longest over the river Ganges in terms of both span and overall length. Notably, it boasts the deepest pile depth of any bridge globally, reaching 127 meters (417 feet). The construction of the Padma Bridge posed significant challenges, primarily attributed to the expansive width and depth of the Padma River.

The total expenditure for the construction of the bridge through domestic financing reached Tk.30,193 crore. In this financial endeavor, the government contributed a grant of Tk.300 crore, while the remaining Tk.29,893 crore was extended as a loan with a minimal 1% annual interest rate, as per statements from officials in the Bridge Division.

Metro Rail / ঢাকা মেট্রোরেল :

Dhaka Metro Rail, also known as Dhaka Metro, functions as a mass rapid transit system in Dhaka, the capital and largest city of Bangladesh. The operation and ownership of this system are overseen by the Dhaka Mass Transit Company Limited. Spanning a distance of 20.1 kilometers, the metro rail line traverses Uttara Phase-3 and the Bangladesh Bank in Motijheel, passing through key locations such as Uttara North, Uttara Center, Pallabi, Mirpur Circle-10, RokeyaSarani, Khamarbari, Farmgate, Karwan Bazar, Shahbagh, Dhaka University’s Teacher-Student Centre, Doyel Chatwar, and Jatiya Press Club.

Notably, the Japan International Cooperation Agency (JICA) played a pivotal role by contributing approximately Taka 16,600 crore in project assistance, accounting for a significant portion of the overall project cost of Taka 22,000 crore.

Dhaka Elevated Expressway:

Dhaka Elevated Expressway

The Dhaka Elevated Expressway spans a length of 12 km, connecting the Airport to the Farmgate section. Notably, it stands as Bangladesh’s inaugural elevated expressway project, facilitating a link between Hazrat Shahjalal International Airport and Kutubkhali via key locations such as Kawla, Kuril, Banani, Mohakhali, Tejgaon, Moghbazar, Kamalapur, Sayedabad, and Jatrabari in Dhaka. The implementation of this project has played a pivotal role in alleviating traffic congestion in Dhaka, leading to a reduction in travel time and costs.

The primary elevated expressway itself stretches over 19.73 km, with the entire project encompassing a total length of 27 km, featuring 31 ramps for boarding and alighting. When considering both the main expressway and ramps, the comprehensive length of the elevated expressway amounts to 46.73 km.

Remarkably, the construction of this 20 km expressway has been accomplished through a public-private partnership, with a total expenditure of Tk 8940 crores. Out of this amount, Tk 2413 crores were borne by the government. The completion of the project is structured in three phases, contributing to the overall enhancement of transportation infrastructure in the region.

Terminal / থার্ড টার্মিনাল:

The comprehensive cost estimate for the entire project is Tk. 21,398 crore (US$2.0 billion). The design of the terminal building was entrusted to Singaporean architect Rohani Baharin, and the construction of the new third terminal at the airport is slated for completion by May 2024.

Encompassing a vast area of 542,000 square meters, the third terminal is equipped with aprons capable of simultaneously accommodating up to 37 aircraft. The terminal building itself spans an impressive 230,000 square meters and incorporates cutting-edge technologies sourced from around the world.

Significantly, the terminal will feature a rapid exit and connecting taxiway, along with a main road adjacent to Le Meridien Hotel for convenient access to the airport. Future plans include the construction of a subway linking the Dhaka Elevated Expressway to the airport, further diversifying transportation options for travelers. The project received approval from the Executive Committee of the National Economic Council (ECNEC) in October 2017.

The inception of the third terminal initiative dates back to 2015, marked by the presentation of a feasibility study report to the Prime Minister’s Office. Prime Minister Sheikh Hasina, recognizing the project’s importance, directed authorities to expedite its implementation. Upon its completion, Hazrat Shahjalal International Airport will boast the capacity to handle 0.8 million passengers and 0.2 million tonnes of cargo annually.

Bangabandhu Tunnel:

<yoastmark class=

The Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman Tunnel, commonly known as the Bangabandhu Tunnel, is an underwater expressway tunnel situated in the port city of Chittagong, Bangladesh, passing beneath the Karnaphuli River. The entire route spans a length of 9.39 kilometers (5.83 mi), with the tunnel itself contributing 3.32 kilometers (2.06 mi) to the overall distance. The tunnel boasts a diameter of 10.80 meters (35.4 ft), and it is anticipated that over 17,000 vehicles will utilize this tunnel daily.

The estimated cost of the project stands at US$1.1 billion, with approximately half of the financing being provided by the Exim Bank of China. Notably, the Karnaphuli Tunnel represents a significant milestone as the first underwater road tunnel in South Asia. Its implementation is expected to enhance the connectivity of the Dhaka—Chittagong—Cox’s Bazar highway network, facilitating improved transportation between these key locations.

সম্পুর্ণ পিডিএফ ডাউনলোড লিঙ্ক-এখানে

সম্পাদকীয় অনুবাদ ফ্রি পিডিএফ পেতে  Visit করুন।

বাংলা বাগধারার সম্পুর্ণ ফ্রি PDF সহ- পঞ্চম পর্ব

অন্যান্য পিডিএফ দেখুন

 

মেগা প্রকল্প সম্পর্কিত কিছু সাধারণ জিজ্ঞাসা

১. মেগা প্রকল্প বা প্রোজেক্ট আসলে কাকে বলে?

উত্তরঃ মেগা প্রজেক্ট বা মেগাপ্রকল্প হচ্ছে একটি দেশের অত্যন্ত বড় মাপের বিনিয়োগ প্রকল্প। অক্সফোর্ড হ্যান্ডবুক অফ মেগাপ্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট অনুসারে যেই প্রজেক্ট গুলো তৈরি বা নির্মান করতে কয়েক বছর সময় এবং ১ বিলিয়ন বা তার বেশি টাকা খরচ হয়, সেই প্রজেক্টকে মেগা প্রজেক্ট বলে।

উন্নয়ন ও নির্মাণে কয়েক বছর সময় লাগে এসব কাজে এবং একটি মেগাপ্রজেক্ট একাধিক সরকারী এবং বেসরকারী স্টেক হোল্ডারদের নিয়ে সম্পাদন করা হয়, এবং লক্ষ লক্ষ মানষের জীবন মানকে সরাসরি প্রভাবিত করার পাশাপাশি দেশের অর্থনীতিতেও অগ্রগতি আনে৷

২. মেগা প্রকল্প কত প্রকার হয়?

মেগা প্রজেক্ট অনেক ধরনের হয়, উল্লেখযোগ্য হচ্ছে পাওয়ার প্লান্ট, বিমানবন্দর, সেতু, মহাসড়ক, টানেল, সমুদ্রবন্দর, তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস উত্তোলন প্রকল্প,  তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবস্থা, মহাকাশ প্রকল্প, অস্ত্র ব্যবস্থা, পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র ইত্যাদি। মেগাপ্রজেক্টে বা প্রকল্পগুলোর মধ্যে বৈজ্ঞানিক গবেষণা বিষয় এবং অবকাঠামোতে বড় আকারের উদ্যোগগুলিও অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে। যেমন মানব জিনোমের সিকোয়েন্সিং, জেনেটিক্স এবং বায়োটেকনোলজি প্রভৃতি।

চলুন মেগা প্রকল্পের কিছু উদাহরণ দেখে নেওয়া যাক-

  1. ব্রিজ
  2. মহাসড়ক
  3. রেলপথ
  4. টানেল
  5. বিমানবন্দর
  6. বিদ্যুৎ কেন্দ্র
  7. স্যানিটেশন প্রকল্প
  8. শিল্প প্রকল্প
  9. শিক্ষা প্রকল্প
  10. স্বাস্থ্যসেবা প্রকল্প
  11. জল সরবরাহ প্রকল্প

২. বাংলাদেশের মেগা প্রকল্প বা প্রোজেক্ট আসলে কোনগুলো বা কি কি?

(চলমান প্রকল্পসমূহ)

১। পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণ প্রকল্প  (বর্ণনা ও অগ্রগতি)

২। ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে – পিপিপি  প্রজেক্ট (বর্ণনা ও অগ্রগতি)

৩। সাপোর্ট টু ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রজেক্ট (বর্ণনা ও অগ্রগতি)

৪। কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বহুলেইন টানেল  (বর্ণনা ও অগ্রগতি)

৫। গ্রেটার ঢাকা সাসটেইনেবল আরবান ট্রান্সপোর্ট প্রকল্প ( (বর্ণনা ও অগ্রগতি)

৬। ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প (বর্ণনা ও অগ্রগতি)

৭। ঢাকা শহরে সাবওয়ে নির্মাণে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রকল্প (বর্ণনা ও অগ্রগতি)

৮। কচুয়া-বেতাগী সড়কে পায়রা নদীর উপর সেতু নির্মাণ প্রকল্প (বর্ণনা ও অগ্রগতি)

৯। পঞ্চবটি-মুক্তারপুর সড়ক প্রশস্তকরণ ও দোতলা রাস্তা নির্মাণ (বর্ণনা ও অগ্রগতি)

১০। ভুলতা-আড়াইহাজার-বাঞ্ছারামপুর সড়কে মেঘনা নদীর উপর সেতু নির্মাণ (বর্ণনা ও অগ্রগতি)

১১। সাসেক সড়ক সংযোগ প্রকল্প-II (সেতু কর্তৃপক্ষ অংশ ৩৪ কিলোমিটার) (বর্ণনা ও অগ্রগতি)

১২। শরীয়তপুর-চাঁদপুর সড়ক ও গজারিয়া- মুন্সীগঞ্জ সড়কে মেঘনা নদীর উপর সেতু নির্মাণের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা পরিচালনা এবং বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের জন্য মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন প্রকল্প (বর্ণনা ও অগ্রগতি)

চাকরির পরীক্ষার জন্য সাধারণ জ্ঞান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি সাধারণভাবে মূল্যায়নের একটি প্রধান অংশ হিসেবে অবদান রাখে, বিভিন্ন চাকরি পদে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য একটি আধিকারিক ভাষা হিসেবে। এটি প্রার্থীদের জ্ঞান এবং বুদ্ধিমত্তা মূল্যায়ন করতে ব্যবহৃত হয়, তাদের ক্ষমতা দেখাতে একটি সুযোগ দেয়। অনেক চাকরির ভূমিকায় সাধারণ জ্ঞান বা সাধারণ সাক্ষরতা প্রয়োজন, এবং এই দিকে প্রস্তুতি করা প্রার্থীদের জন্য পরীক্ষায় ভাল প্রদান করতে সাহায্যকারী হতে পারে। উচ্চতর মাধ্যমে, সাধারণ জ্ঞান ভালো যোগাযোগ এবং সামাজিক আকাঙ্ক্ষা চলাচলে অবদান রাখে, প্রার্থীদের পেশাদান ছাড়াও তাদের সামগ্রিক সক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। তাই, সাধারণ জ্ঞানের একটি ভালো ধারণ থাকলে চাকরির পরীক্ষা বাইরে জীবনের বিভিন্ন দিকেও সুপারিশকর হতে পারে।

২০২৩ সাল ভিত্তিক এই পিডিএফ- টি তৈরী করেছেন পলাশ স্যার যিনি বিগত অনেক বছর যাবত বিসিএস পড়াশোনার জন্য ছাত্র-ছাত্রীদের সাহায্য ও সহযোগিতা করে যাচ্ছেন।

সাম্প্রতিক সাধারণ জ্ঞান ২০২৩ সালের সকল তথ্য 

সম্পুর্ণ পিডিএফ ডাউনলোড লিঙ্ক- এখানে 

সম্পাদকীয় অনুবাদ ফ্রি পিডিএফ পেতে  Visit করুন।

বাংলা বাগধারার সম্পুর্ণ ফ্রি PDF সহ- পঞ্চম পর্ব

অন্যান্য পিডিএফ দেখুন-

সাধারণ জ্ঞান চাকরির পরীক্ষায় ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়- বিশেষত বিসিএস, ব্যাংক কিংবা অন্যান্য চাকরির জন্য ।  কারণ এটি প্রায়শই পরীক্ষার একটি বিশেষ অংশ হিসেবে পরীক্ষার প্রশ্নে চলে আসে।

কিছু কারণের মধ্যে নিম্নরুপ:

  1. সাধারণ জ্ঞান পরীক্ষার সিলেবাস: চাকরির পরীক্ষার মৌল্যের মধ্যে অধিকাংশই সাধারণ জ্ঞানের পরীক্ষা হয়। এটি একটি আধিকারিক পরীক্ষা সিদ্ধান্ত করার জন্য ব্যবহৃত হয় এবং প্রার্থীদের জ্ঞান ও বুদ্ধিমত্তা মূল্যায়ন করার জন্য এই পরীক্ষার মাধ্যমে তাদেরকে মোকাবেলার সুযোগ দেয়।

সম্পুর্ণ পিডিএফ ডাউনলোড লিঙ্ক- এখানে 

  1. সাধারণ জ্ঞান একটি ভাল প্রয়োজনীয় উপাদান: চাকরি পোস্টে সাধারণ জ্ঞান বা সাধারণ সাক্ষরতা সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজ করতে হতে পারে। প্রার্থীদেরকে এই প্রস্তুতি করতে এবং পরীক্ষা দিতে এই জ্ঞান সাহায্যকর হতে পারে।
  2. সম্পর্কসহ সাধারণ জ্ঞান: প্রচুর প্রকারে চাকরি বা প্রবৃদ্ধির জন্য উপযুক্ত হতে এবং একটি সহায়ক প্রশিক্ষণ বা কর্মসংস্থানে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে একটি প্রার্থীর সম্ভাবনা বাড়াতে সাধারণ জ্ঞান প্রয়োজন।

এছাড়া, সাধারণ জ্ঞান প্রয়োজন চাকরির পরীক্ষায় কারণ এটি প্রার্থীদের জীবনযাত্রায় ও সামাজিক জীবনেও উপকারী হতে পারে, যেটি চাকরির বাইরে ওঠার সময়ে মানব সম্পর্ক ও আবলম্বনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

সম্পুর্ণ পিডিএফ ডাউনলোড লিঙ্ক- এখানে 

বাংলা বাগধারর সম্পুর্ণ ফ্রি PDF সহ- চতুর্থ পর্ব

 

একবিংশ শতাব্দীর ডিজিটাল মাধ্যমে যোগাযোগের বিকাশ ও নিরাপদ  করার লক্ষ্যে অন্যতম প্রধান চ্যালেঞ্জের নাম ডিজিটাল নিরাপত্তা ও ডিজিটাল অপরাধ কমানো। বর্তমান সময়ে অনলাইনে প্রতিদিন শতকোটি তথ্য বা ডেটা আদান-প্রদান করা হচ্ছে, যার মধ্যে অনেক প্রাতিষ্ঠানিক গোপনীয় তথ্য থাকে।

আবার ব্যক্তিগত অনেক তথ্য থাকে; যেগুলো বেহাত হলে হয়ে যেতে পারে অনেক বড় ক্ষতি। সেই সাথে বৃদ্ধি পাচ্ছে সাইবার অপরাধের সংখ্যাও। ডিজিটাল এই যুগে কম্পিউটার, ইন্টারনেট ও ভার্চুয়াল জগতের সঙ্গে আমরা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় সবাই জড়িত। প্রতিদিন ব্যবহার ও যোগাযোগের প্রধান ও গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হয়ে উঠেছে ইন্টারনেট।

সাইবার নিরাপত্তা বা সিকিউরিটি কি?

সাইবার সিকিউরিটি বা নিরাপত্তা তথা ডিজিটাল সুরক্ষা হল এমন একটি শৃঙ্খলা যা হ্যাকার, স্প্যামার এবং সাইবার অপরাধীদের মতো জঘন্য অভিনেতাদের ইলেকট্রনিক আক্রমণ থেকে কীভাবে ডিভাইস এবং পরিষেবাগুলিকে রক্ষা করতে হয় তা কভার করে৷ যদিও সাইবার নিরাপত্তার কিছু উপাদান প্রথমে আঘাত করার জন্য ডিজাইন করা হয়, আজকের বেশিরভাগ পেশাদাররা আক্রমণ থেকে কম্পিউটার এবং স্মার্টফোন থেকে নেটওয়ার্ক এবং ডাটাবেস রক্ষা করার সর্বোত্তম উপায় নির্ধারণের উপর বেশি মনোযোগ দেন।

<yoastmark class=

পরিচয় চুরি বা তথ্য লোপাট থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক ডিজিটাল অস্ত্র পর্যন্ত সাইবার অপরাধের প্রতিটি প্রকারের বিরুদ্ধে সুরক্ষার প্রক্রিয়া বর্ণনা করতে মিডিয়াতে সাইবার নিরাপত্তা একটি প্রচলিত ও পরিচিত শব্দ হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। এই লেবেলগুলি বৈধ, কিন্তু তারা কম্পিউটার বিজ্ঞানের ডিগ্রি বা ডিজিটাল শিল্পে অভিজ্ঞতা ছাড়াই সাইবার নিরাপত্তার প্রকৃত প্রকৃতি ধরতে ব্যর্থ হয়৷

ডিজিটাল আক্রমণ থেকে সিস্টেম, নেটওয়ার্ক এবং প্রোগ্রামগুলিকে রক্ষা করার অনুশীলন হিসাবে সাইবার নিরাপত্তা বলা যায় ৷ এই সাইবার আক্রমণগুলি সাধারণত সংবেদনশীল তথ্য অ্যাক্সেস, পরিবর্তন বা ধ্বংস করার লক্ষ্যে থাকে; ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে অর্থ আদায়; অথবা স্বাভাবিক ব্যবসায়িক প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করছে।

সাইবার নিরাপত্তা ও বাংলাদেশঃ

সামাজিক ও স্বাভাবিক কারনে আমাদের আইটি সেক্টরে উন্নতির ফলে আমাদের দেশে ইন্টারনেট ব্যবহার ও ইন্টারনেট ভিত্তিক কাজের পরিধি অনেক বেড়েছে।

ডিজিটাল বাংলাদেশে যেখানে ১৩ কোটি ইন্টারনেট ব্যবহারকারী রয়েছে, ইন্টারনেট ব্যবহারকারী বর্তমান জনসংখ্যার ৬২%। ইন্টারনেট ব্যবহার করে যেমন মানুষ উপকৃত হচ্ছে, তেমনি বাড়ছে ব্যবসা-বাণিজ্য, ক্রয়-বিক্রয় আর্থিক লেন-দেন, আরো বৃদ্ধি পাচ্ছে কর্মসংস্থান, কমছে বেকারত্বের হার। সাড়ে ৬ লাখের উপরে ফ্রিল্যান্সার ঘরে বসেই দেশ-বিদেশে ব্যবসা করছে। এটিই ডিজিটাল বাংলাদেশের কৃতিত্ব।

 

সাইবার নিরাপত্তার গুরত্ত্ব ও চ্যালেঞ্জগুলো কি কি

আজকের ডিজিটাল বিশ্বে, কেউ সাইবার নিরাপত্তাকে উপেক্ষা করতে পারে না। একটি একক নিরাপত্তা লঙ্ঘন লক্ষ লক্ষ মানুষের ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশ করতে পারে। এই লঙ্ঘনগুলি কোম্পানিগুলির উপর একটি শক্তিশালী আর্থিক প্রভাব ফেলে এবং গ্রাহকদের বিশ্বাস হারায়। সুতরাং, স্প্যামার এবং সাইবার অপরাধীদের হাত থেকে ব্যবসা এবং ব্যক্তিদের রক্ষা করার জন্য সাইবার নিরাপত্তা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।

ফোর্বসের মতে , 2022 আমাদেরকে বৈচিত্র্যময় এবং ভয়ঙ্কর সাইবার নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জের একটি প্যাক নিয়ে হাজির করবে, সরবরাহ চেইন বিঘ্নিত হওয়া থেকে স্মার্ট ডিভাইসের ঝুঁকি বাড়ানো থেকে শুরু করে ক্রমাগত সাইবার নিরাপত্তা প্রতিভার খরা পর্যন্ত সবকিছু।

সাইবার ক্রাইম ম্যাগাজিনের মতে , 2025 সালের মধ্যে সাইবার ক্রাইম বার্ষিক 10.5 ট্রিলিয়ন ডলার খরচ করবে! অধিকন্তু, বিশ্বব্যাপী সাইবার অপরাধের খরচ আগামী চার বছরে প্রায় 15 শতাংশ বার্ষিক বৃদ্ধির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে ।

মহামারী, ক্রিপ্টোকারেন্সি এবং দূরবর্তী কাজের বৃদ্ধির মতো ধারণাগুলি অপরাধীদের সুবিধা নেওয়ার জন্য একটি লক্ষ্য-সমৃদ্ধ পরিবেশ তৈরি করতে একত্রিত হচ্ছে।

সাইবার নিরাপত্তা কম্পিউটার সিস্টেম, ডেটা এবং নেটওয়ার্ককে আক্রমণ থেকে রক্ষা করার জন্য প্রযুক্তি, প্রক্রিয়া এবং পদ্ধতিগুলিকে অন্তর্ভুক্ত করে। “সাইবার নিরাপত্তা কি” এবং কিভাবে সাইবার নিরাপত্তা কাজ করে এই প্রশ্নের সর্বোত্তম উত্তর দিতে, আমাদের এটিকে সাবডোমেনের একটি সিরিজে ভাগ করতে হবে:

অ্যাপ্লিকেশন নিরাপত্তা

অ্যাপ্লিকেশন নিরাপত্তা বিভিন্ন ধরনের হুমকির বিরুদ্ধে একটি প্রতিষ্ঠানের সফ্টওয়্যার এবং পরিষেবাগুলিতে বিভিন্ন প্রতিরক্ষা বাস্তবায়নকে কভার করে। এই সাব-ডোমেনের জন্য সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের সুরক্ষিত কোড লিখতে, সুরক্ষিত অ্যাপ্লিকেশন আর্কিটেকচার ডিজাইন করতে, শক্তিশালী ডেটা ইনপুট বৈধতা প্রয়োগ করতে এবং আরও অনেক কিছুর জন্য প্রয়োজন, যাতে অননুমোদিত অ্যাক্সেস বা অ্যাপ্লিকেশন সংস্থানগুলির পরিবর্তনের সম্ভাবনা কম হয়। 

ক্লাউড নিরাপত্তা

ক্লাউড সিকিউরিটি অ্যামাজন ওয়েব সার্ভিসেস, গুগল, অ্যাজুর, র্যাকস্পেস ইত্যাদির মতো ক্লাউড পরিষেবা প্রদানকারী ব্যবহার করে এমন কোম্পানিগুলির জন্য নিরাপদ ক্লাউড আর্কিটেকচার এবং অ্যাপ্লিকেশন তৈরির সাথে সম্পর্কিত।

 

কিভাবে সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়ঃ

কিভাবে সাইবার নিরাপত্তা বাড়ানো যায় 0How to tide cyber security-bangla note boi
কিভাবে সাইবার নিরাপত্তা বাড়ানো যায়-How to tide cyber security-bangla note boi

কম্পিউটার ও স্মার্ট ডিভাইস ছাড়া অফিস নিজের কাজ চিন্তারও বাইরে। কেবল কাজ নয়, প্রতিষ্ঠানের আয়-ব্যয়সহ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য কম্পিউটারে ডিজিটাল ফাইল আকারে সংরক্ষিত থাকে যা আমাদের কাছে অতিগুত্বপুর্ণ। অফিসে সাধারণত যে নেটওয়ার্ক ব্যবহার করা হয়, তা নিরাপদ রাখা যেমন জরুরি তেমনি আমাদের ব্যবহারিক ডিভাইসটিরও যথার্থ নিরাপত্তা দরকার। ব্যবস্থাপককে অফিসের নেটওয়ার্ক নিরাপদ কি না, তা নিয়মিত পরীক্ষা করে দেখতে হবে। গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসন বিভাগসহ মানবসম্পদ বিভাগের তথ্য যাতে বেহাত না হয়, সে জন্য সতর্ক থাকতে হবে। অ্যাডমিন আইডিতে যেন বাইরের কেউ ঢুকতে না পারে, তা নিশ্চিত রাখতে হবে।

ডিজিটাল যুগে তথ্য প্রযুক্তি নির্ভরতা জীবনে নিরাপদ থাকার জন্য আমরা কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে পারি যা নিচে উল্লেখ করা হলো।

সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিরাপত্তায় করণীয় ও বর্জনীয় কি !

সোশ্যাল মিডিয়া সুরক্ষা
✓ ৮-১৫ সংখ্যার শক্তিশালী পাসওয়ার্ড/পিন ব্যবহার করা যা ইউনিক হতে হবে।
✓ মাল্টিফেক্টর অথেনটিকেশন সেবা চালু রাখতে হবে।
✓ জাতীয় পরিচয়পত্র, ড্রাইভিং লাইসেন্স, পাসপোর্ট এর কপি/ছবি ইত্যাদি কোন ভাবেই অপরিচিত কারো সাথে আদান-প্রদান না করা।
✓ অনলাইনে অপরিচিত ব্যক্তির সাথে যোগাযোগ করা থেকে বিরত থাকুন।
✓ ম্যাসেজ এ কারো দেওয়া কোনো লিংক (ওয়েবসাইট) এ প্রবেশ করবেন না বা করলে আগে যাচাই করে নিন।
✓ নিজের ছবি, ভিডিও বিভিন্ন তথ্য শেয়ার এর পূর্বে নির্দিষ্ট শেয়ার প্রাইভেসি নির্বাচন করা দরকার।

সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে কিছু নির্দেশনা
✓ যেকোনো পোষ্ট শেয়ার করার পূর্বে তার সত্যতা যাচাই করে নিন।
✓ সংবেদনশীল কোনো তথ্য আদান-প্রদান, সংরক্ষণ ও পোষ্ট করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
✓ যতটা সম্ভব নিজের ব্যক্তিগত তথ্যের গোপনীয়তা নিশ্চিত করুন এবং অন্যদের জানাতে অহেতুক তথ্য প্রচার করা যাবে না।
✓ ধর্মীয় উস্কানিমূলক কোনো তথ্য পোষ্ট, শেয়ার কিংবা বার্তা প্রেরণ থেকে বিরত থাকা প্রয়োজন।
✓ আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকুন এবং দেশে প্রচলিত আইন সম্পর্কে সচেতন হোন।

কম্পিউটার / মোবাইল ফোন সুরক্ষা
✓ ম্যালওয়্যার বা ভাইরাস থেকে সুরক্ষায় মোবাইল এ এন্টিভাইরাস সেবা নিশ্চিত করুন।
✓ ইমেইল এ প্রাপ্ত ফাইল ডাউনলোড করার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করুন কারন এখানে হ্যাকিং ইলিমেন্টস থাকতে পারে।
✓ শুধু মাত্র প্রয়োজনীয় বৈধ এপ্লিকেশন/সফটওয়্যার ব্যবহার করুন।
✓ অপ্রয়োজনীয় সফটওয়্যার মুছে ফেলুন অথবা নিষ্ক্রিয় করে রাখুন।
✓ সব সময় আপনার ফোন বা ডিভাইস হালনাগাদ রাখুন।

কম্পিউটার ও মোবাইল ব্যবহারে সতর্কতা

কম্পিউটার মোবাইল ব্যবহারে কিছু নির্দেশনা
✓ সংবেদনশীল ছবি সংরক্ষণ না করা।
✓ নিজের ব্যক্তিগত ডিভাইস অন্যকে ব্যবহার করতে দেয়া থেকে বিরত থাকা।
✓ ব্যবহৃত ডিভাইস পুনরায় বিক্রির অথবা মেরামত করানোর সময় সাবধানতা অবলম্বন করা।
✓ অপরিচিত কারো পেন ড্রাইভ, মেমোরি কার্ড ব্যবহার না করা।
✓ অপরিচিত কোথাও “ফ্রি ওয়াইফাই’ ব্যবহার না করা।
✓ ইন্টারনেটে বিচরণে সাবধানতা অবলম্বন করা। শুধু মাত্র প্রয়োজনীয় বৈধ এপ্লিকেশন/সফটওয়্যার ব্যবহার করা।

আরো কিছু নির্দেশনা
✓ সন্দেহভাজন কারো ফোন কলে পেলে তার পরিচয় যাচাই করুন।
✓ এসএমএস এ প্রাপ্ত ওটিপি কোড গোপন রাখুন।
✓ অপরিচিত ব্যক্তির সাথে নিজের ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার থেকে বিরত থাকুন।
✓ একাউন্ট তৈরিতে ব্যবহৃত তথ্য গোপন রাখুন।
✓ অনাকাঙিক্ষত অপ্রয়োজনীয় প্রাপ্ত এসএমএস, কল যথাসম্ভব এড়িয়ে চলুন।
✓ কোনো লিংক এ প্রবেশ করার পূর্বে যাচাই করে নিন লিংকটি ফিশিং লিংক কিনা?
✓ প্রতারণার শিকার হলে দ্রুত আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে যোগাযোগ করুন।

সাইবার জগতে শিশুদের নিরাপদ রাখতে আমাদের করণীয়
✓ নিজেদের ব্যক্তিগত সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্ট ব্যবহার করতে দেয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
✓ নির্দিষ্ট পলিসি অনুযায়ী সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের ক্ষেত্রে আলাদা একাউন্ট তৈরি করুন।
✓ অনলাইন এ বিচরণ নিয়ন্ত্রণ করুন অর্থাৎ অকারণে ব্যবহার নয়।
✓ আপনার ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করতে দেয়ার ক্ষেত্রে ডিজিটাল প্যারান্টাল কন্ট্রোল নিশ্চিত করুন।
✓ সাইবার নিরাপত্তা এবং করণীয় সম্পর্কে শিক্ষা দিন।

সুত্র: ভোরের কাগজ(জেনিফার আলম, সাইবার নিরাপত্তা বিশ্লেষক) ও ইন্টারনেট ।  

বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতিগণের তালিকাঃ ১৯৭১ সাল থেকে বর্তমান

কিভাবে চাকরির প্রস্তুতি নিবেন

বাংলাদেশের প্রশাসনিক ব্যবস্থায় জেলা একটি গুরুত্বপূর্ণ স্তর । কয়েকটি উপজেলা নিয়ে একটি জেলা গঠিত হয় যা আবার একটি বিভাগের আওতায় থাকে । প্রশাসনিকভাবে একটি জেলা একটি বিভাগের অধিক্ষেত্রভুক্ত।

বিভিন্ন চাররীর পরীক্ষার জন্য জেলাগুলোর নাম মনে রাখা খুব কষ্টসাধ্য বেপার। কিন্তু কিছু টেকনিক বা কৌশলের মাধ্যমে সহজেই জেলাগুলোর নাম ও বিভাগ মনে রাখা যায়।

বাংলাদেশে মোট ৮টি বিভাগ আছে। এগুলো হল:

১. ঢাকা  ২.চট্টগ্রাম ৩. সিলেট  ৪. রাজশাহী  ৫.রংপুর ৬.খুলনা  ৭ . বরিশাল ও  ৮.ময়মনসিংহ.

এবং মোট জেলার সংখ্যা ৬৪টি।

আসুন জেনে নেই বিস্তারিত জেলার নামগুলো- বিভাগ অনুযায়ীঃ 

বাংলাদেশের ৬৪টি জেলার নাম

বিভাগ জেলা
চট্টগ্রাম কুমিল্লা, ফেনী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, রাঙ্গামাটি, নোয়াখালী, চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার,

খাগড়াছড়ি, বান্দরবান

রাজশাহী সিরাজগঞ্জ, পাবনা, বগুড়া, রাজশাহী, নাটোর, জয়পুরহাট, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ
খুলনা যশোর, সাতক্ষীরা, মেহেরপুর, নড়াইল, চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া, মাগুরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝিনাইদহ
বরিশাল ঝালকাঠি, পটুয়াখালী, পিরোজপুর, বরিশাল, ভোলা, বরগুনা
সিলেট সিলেট, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ
ঢাকা নরসিংদী, গাজীপুর, শরীয়তপুর, নারায়ণগঞ্জ, টাঙ্গাইল, কিশোরগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, ঢাকা,

মুন্সিগঞ্জ, রাজবাড়ী, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর

রংপুর পঞ্চগড়, দিনাজপুর, লালমনিরহাট, নীলফামারী, গাইবান্ধা, ঠাকুরগাঁও, রংপুর, কুড়িগ্রাম
ময়মনসিংহ শেরপুর, ময়মনসিংহ, জামালপুর, নেত্রকোণা

মনে রাখার চিন্তা আর না, এই লেখাটিতে বেশ কিছু কৌশল বা টেকনিকের মাধ্যমে দেখানো হবে আপনি কিভাবে পরীক্ষা বা জানার জন্য সহজেই বাংলাদেশের ৮টি বিভাগের মোট ৬৪ জেলার নাম আয়ত্ত করে নিতে পারেন।

আওরা এখানে কয়েকটি কৌশল শিখিয়ে দেবো, আপনি এর মধ্যে যেকোন একটি কৌশলের মধ্যেমে মনে রাখতে পারেন। কারন আমরা বিশ্বাস করি একই কৌশল সবার জন্যে উপযুক্ত নাও হতে পারে।

বাংলাদেশের ৮টি বিভাগের ৬৪ জেলার নাম মনে রাখার অব্যর্থ কৌশলঃ

আমরা ইন্টারনেটের বিভিন্ন উৎস, লেখক ও গবেষকের লেখা থেকে আপনার জন্য কিছু নির্দিষ্ট কৌশল বা টেকনিক সংগ্রহ করে এই ব্লগে সংযোজন করেছি যাতে আপনার স্মৃতিতে বাংলাদেশের ৬৪ জেলার নাম এমনভাবে গেঁথে নিতে পারেন, যেকোনো সময় যেকোনো পরীক্ষায় শতভাগ আত্মবিশ্বাসের সাথে সঠিক উত্তর করতে পারেন।

৬৪ জেলার নাম মনে রাখার সহজ কৌশল-বাংলা নোট বই
৬৪ জেলার নাম মনে রাখার সহজ কৌশল

রংপুর বিভাগের জেলা সমূহের নামঃ 

বিভাগ- রংপুর,  প্রতিষ্ঠিত হয়- ২০১০ সালে । মোট জেলার সংখা ৮টি।

পঞ্চগড়, দিনাজপুর, নীলফামারী, লালমনিরহাট, গাইবান্ধা, ঠাকুরগাঁও, রংপুর, কুড়িগ্রাম।

মনে রাখার কৌশল-১ঃ

জেলা গুলো মনে রাখার উপায়পঞ্চলাল ঠাকুর দিনার বিয়ের জন্য নীল রংয়ের কুড়িটা গাই দান করলেন।

ব্যাখ্যাপঞ্চ- পঞ্চগড়,  লাল- লালমনিরহাট, ঠাকুর- ঠাকুরগাঁও, দিনার- দিনাজপুর, নীল- নীলফামারী, রংয়ের- রংপুর, কুড়িটা- কুড়িগ্রাম, গাই- গাইবান্ধা।

মনে রাখার কৌশল-২ঃ

জেলা গুলো মনে রাখার উপায়পঞ্চ ঠাকুর লাল নীল রং এর কুড়িটি গাই দিল।
পঞ্চ-পঞ্চগড়, ঠাকুর – ঠাকুরগাঁও, লাল-  লালমনিরহাট, নীল-  নীলফামারী, রং –  রংপুর , কুড়িটি – কুড়িগ্রাম , গাই-  গাইবান্ধা, দিল -দিনাজপুর।

সিলেট বিভাগের জেলা সমূহের নামঃ 

বিভাগ- সিলেট, প্রতিষ্ঠিত হয়- ১৯৯৫সালে। জেলা- ৪টি।

 সিলেট বিভাগের চারটি জেলা- সিলেট, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ।

মনে রাখার কৌশল-১ঃ

জেলা গুলো মনে রাখার উপায়সিলেটের হবি মৌলভীর সুনাম অনেক।

ব্যাখ্যাসিলেটের- সিলেট, হবি- হবিগঞ্জ,  মৌলভীর- মৌলভীবাজার,  সুনাম- সুনামগঞ্জ।

মনে রাখার কৌশল-২ঃ

জেলা গুলো মনে রাখার উপায়মৌলভীর হবিগঞ্জে সুনাম ছিল।
ব্যাখ্যা: মৌলভীবাজার,  হবিগঞ্জ , সুনামগঞ্জ,  সিলেট।

রাজশাহী বিভাগের জেলা সমূহের নামঃ 

বিভাগ- রাজশাহী,  প্রতিষ্ঠিত হয়- ১৮২৯সালে।  জেলা- ৮টি।

রাজশাহী বিভাগে আটটি জেলা হল- বগুড়া, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ, রাজশাহী, নওগাঁ , নাটোর, পাবনা, জয়পুরহাট।

মনে রাখার কৌশল-১ঃ

জেলা গুলো মনে রাখার উপায়বগুড়ার নবাব সিরাজ শাহ নও মাস যুদ্ধ করে নাটকীয়ভাবে পাবনা জয় করলেন।

ব্যাখ্যাবগুড়ার- বগুড়া, নবাব- চাঁপাইনবাবগঞ্জ, সিরাজ- সিরাজগঞ্জ, শাহ- রাজশাহী, নও- নওগাঁ , মাস- যুদ্ধ- করে নাটকীয়ভাবে- নাটোর, পাবনা- পাবনা, জয়- জয়পুরহাট।

মনে রাখার কৌশল-২ঃ

জেলা গুলো মনে রাখার উপায়চাপাবাজ নাসির।

ব্যাখ্যাচাপাইনবাবগঞ্জ, পাবনা, বগুড়া,  জয়পুরহাট, নওগা,  নাটোর,  সিরাজগঞ্জ, রাজশাহী।

ঢাকা বিভাগের জেলা সমূহের নামঃ 

বিভাগ- ঢাকা, প্রতিষ্ঠিত হয়-১৮২সালে। জেলা-১৩টি।

ঢাকা বিভাগের জেলাগুলো হলো- মানিকগঞ্জ মুন্সিগঞ্জ, ফরিদপুর গাজীপুর, রাজবাড়ী, গোপালগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী, শরীয়তপুর, ঢাকা, টাঙ্গাইল, কিশোরগঞ্জ, মাদারীপুর।

মনে রাখার কৌশল-১ঃ

জেলা গুলো মনে রাখার উপায়মানিক মুন্সি আর ফরিদ গাজী রাজার নিকট প্রতিবাদ জানালো যে,গোপাল নারায়ণ সাহেব নরসিংহের ন্যায় শরিয়ত অমান্য করে ঢাক ঢোল পিটিয়ে টাঙ্গাইলের এক কিশোরকে মাদারী বলে গালি দিয়েছে।

ব্যাখ্যা মানিক- মানিকগঞ্জ,  মুন্সি- মুন্সিগঞ্জ, ফরিদ- ফরিদপুর, গাজী- গাজীপুর, রাজার- রাজবাড়ী, গোপাল- গোপালগঞ্জ, নারায়ণ- নারায়ণগঞ্জ, নরসিংহের- নরসিংদী,  শরিয়ত- শরীয়তপুর,  ঢাক- ঢাকা, ঢোল টাঙ্গাইলের- টাঙ্গাইল, কিশোরকে- কিশোরগঞ্জ, মাদারী- মাদারীপুর।

মনে রাখার কৌশল-২ঃ

জেলা গুলো মনে রাখার উপায়কিগো শরিফের মামু রানা গাজীর টাকাই সিন্ধুকে।।
ব্যাখ্যাকিশোরগঞ্জ, গোপালগঞ্জ, শরিয়তপুর, ফরিদপুর, মাদারীপুর, মানিকগঞ্জ,  মুন্সিগঞ্জ, রাজবাড়ি, গাজীপুর, টাংগাইল, নারায়ণগঞ্জ।

ময়মনসিং বিভাগের জেলা সমূহের নামঃ 

বিভাগ- ময়মনসিংহ,  প্রতিষ্ঠিত হয়- ২০১৫সালে । জেলা- ৪টি।

ময়মনসিংহ জেলার সংখ্যা চারটি- নেত্রকোণা, জামালপুর, ময়মনসিংহ, শেরপুর।

মনে রাখার কৌশল-১ঃ

জেলা গুলো মনে রাখার উপায়নেএকোনার জামাল সাহেব নয়মন শিং মাছে ৯ শের বেশি দিল।

ব্যাখ্যানেএকোনার- নেত্রকোণা, জামাল- জামালপুর, নয়মন শিং- ময়মনসিংহ,  শের-শেরপুর।

মনে রাখার কৌশল-২ঃ

জেলা গুলো মনে রাখার উপায়: নেত্রকোনার জাম শেরা।
ব্যাখ্যানেত্রকোনা, জামালপুর , ময়মনসিংহ , শেরপুর।

খুলনা বিভাগ বিভাগের জেলা সমূহের নামঃ 

বিভাগ- খুলনা,  প্রতিষ্ঠিত হয়- ১৯৬০সালে। জেলা- ১০টি।

খুলনা বিভাগের ১০ টি জেলার নাম- সাতক্ষীরা, মাগুরা, বাগেরহাট, মেহেরপুর, খুলনা, ঝিনাইদহ, চুয়াডাঙ্গা, নড়াইল, কুষ্টিয়া, যশোর।

মনে রাখার কৌশল-১ঃ

জেলা গুলো মনে রাখার উপায়সাত সন্তানের মা বাঘিনী কন্যা মেহেরুন্নেছা চুল খুলে ঝিনুক ডাঙ্গায় বসে নর প্রেমে মজিয়া লোকের কুৎসায় আপনার যশ খ্যাতি হারাইল।

ব্যাখ্যাসাত- সাতক্ষীরা,  মা- মাগুরা, বাঘিনী- বাগেরহাট, মেহেরুন্নেছা- মেহেরপুর,  খুলে- খুলনা,  ঝিনুক- ঝিনাইদহ, ডাঙ্গায়- চুয়াডাঙ্গা,  নর- নড়াইল, কুৎসায়- কুষ্টিয়া,  যশ- যশোর।

মনে রাখার কৌশল-২ঃ

চট্টগ্রাম বিভাগের জেলা সমূহের নামঃ 

বিভাগ- চট্টোগ্রাম, প্রতিষ্ঠিত হয়- ১৮২৯সালে। জেলা-১১টি।

চট্টগ্রাম বিভাগের জেলা কয়টি জেলা রয়েছে- চট্টগ্রাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া,  ফেনী, কক্সবাজার, লক্ষ্মীপুর, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর , নোয়াখালী, কুমিল্লা।

মনে রাখার কৌশল-১ঃ

জেলা গুলো মনে রাখার উপায়গ্রামের ব্রাহ্মণ ফেনী বাজারের লক্ষী দেবীকে ছড়ি হাতে বললেন যে,বান্দর আবার রাঙা চাঁদ হয় নাকি হোক সে নোয়া কিংবা পুরাতন,এসবই কু-কথা।

ব্যাখ্যাগ্রামের- চট্টগ্রাম,  ব্রাহ্মণ- ব্রাহ্মণবাড়িয়া,  ফেনী- ফেনী,  বাজারের- কক্সবাজার, লক্ষী- লক্ষ্মীপুর,  ছড়ি- খাগড়াছড়ি, বান্দর- বান্দরবান, রাঙা- রাঙ্গামাটি, চাঁদ- চাঁদপুর, নোয়া- নোয়াখালী, কু-কথা- কুমিল্লা ।

মনে রাখার কৌশল-২ঃ

জেলা গুলো মনে রাখার উপায়ব্রাহ্মণ কুমিল্লার লক্ষীকে চাঁদে নেয় ফিরনী চকবার খায়।।।
ব্যাখ্যাব্রাহ্মণবাড়িয়া,  কুমিল্লা , লক্ষীপুর,  চাঁদপুর, নোয়খালী, ফেনী, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বান্দরবন,  রাঙ্গামাটি,  খাগরাছড়ি।

বরিশাল বিভাগের জেলা সমূহের নামঃ 

বিভাগ- বরিশাল,  প্রতিষ্ঠিত হয়- ১৯৯৩সালে। জেলা- ৬টি।

বরিশাল বিভাগে মোট  টি জেলা রয়েছে – পিরোজপুর, বরিশাল, বরগুনা ঝালকাঠি, পটুয়াখালী, ভোলা।

মনে রাখার কৌশল-১ঃ

জেলা গুলো মনে রাখার উপায়পরীর ২ বর ঝাল পটেটো ভালোবাসে

ব্যাখ্যাপরীর- পিরোজপুর, ২ বর- বরিশাল, বরগুনা, ঝাল- ঝালকাঠি, পটেটো- পটুয়াখালী, ভালোবাসে-ভোলা।

মনে রাখার কৌশল-২ঃ

জেলা গুলো মনে রাখার উপায়পপির ২(বর) ঝাল ভালোবাসে।।
ব্যাখ্যাপটুয়াখালী, পিরোজপুর,  বরগুনা , বরিশাল, ঝালকাঠী, ভোলা।

উপরের নিয়মের দ্বারা অনেকেরই মনে নাও থাকতে পারে কিন্তু নিচে আরও একটি নিয়ম বা কৌশল দেয়া হল যা একটু ভিন্ন রকম কিন্তু ১০০ ভাগ কর্যকরী।

৬৪ জেলার নাম মনে রাখার কৌশল-বাংলা নোট বই
৬৪ জেলার নাম মনে রাখার কৌশল

চলুন তাহলে একটা ভিন্ন ধর্মী কৌশলে শিখে নেই কিভাবে ৬৪ জেলার নাম মনে রাখবেন খুব সহজেই! 

বাংলাদেশের ৬৪ জেলার নাম মনে রাখার সহজ উপায়ঃ অব্যর্থ কৌশল বা টেকনিক

এই নিয়মে আপনি যেকোনো পরীক্ষায় বা প্রতিযোগীতায় যেকোন পরিস্থিতিতে সব জেলার নাম বাচ্চাদের  মত করে মনে করতে পারবেন।

১. পুরযুক্ত ১২টি জেলা:
চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, মেহেরপুর, পিরোজপুর, গাজীপুর, শরিয়তপুর, মাদারীপুর, ফরিদপুর, শেরপুর, জামালপুর, দিনাজপুর, রংপুর।

২. গঞ্জযুক্ত ৯টি জেলা:
সিরাজগঞ্জ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, গোপালগঞ্জ।

৩. শেষে আ-কারযুক্ত ১৫টি জেলা:
কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, বগুড়া, পাবনা, সাতক্ষীরা, চুয়াডাঙ্গা, নওগাঁ, কুষ্টিয়া, মাগুরা, ভোলা, খুলনা, বরগুনা, ঢাকা, গাইবান্ধা, নেত্রকোণা।

৪. হাটযুক্ত ৩টি জেলা:

জয়পুরহাট, বাগেরহাট, লালমনিরহাট।

৫. বাজারযুক্ত ২টি জেলা:

কক্সবাজার, মৌলভীবাজার।

৬. গ্রামযুক্ত ২টি জেলা:

চট্টগ্রাম, কুড়িগ্রাম।

৭. খালীযুক্ত ২টি জেলা:

নোয়াখালী, পটুয়াখালী।

৮. আইলযুক্ত ২টি জেলা:

নড়াইল, টাঙ্গাইল।

৯. শেষে ই-কারযুক্ত ৩টি জেলা:

রাঙ্গামাটি, ঝালকাঠি, খাগড়াছড়ি।

১০. শেষে ঈ-কারযুক্ত ৫টি জেলা: (খালী ছাড়া)

ফেনী, রাজশাহী, নরসিংদী, রাজবাড়ী, নীলফামারী।

১১. শেষে কারবিহীন ৯টি জেলা: (পুর, বাজার, গঞ্জ, হাট, গ্রাম, আইল ছাড়া)

বান্দরবান, নাটোর, যশোর, ঝিনাইদহ, সিলেট, বরিশাল, পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, ময়মনসিংহ।

রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশের আইনবিভাগ, শাসনবিভাগ ও বিচারবিভাগের সকল শাখার আনুষ্ঠানিক প্রধান এবং বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর সর্বাধিনায়ক (কমান্ডার ইন চিফ)। রাষ্ট্রপতির দণ্ডিত ব্যক্তির দণ্ডাদেশ স্থগিত, হ্রাস বা দণ্ডিতকে ক্ষমা করার অধিকার রয়েছে। বর্তমানে রাষ্ট্রপতি জাতীয় সংসদ কর্তৃক নির্বাচিত হয়ে থাকেন। ১৯৯১ খ্রিষ্টাব্দে সংসদীয় গণতন্ত্র চালু হওয়ার পূর্বে রাষ্ট্রপতি সরাসরি জনগণের ভোটে নির্বাচিত হতেন। রাষ্ট্রপতির কার্যকালের মেয়াদ পাঁচ বছর। অতীতে দেখা গিয়েছে যে, শাসক দলের মনোনীত প্রার্থীই রাষ্ট্রপতি হয়েছেন। অনেকেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। ক্ষমতাসীন রাষ্ট্রপতি পুনরায় নির্বাচনে লড়তে পারেন।

প্রত্যেক সাধারণ নির্বাচনের পর সংসদের প্রথম অধিবেশনের উদ্বোধনী ভাষণটি দেন রাষ্ট্রপতি। বছরের প্রথম সংসদীয় অধিবেশনের প্রথম উদ্বোধনী ভাষণটিও তিনিই দেন। তার এই ভাষণটি আসলে নতুন সরকারি নীতির রূপরেখা মাত্র। জাতীয় সংসদে পাস হওয়া প্রতিটি বিল রাষ্ট্রপতির সম্মতিক্রমে আইনে পরিণত হয়।

বাংলাদেশের বর্তমান রাষ্ট্রপতি

১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ তারিখে সাহাবুদ্দিন আনুষ্ঠানিকভাবে দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসাবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন সোমবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৩-এ পাঁচ বছরের মেয়াদের জন্য দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
বাংলাদেশের ২২ তম রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন-banglanoteboi
বাংলাদেশের ২২ তম রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন (জন্ম: ১৯৪৯)

বাংলাদেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য ২০২৩ সালের বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি নির্বাচন রবিবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ তারিখে নির্ধারিত ছিল। তবে ১২ ফেব্রুয়ারি দুপুরে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া বন্ধ হয়ে যায় এবং আওয়ামী লীগের রাজনীতিবিদ মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন, যিনি সংবিধানের বিধান অনুযায়ী মনোনয়ন দিয়েছিলেন, তিনিই একমাত্র প্রার্থী ছিলেন। এইভাবে ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ তারিখে সাহাবুদ্দিন আনুষ্ঠানিকভাবে দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসাবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন সোমবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৩-এ পাঁচ বছরের মেয়াদের জন্য দায়িত্ব গ্রহণ করেন।[

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি। তিনি ১৭ এপ্রিল ১৯৭১ থেকে ১২ জানুয়ারি ১৯৭২ পর্যন্ত এবং ২৫ জানুয়ারি ১৯৭৫ থেকে ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ পর্যন্ত রাষ্ট্রপতি ছিলেন। উপরে ডানে: জিয়াউর রহমান, বাংলাদেশের জনগণের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত প্রথম রাষ্ট্রপতি

বাংলাদেশের সকল রাষ্ট্রপতিগণ -এর নাম, মেয়াদকাল এবং কোন দল থেকে সমর্থীত হয়ে রাষ্ট্রপতি হয়েছেন তার একটা তালিকা নিচে দেওয়া হলো;

সাবেক রাষ্ট্রপতিগণ

এটি ১৯৭১ সালের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের পর থেকে বাংলাদেশের সকল রাষ্ট্রপতিদের সম্পূর্ণ তালিকা। (সূত্র: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ)
ক্রমিক নংনামপদ গ্রহণ পদ পরিত্যাগমেয়াদকালসমর্থিত দলজন্মস্থান
১মশেখ মুজিবুর রহমান
(১৯২০-১৯৭৫)
১৭ এপ্রিল ১৯৭১১২ জানুয়ারি ১৯৭২২৭০ দিনবাংলাদেশ আওয়ামী লীগগোপালগঞ্জ (টুঙ্গিপাড়া গ্রাম)
২য়সৈয়দ নজরুল ইসলাম
(১৯২৫-১৯৭৫)[
১৭ এপ্রিল ১৯৭১১২ জানুয়ারি ১৯৭২২৭০ দিনবাংলাদেশ আওয়ামী লীগময়মনসিংহ (বর্তমান কিশোরগঞ্জ)
৩য়আবু সাঈদ চৌধুরী
(১৯২১–১৯৮৭)
১২ জানুয়ারি ১৯৭২ ২৪ ডিসেম্বর ১৯৭৩ ১ বছর, ৩৪৬ দিন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
৪র্থমোহাম্মদউল্লাহ
(১৯২১–১৯৯৯)
২৪ ডিসেম্বর ১৯৭৩ ২৫ জানুয়ারি ১৯৭৫১ বছর, ৩২ দিনবাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
৫মশেখ মুজিবুর রহমান
(১৯২০-১৯৭৫)
২৫ জানুয়ারি ১৯৭৫ ১৫ আগস্ট ১৯৭৫২০২ দিন বাকশালগোপালগঞ্জ (টুঙ্গিপাড়া গ্রাম)
৬ষ্ঠখন্দকার মোশতাক আহমেদ
(১৯১৮–১৯৯৬)
১৫ আগস্ট ১৯৭৫৬ নভেম্বর ১৯৭৫৮৩ দিনবাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
৭ম আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েম
(১৯১৬–১৯৯৭)
৬ নভেম্বর ১৯৭৫২১ এপ্রিল ১৯৭৭১ বছর, ১৬৬ দিনবাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
৮মজিয়াউর রহমান
(১৯৩৬–১৯৮১)
২১ এপ্রিল ১৯৭৭৩০ মে ১৯৮১৪ বছর, ৩৯ দিনসামরিক /
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল
৯মআবদুস সাত্তার
(১৯০৬–১৯৮৫)
৩০ মে ১৯৮১২৪ মার্চ ১৯৮২২৯৮ দিন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল
১০মআ ফ ম আহসানউদ্দিন চৌধুরী
(১৯১৫–২০০১)
২৭ মার্চ ১৯৮২ ১০ ডিসেম্বর ১৯৮৩ ১ বছর, ২৫৮ দিন নির্দলীয়
১১তমহুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ
(১৯৩০–২০১৯)
১১ ডিসেম্বর ১৯৮৩৬ ডিসেম্বর ১৯৯০ ৬ বছর, ৩৬০ দিন সামরিক /
জাতীয় পার্টি
১২তমশাহাবুদ্দিন আহমেদ
(১৯৩০-২০২২)
৬ ডিসেম্বর ১৯৯০ ১০ অক্টোবর ১৯৯১ ৩০৮ দিন নির্দলীয়
১৩তমআবদুর রহমান বিশ্বাস
(১৯২৬–২০১৭)
১০ অক্টোবর ১৯৯১৯ অক্টোবর ১৯৯৬ ৪ বছর, ৩৬৫ দিন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল
১৪তমশাহাবুদ্দিন আহমেদ
(১৯৩০-২০২২)
৯ অক্টোবর ১৯৯৬ ১৪ নভেম্বর ২০০১ ৫ বছর, ৩৬ দিন নির্দলীয়
১৫তমএকিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী
(জন্ম ১৯৩২)
১৪ নভেম্বর ২০০১ ২১ জুন ২০০২ ২১৯ দিন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল
১৬তমজমির উদ্দিন সরকার
(জন্ম ১৯৩১)
২১ জুন ২০০২ ৬ সেপ্টেম্বর ২০০২৭৭ দিন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল
১৭তমইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ
(১৯৩১–২০১২)
৬ সেপ্টেম্বর ২০০২ ১২ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ৬ বছর, ১৫৯ দিন নির্দলীয়
১৮তমজিল্লুর রহমান
(১৯২৯–২০১৩)
১২ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ২০ মার্চ ২০১৩৪ বছর, ৩৬ দিনবাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
১৯তমআবদুল হামিদ
(জন্ম ১৯৪৪)
১৪ মার্চ ২০১৩ ২৪ এপ্রিল ২০২৩১০ বছর, ৪১ দিনবাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
২০তমমোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন
(জন্ম: ১৯৪৯)
২৪ এপ্রিল ২০২৩বর্তমান- বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ

সংবিধানের ৪৮ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সংসদ সদস্যদের দ্বারা পরোক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। যাইহোক, ১৯৯১ সাল থেকে যখন বাংলাদেশে সংসদীয় সরকার ব্যবস্থা পুনরুদ্ধার করা হয়েছিল, তখন থেকে সরকার দলীয় প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

চাকরি প্রস্তুতি করা হলো চাকরি অর্জনের সুযোগ বৃদ্ধির জন্য যে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ সম্পন্ন করা হয়। চাকরি প্রস্তুতি করতে ব্যাপক যত্ন নিতে হয়, যাতে নিজের সময়, কাজের দক্ষতা, আত্মবিশ্বাস এবং দক্ষতা প্রদর্শনের সুবিধার মাধ্যমে পাওয়া যায়। এই নিবন্ধে আমরা চাকরি প্রস্তুতি প্রক্রিয়াটি একটি সংক্ষিপ্ত পর্যালোচনা করব।

নেটওয়ার্কিং ও সাম্প্রতিক সংযোগ

মনে রাখবেন, চাকরি প্রস্তুতি ব্যক্তিগত ও পেশাগত উন্নতির একটি অবিচ্ছিন্ন অংশ। প্রস্তুতিশীলতা, উপযোগিতা, ও নির্ধারিত লক্ষ্য সাধারণত চাকরির সফলতা পেতে সাহায্য করে। আপনি এই প্রস্তুতি করে আপনার আগ্রহ প্রদর্শন করতে পারেন ও চাকরি সংক্রান্ত সুযোগগুলি উপভোগ করতে পারেন।

চাকরি প্রস্তুতি প্রক্রিয়াটি নিম্নের ধাপগুলি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব:

১. স্ব-মূল্যায়ন ২. গবেষণা ৩. লক্ষ্য স্থাপন ৪. দক্ষতা উন্নয়ন ৫. রেজিউমি এবং কভার লেটার ৬. নেটওয়ার্কিং ৭. সাক্ষাৎকার প্রস্তুতি ৮. মক সাক্ষাৎকার ৯. কোম্পানি গবেষণা ১০. হালনাগাদ থাকুন ১১. অনলাইন উপস্থিতি ১২. স্বাস্থ্য ও যত্ন

আসুন এখন আমরা প্রতিটি ধাপকে বিস্তারিত আলোচনা করি:

১. স্ব-মূল্যায়ন: চাকরি প্রস্তুতির প্রথম ধাপ হলো নিজের মূল্যায়ন করা। আপনার কাজের দক্ষতা, অভিজ্ঞতা, শক্তিসম্পন্নতা, এবং আগ্রহ সম্পর্কে ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করুন। আপনি যে কাজগুলিতে ভালো আছেন তা ধরুন। নিজের দক্ষতা, দুর্বলতা, ও আগ্রহ নির্ধারণ করে আপনি যে ধারণা পাচ্ছেন তা স্পষ্ট করুন। স্ব-মূল্যায়ন করা আপনাকে সঠিক পথ নির্দেশনা দেয়ে চাকরি প্রস্তুতি প্রক্রিয়ার জন্য।

২. গবেষণা: চাকরি প্রস্তুতি করতে আপনাকে বিভিন্ন শিল্প, প্রতিষ্ঠান, এবং চাকরির পদ পর্যবেক্ষণ করা উচিত। নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠান এবং পদগুলি সন্ধান করুন এবং তাদের জব বিবরণ এবং প্রয়োজনীয়তা পর্যবেক্ষণ করুন। আপনি ইন্টারনেট, নিউজপেপার, ব্যক্তিগত সাক্ষাৎকার, এবং প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে তথ্য সংগ্রহ করতে পারেন। এছাড়াও, সম্প্রতির চাকরি বাজার অবস্থা, ট্রেন্ড এবং প্রতিযোগিতার সম্ভাব্য প্রশ্নগুলি জানা উচিত।

৩. লক্ষ্য স্থাপন: একটি পরিকল্পনা ছাড়া কোন পরিচালনা সম্ভব নয়। চাকরি প্রস্তুতি করার জন্য আপনাকে একটি স্পষ্ট লক্ষ্য স্থাপন করতে হবে। যেকোনো পেশায় লক্ষ্য নির্ধারণ করুন এবং প্রাথমিক, মাঝকালীন, এবং দীর্ঘস্থায়ী লক্ষ্যগুলি পরিচালনা করার উপযোগী পরিকল্পনা তৈরি করুন। লক্ষ্য নির্ধারণ করলে আপনি স্পষ্টতার সাথে প্রস্তুতি করতে পারবেন এবং আপনার পরিকল্পনার অনুযায়ী ক্রিয়াশীলতা গ্রহণ করতে পারবেন।

৪. দক্ষতা উন্নয়ন: চাকরি প্রস্তুতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো আপনার দক্ষতা উন্নতি। নিজের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা উন্নত করতে আপনি কোর্স, ট্রেনিং, ও সার্টিফিকেট প্রাপ্ত করতে পারেন। নতুন ক্ষেত্রে পরিচিত হওয়ার জন্য প্রকাশনা, সেমিনার, ও ওয়ার্কশপের মতো সুযোগগুলি অনুশন করতে পারেন। যোগ্যতা প্রাপ্তি এবং বিদেশে পরিচালিত কোর্সগুলি অনুশন করলে আপনি আকর্ষণীয় প্রাতিষ্ঠানিক যোগ্যতা সংগ্রহ করতে পারেন।

৫. রেজিউমি এবং কভার লেটার: রেজিউমি এবং কভার লেটার আপনার প্রস্তুতির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনার রেজিউমি ব্যক্তিগত তথ্য, শিক্ষাগত যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা, ও দক্ষতার সংক্ষিপ্ত সম্পর্কে পরিচিতি দিতে হবে। এটি আপনার চাকরির আবেদনপত্রের অংশ হবে, সুতরাং সঠিক ভাবে তথ্য প্রদান করা প্রয়োজন। কভার লেটার আপনার আগ্রহ প্রকাশ করবে ও কাজের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য প্রদান করবে।

৬. নেটওয়ার্কিং: নেটওয়ার্কিং চাকরি প্রস্তুতির একটি মাধ্যম যা আপনাকে সম্ভাব্য কর্মসংস্থানের সাথে যুক্ত করবে। আপনি বেশিরভাগ জব অফার নিয়ে থাকলেও নেটওয়ার্কিং এর মাধ্যমে নতুন সম্ভাব্য কর্মসংস্থানে পৌঁছে যাবেন। পেশাগত সম্পর্ক ও প্রশাসনিক কর্মসংস্থানে আপনার নেটওয়ার্ক পরিচালনা করুন। সামাজিক মাধ্যম, পেশাগত সম্পর্ক, ও কর্মসংস্থানের ইভেন্টে অংশ নিন এবং কর্মসংস্থানের সাথে যোগাযোগ করুন।

৭. সাক্ষাৎকার প্রস্তুতি: সাক্ষাৎকার সময়ে আপনাকে প্রস্তুত হতে হবে যেন আপনি সঠিক উত্তর প্রদান করতে পারেন এবং আপনার যোগ্যতা ও দক্ষতা প্রদর্শন করতে পারেন। আপনি সাক্ষাৎকারের জন্য প্রশ্ন-উত্তর সেশনে অংশ নিতে পারেন এবং আপনার কাছে প্রতিদ্বন্দ্বী নিয়মিত প্রশ্নগুলি করতে পারেন। সাক্ষাৎকার প্রস্তুতি করার জন্য আপনি আগের অভিজ্ঞতা, সঠিক উত্তরের প্রয়োজনীয়তা এবং আপনার প্রদর্শিত কর্মসংস্থানের উপর ভিত্তি করে প্রশ্ন তৈরি করতে পারেন।

৮. মক সাক্ষাৎকার: মক সাক্ষাৎকার প্রস্তুতি একটি মাধ্যম যা আপনাকে প্রতিষ্ঠানের নির্দেশিকা, পদ বিবরণ, ও পদস্থ সমস্যার সাথে পরিচিত করে তুলবে। মক সাক্ষাৎকারের জন্য আপনি আপনার উদ্যেশ্য, প্রশ্ন-উত্তর, ও আপনার যোগ্যতা সম্পর্কে তথ্য প্রদান করতে হবেন। আপনি এটির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের পদের প্রতিস্থাপন করতে পারেন এবং আপনার দক্ষতা ও স্থায়িত্ব প্রদর্শন করতে পারেন।

৯. মক সাক্ষাৎকার: মক সাক্ষাৎকার করা চাকরির প্রস্তুতিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি পদক্ষেপ। এটি আপনাকে সাক্ষাৎকারিক দক্ষতা অভিজ্ঞতা অর্জন করতে সাহায্য করবে। আপনি ক্যারিয়ার কাউন্সেলিং সেন্টার, অনলাইন সম্পদ ব্যবহার বা একজন বন্ধু বা পরিবারের সদস্যের সাহায্যে মক সাক্ষাৎকার করতে পারেন। এটি আপনাকে সাধারণ সাক্ষাৎকার প্রশ্নের পরিচিতি প্রদান করবে, আপনার যোগাযোগ ও প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট দক্ষতা উন্নত করবে এবং আপনাকে আসল সাক্ষাৎকারের সময় আত্মবিশ্বাস দেবে।

১০. গবেষণা এবং কোম্পানি জ্ঞান: চাকরির প্রস্তুতিতে আপনার আবেদন করছেন প্রতিষ্ঠানটি বা সংগঠনটি সম্পর্কে ভালভাবে গবেষণা করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাদের ওয়েবসাইট, প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য, মানদণ্ড, উৎপাদন বা পরিষেবা, সাম্প্রতিক খবর এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট তথ্য নিয়ে অনুসন্ধান করুন। এটি আপনাকে আবেদনপত্র, কাভার লেটার এবং সাক্ষাৎকারের উত্তরগুলি প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্যের সাথে সাঙ্গঠিত করতে সাহায্য করবে এবং আপনার আগ্রহ ও উত্সাহ প্রদর্শন করতে সাহায্য করবে।

১১. পেশাদারী ইমেজ: পেশাদারী ইমেজ সংরক্ষণ চাকরির প্রস্তুতিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি আপনার সঠিক ভাবে প্রদর্শন করা উচিত এবং সাক্ষাৎকারের জন্য উপযুক্তভাবে পোশাক পরিধান করা উচিত। আপনার সামাজিক মাধ্যম প্রোফাইলগুলি সম্পাদন করে নিজের সঠিক এবং পেশাদারী ইমেজ প্রদর্শন করবেন, যেন সম্ভাব্য কর্তৃপক্ষরা আপনার সাক্ষাৎকারে প্রোফাইল দেখে সম্প্রতি আপডেট করা ইমেজ দেখতে পারেন।

১২. অবিরত শিক্ষা এবং সমষ্টির সঙ্গীতকরণ: চাকরির প্রস্তুতি একটি অবিরত শিক্ষা এবং সমষ্টির সঙ্গীতকরণের প্রক্রিয়া। বই, অনলাইন কোর্স, ওয়েবিনার, কার্যশালা বা বিশেষভাবে আয়োজিত অধ্যায়গুলি এর মাধ্যমে আপডেট হয়ে থাকা প্রতিষ্ঠানিক প্রয়োগ, উন্নতমানের প্রয়োজনীয়তা এবং নতুন প্রয়োগগুলি সম্পর্কে আপডেট হয়ে থাকা অধ্যয়নের মাধ্যমে থাকা খুবই জরুরী। শিখার উদ্দেশ্যে নির্ধারিত অনুসন্ধানের মাধ্যমে সাথে পেশাগত গতিময়তা এবং বিপর্যয়ের পরিবর্তনের প্রতি আপনার সমন্বয় প্রদর্শন করুন।

১৩. সময় পরিচালনা ও সংগঠন: চাকরির প্রস্তুতির জন্য কার্যকর সময় পরিচালনা এবং সংগঠনের দক্ষতা অত্যন্ত জরুরী। গবেষণা করুন, নেটওয়ার্কিং করুন, আপনার রিজিউমে এবং কাভার লেটার আপডেট করুন, এবং সাক্ষাৎকারের দক্ষতা অনুশীলন করুন এই সবকিছুর জন্য সময় নির্ধারণ করতে একটি সময়সূচী তৈরি করুন। লক্ষ্যগুলি নির্ধারণ করুন এবং কাজগুলির প্রাথমিকতা সাজানোর জন্য কার্যকর পরিক্রমা নির্ধারণ করুন যাতে আপনি কেন্দ্রিত থাকেন এবং চাকরি খুঁজতে সময়ে আগ্রসর থাকেন।

১৪. সক্ষম থাকুন এবং অবিচলিত থাকুন: চাকরির প্রস্তুতি কখনই সহজ নয় এবং কার্যক্রমটির মধ্যে প্রতিবন্ধক বা বিপর্যয় সামনে আসতে পারে। একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল সক্ষম থাকা, গ্রোথ মাইন্ডসেট বজায় রাখা এবং চাকরির অনুসন্ধানে আপনার দক্ষতা ও যোগ্যতা উন্নত করা। অস্বীকার গ্রহণ করার সুযোগ হিসেবে ব্যবহার করুন এবং সম্ভাব্য কর্তৃপক্ষের প্রতি আপনার অনুপ্রাণিত এবং সক্রিয় স্থানান্তর দেখানোর চেষ্টা করুন। সাক্ষাৎকারে নিশ্চিত হয়ে উঠুন এবং আপনার দক্ষতা, জ্ঞান ও আচরণ প্রমাণ করুন।

১৫. নেটওয়ার্কিং ও সাম্প্রতিক সংযোগ: চাকরি প্রস্তুতির জন্য নেটওয়ার্কিং এবং সাম্প্রতিক সংযোগ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আপনার পেশাগত সম্পর্কের উপর ভিত্তি করে নেটওয়ার্কিং করুন, যাতে আপনি বিভিন্ন পেশাদার কর্মক্ষেত্রে মানুষের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। কর্মদাতারা একটি সক্ষম ও আদর্শ উম্মুক্ত কর্মীর সন্ধানের জন্য সাধারণত পেশাদার মানুষের উপর নির্ভর করে। সাম্প্রতিক সংযোগগুলি রক্ষা করুন এবং কর্মদাতারা এবং পেশাগত সম্পর্কের জন্য সাম্প্রতিক তথ্য ও সংযোগ অনুসন্ধান করুন। বিভিন্ন পেশার সংগঠনে সদস্য হওয়া, কর্মদাতাদের সাথে বিভিন্ন ইভেন্টে যোগ দিয়ে কর্মদাতা পরিচয় করার চেষ্টা করুন এবং ব্যাপক পেশাদার নেটওয়ার্ক গড়ুন।

১৬. সহায়তা এবং নির্দেশিকা চাইকে অনুরোধ করুন: চাকরি প্রস্তুতি সময়ে সহায়তা এবং নির্দেশিকা চাইকে খুঁজে নিন। যদি আপনি কোনও প্রশ্ন, সন্দেহ, বা আপনার প্রস্তুতি পরিক্ষার জন্য নির্দেশ প্রয়োজন হয়, তাহলে নিকটস্থ পরিচিত ব্যক্তিকে প্রশ্ন করুন বা কর্মদাতার সম্পর্কের মাধ্যমে সাহায্যের জন্য অনুরোধ করুন। যেমনঃ

  • সম্প্রতিক অভিজ্ঞ কর্মীদের কাছে পরামর্শ চান যারা আপনার ইচ্ছামত পেশাগত ক্ষেত্রে সফলতার সাথে কাজ করেছেন।
  • আপনার প্রতিষ্ঠানিক সংগঠনের বিভিন্ন কর্মীদের কাছে সাহায্য চান যারা আপনার প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন পদে কাজ করেন।
  • পেশাদার নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সাহায্য ও নির্দেশিকা চান। বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যম বা পেশাগত ওয়েবসাইটে যোগ দিয়ে সম্পর্ক করুন এবং অনলাইন কমিউনিটিতে পোস্ট করুন যাতে অন্যেরা আপনার জন্য সহায়তা ও নির্দেশিকা প্রদান করতে পারেন।

সহায়তা এবং নির্দেশিকা অনুসন্ধান করার মাধ্যমে আপনি আরও নতুন ধারণা এবং প্রেরণা পেতে পারেন। আপনার চাকরি প্রস্তুতির পথে অভিজ্ঞ ও দক্ষ ব্যক্তিদের সহায়তা ও পরামর্শ আপনাকে সঠিক দিকে নিয়ে যাবে এবং আপনার সাফল্যের সম্ভাবনা বৃদ্ধি করবে।

কিভাবে চাকরির প্রস্তুতি নিবেন

সহজে ইংরেজি বেসিক গ্রামার শিক্ষা-Learning Basic English Grammar Easily। Letter & Alphabet

সাধারণ জ্ঞান ফ্রি পিডিএফঃ বাংলা নোট বই

সংগ্রহ ও লেখাঃ মোঃ নাসরুল্লাহ, মূল পিডিএফঃ ওয়াসিক বিল্লাহ আসিফ, প্রকাশঃ বাংলা নোট বই

ফ্রি পিডিএফ ডাউনলোড করুন 

বাংলাদেশের নদনদী 

নদ-নদী শাখা-প্রশাখাসহ = ২৩০

আন্তঃসীমান্ত নদী = ৫৭ , ভারত- ৫৪, মিয়ানমার- ৩

বিস্তারিত পড়ুন পিডিএফ থেকে। ফ্রি পিডিএফ ডাউনলোড করুন 

সকল চাকরির প্রস্তুতির বেসিক ভোকাবুলারি। ওয়াসিক বিল্লাহ আসিফ। Basic Vocabulary for Job Preperation by Wasik Billah Asif

সব ধরনের চাকরির প্রস্তুতির জন্য বেসিক ভোকাবুলারি। ওয়াসিক বিল্লাহ আসিফ। Free PDF Download। Basic Vocabulary for Job Preperation by Wasik Billah Asif

সব ধরনের চাকরির প্রস্তুতির জন্য বেসিক ভোকাবুলারি। ওয়াসিক বিল্লাহ আসিফ। Free PDF Download। Basic Vocabulary for Job Preperation by Wasik Billah Asif

সম্পুর্ণ বইটি অনলাইনে অর্ডার করুন ডেলিভারি খরচ ছাড়াই! অর্ডার করুন 

সব ধরনের চাকরির প্রস্তুতির জন্য ওয়াসিক বিল্লাহ আসিফ- এর লেখা বেসিক  ভোকাবুলারি। Basic Vocabulary for Job  Preperation by Wasik Billah Asif । ফ্রি পিডিএফ-Free PDF Download। 

ফ্রি পিডিএফ ডাউনলোড করুন এখানে। 

সম্পুর্ণ বইটি অনলাইনে অর্ডার করুন ডেলিভারি খরচ ছাড়াই! অর্ডার করুন 

বেসিক ভোকাবুলারি vocabulay by wasif । Free PDF Download

 

বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের কাছে Vocabulary এক আতংকের নাম। Vocabulary  জোর করে মুখস্ত করার বিষয় নয়, বরং বোঝার বিষয়। মন থেকে শেখার বিষয়।  Basic Vocabulary বইটিতে একেবারে Root থেকে কিভাবে Vocabulary শিখতে হয়  তা বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।

 এখানে পাচ্ছেন বইটির কিছু অংশের পিডিএফ একদম ফ্রি।

 ফ্রি পিডিএফ ডাউনলোড করুন এখানে। 

Free PDF Download-basic vocabulary by Wasif Billa Asif

সম্পুর্ণ বইটি অনলাইনে অর্ডার করুন ডেলিভারি খরচ ছাড়াই! অর্ডার করুন 

বইটি অর্ডার করতে অথবা যেকোনো জিজ্ঞাসা থাকলে ক্লিক করুন- https://cutt.ly/3L0hRS8

Book Review দেখতে এই লিংকে যান 👇👇 ⏩⏩https://fb.watch/bhJ-Dn1hT7/

লেখক: ওয়াসিক বিল্লাহ আসিফ

পরিবেশকঃ Book-Pharma.Com 

মূল্য:  200/- টাকা (কুরিয়ারসহ)

 

সম্পুর্ণ বইটি অনলাইনে অর্ডার করুন ডেলিভারি খরচ ছাড়াই! অর্ডার করুন 

বইটি অর্ডার করতে অথবা যেকোনো জিজ্ঞাসা থাকলে ক্লিক করুন- https://cutt.ly/3L0hRS8

Book Review দেখতে এই লিংকে যান 👇👇 ⏩⏩https://fb.watch/bhJ-Dn1hT7/

বইটি কেন ব্যতিক্রম-

  • Basic থেকে Advance Level পর্যন্ত Vocabulary শেখার জন্য আদর্শ
  • Same suffix যুক্ত Vocabulary একসাথে বিন্যাসকৃত
  • Same prefix যুক্ত Vocabulary একসাথে বিন্যাসকৃত
  • BCS, Bank, IBA সহ বিভিন্ন চাকরীর পরীক্ষায় আসা Vocabulary ব্যাখ্যাসহ উপস্থাপন
  • GRE থেকে Collected vocabulary একসাথে ব্যাখ্যাসহ সংযোজন
  • DU Admission test Vocabulary সংযোজন
  • সহজে Vocabulary শেখার Exclusive টিপস

 

Contact with supplier 

Facebook  Whatsapp

অন্যান্য পিডিএফ বই দেখুন 

সম্পুর্ণ বইটি অনলাইনে অর্ডার করুন ডেলিভারি খরচ ছাড়াই! অর্ডার করুন 

বইটি অর্ডার করতে অথবা যেকোনো জিজ্ঞাসা থাকলে ক্লিক করুন- https://cutt.ly/3L0hRS8

পৌরসভায় ডিসিদের নজরদারি তাহলে নির্বাচিত প্রতিনিধি থাকার প্রয়োজন কি?-

প্রথম আলো সম্পাদকীয়

If DCs oversee Pourashavas, why have elected representatives?

প্রকাশ:  ১৫ মে, ২০২২

 

সম্পুর্ণ পিডিএফ ডাউনলোড করুন ফ্রী 

…………………………………………………………………………….

Class Hour এর সবগুলো ফ্রী বই ও ক্লাস দেখুন এখানে

সম্পুর্ণ পিডিএফ ডাউনলোড করুন ডাউনলোড করুন

ইউটিউবে সম্পাদকীয় অনুবাদের ভিডিও দেখুন 

সকল সম্পাদকীয় পিডিএফ ডাউনলোড করুন এখানে 

…………………………………………………………………………………………………………………………..

 

🔷🔷🔷🔷🔷🔷🔷 1 🔷🔷🔷🔷🔷🔷🔷🔷

দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির পৌরসভাগুলোতে জেলা প্রশাসক বা ডিসিদের নজরদারি আগে থেকেই ছিল।

Deputy commissioners (DC) were already in charge of supervision in the second and third class Pourashavas (municipalities).

 

Extra Parts-

  1. i) দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির পৌরসভাগুলোতে – in the second and third class Pourashavas (municipalities)

 

Main Sentence-

জেলা প্রশাসক বা ডিসিদের নজরদারি আগে থেকেই ছিল- Deputy commissioners (DC) were already in charge of supervision

 

 

🔷🔷🔷🔷🔷🔷🔷 2 🔷🔷🔷🔷🔷🔷🔷

স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় প্রথম শ্রেণির ১৯৪টি পৌরসভায়ও ডিসিদের নজরদারির ক্ষমতা দেওয়ার যে প্রস্তাব স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় দিয়েছে, তার উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

The purpose of the proposal made by the ministry of local government to give supervision power to DCs in 194 first class pourashavas has been questioned also.

 

Extra Parts-

  1. i) স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় – ministry of local government
  2. ii) প্রথম শ্রেণির ১৯৪টি পৌরসভায়ও- in 194 first class pourashavas also

iii)      নজরদারির ক্ষমতা দেওয়ার-  to give power of supervision

  1. iv) ডিসিদের- to DCs

 

Main Sentence-

যে প্রস্তাব স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় দিয়েছে, তার উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে- The purpose of the proposals made by the ministry of local government has been questioned.

 

 

🔷🔷🔷🔷🔷🔷🔷🔷3🔷🔷🔷🔷🔷🔷🔷

সংবিধানের ৫৯ অনুচ্ছেদে স্থানীয় শাসন কীভাবে পরিচালিত হবে, তার নির্দেশনা আছে।

In the Article 59 of constitution,  Its direction has how local government should be conducted.

 

Extra Parts-

  1. i) সংবিধানের ৫৯ অনুচ্ছেদে – In the Article 59 of constitution

 

 

Main Sentence-

স্থানীয় শাসন কীভাবে পরিচালিত হবে, তার নির্দেশনা আছে- Its direction has that how local government should be conducted.

 

সম্পুর্ণ পিডিএফ ডাউনলোড করুন ফ্রী 

…………………………………………………………………………….

Class Hour এর সবগুলো ফ্রী বই ও ক্লাস দেখুন এখানে

সম্পুর্ণ পিডিএফ ডাউনলোড করুন ডাউনলোড করুন

ইউটিউবে সম্পাদকীয় অনুবাদের ভিডিও দেখুন 

সকল সম্পাদকীয় পিডিএফ ডাউনলোড করুন এখানে 

…………………………………………………………………………………………………………………………..

🔷🔷🔷🔷🔷🔷🔷🔷4 🔷🔷🔷🔷🔷🔷🔷

কিন্তু আমাদের পূর্বাপর সরকারগুলো সেই নির্দেশনা মেনে চলেছে, এমনটি বলা যাবে না।

But the previous governments have followed those directives, it Won’t say.

 

 

Main Sentence-

1) কিন্তু আমাদের পূর্বাপর সরকারগুলো সেই নির্দেশনা মেনে চলেছে-But the previous governments have followed those directives

2) এমনটি বলা যাবে না- it Won’t say.

 

NB- এখানে কোন Extra Part নেই। তবে But হল Inverse Connector.

 

 

🔷🔷🔷🔷🔷🔷🔷5🔷🔷🔷🔷🔷🔷🔷🔷

উপজেলা পরিষদ আইনে ১২টি মন্ত্রণালয়ের ১৭টি বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাঠপর্যায়ে উপজেলা পরিষদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

According to the Upazila Parishad Act, employees of 17 divisions under 12 ministries are assigned to work with field level upazila parishad.

 

Extra Parts-

  1. i) উপজেলা পরিষদ আইনে – According to the Upazila Parishad Act
  2. ii) ১২টি মন্ত্রণালয়ের- 12 ministries
  3. ii) মাঠপর্যায়ে উপজেলা পরিষদের- field level upazila parishad.

 

 

Main Sentence-

১৭ বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপজেলা পরিষদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে- employees of 17 divisions are assigned to work with field level upazila parishad.

 

 

🔷🔷🔷🔷🔷🔷🔷🔷6🔷🔷🔷🔷🔷🔷🔷

কিন্তু বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ পরিপত্র জারি করে,  এসব বিভাগের কর্মকাণ্ড চালানোর জন্য গঠিত কমিটিগুলোতে ইউএনওরা সভাপতিত্ব করে থাকেন।

But,  by issuing circulars of various ministries and departments, the UNO presides over the committees which are formed for operating activists in these Divisions.

 

 

Extra Parts-

  1. i) কিন্তু- But
  2. ii) বিভিন্ন মন্ত্রণালয়- various ministries

iii)      ও বিভাগ পরিপত্র জারি করে- by issuing circulars of Department

  1. iv) এসব বিভাগের- in these Divisions
  2. v) কর্মকাণ্ড চালানোর জন্য গঠিত- formed for operating activists

 

 

Main Sentence-

কমিটিগুলোতে ইউএনওরা সভাপতিত্ব করে থাকেন- the UNO presides over the committees.

 

🔷🔷🔷🔷🔷🔷🔷🔷7🔷🔷🔷🔷🔷🔷🔷

এ নিয়ে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের আপত্তিও আমলে নেওয়া হয়নি।

The objections of the elected representatives were not taken into account.

সম্পুর্ণ পিডিএফ ডাউনলোড করুন ফ্রী 

…………………………………………………………………………….

Class Hour এর সবগুলো ফ্রী বই ও ক্লাস দেখুন এখানে

সম্পুর্ণ পিডিএফ ডাউনলোড করুন ডাউনলোড করুন

ইউটিউবে সম্পাদকীয় অনুবাদের ভিডিও দেখুন 

সকল সম্পাদকীয় পিডিএফ ডাউনলোড করুন এখানে 

…………………………………………………………………………………………………………………………..

 

🔷🔷🔷🔷🔷🔷🔷🔷8🔷🔷🔷🔷🔷🔷🔷

উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানরা সেখানে আলংকারিক প্রধান।

Upazila Parishad chairmen are simply figurative heads there.

 

🔷🔷🔷🔷🔷🔷🔷🔷9🔷🔷🔷🔷🔷🔷🔷

ফলে উপজেলা পরিষদ অনেকটা ঠুঁটো জগন্নাথে পরিণত হয়েছে।

As a result, the Upazila Parishad turned ineffective.

 

প্রথমআলো সম্পাদকীয় সম্পুর্ণ পিডিএফ ডাউনলোড করুন ফ্রী 

তথ্যসুত্র- প্রথম আলো । বাংলা অংশইংরেজি অংশ