ফুসফুস ক্যানসার কী?
ফুসফুস মানুষের দেহের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। অযত্ন, অবহেলা ও ক্ষতিকর অভ্যাসের কারণে ফুসফুস ক্যানসার হতে পারে। প্রথমে এটি ফুসফুসে উৎপত্তি হলেও ধীরে ধীরে মস্তিষ্কসহ শরীরের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়ে। বিশ্বজুড়ে প্রায় ৮০% ফুসফুস ক্যানসারের মূল কারণ ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য সেবন। এছাড়া ধুলাবালু, দূষিত পরিবেশ বা ঝুঁকিপূর্ণ কর্মস্থলেও এই রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
কারা ফুসফুস ক্যানসারের ঝুঁকিতে?
-
ধূমপান ও তামাক সেবনকারী – নিয়মিত ধূমপানকারীদের ঝুঁকি অন্যদের তুলনায় বেশি। পরোক্ষ ধূমপানও সমান ক্ষতিকর।
-
ঝুঁকিপূর্ণ পেশাজীবী – অ্যাসবেস্টস কারখানা বা অতিরিক্ত ধুলাবালুর মধ্যে কাজ করা ব্যক্তিদের ঝুঁকি বেশি।
-
শহরে বসবাসকারী – যানবাহন, কলকারখানা ও ধোঁয়ার কারণে শহরের বাতাস বেশি দূষিত, যা ঝুঁকি বাড়ায়।
-
রেডিয়েশন থেরাপি গ্রহণকারী – যাঁরা রেডিয়েশন চিকিৎসা নিয়েছেন, তাঁদের ফুসফুস ক্যানসার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
-
পূর্ববর্তী ফুসফুসজনিত রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি – যক্ষ্মা, সিওপিডি, ফুসফুসে পানি জমা, প্রদাহজনিত রোগ বা পরিবারের ক্যানসারের ইতিহাস থাকলে ঝুঁকি বেশি।
ফুসফুস ক্যানসারের উপসর্গ
প্রাথমিক অবস্থায় উপসর্গ বোঝা কঠিন। সাধারণত শেষ পর্যায়ে রোগ ধরা পড়ে। সম্ভাব্য লক্ষণগুলো হলো:
-
দীর্ঘমেয়াদি শ্বাসকষ্ট
-
হঠাৎ ওজন কমে যাওয়া
-
একটানা খুসখুসে কাশি
-
কাশি বা কফের সঙ্গে রক্তপাত
-
বুকে ব্যথা ও শ্বাসকষ্ট
-
অতিরিক্ত ক্লান্তি ও অবসাদ
-
ক্ষুধামান্দ্য
-
গলাভাঙা বা স্বর পরিবর্তন
-
বারবার বুকে সংক্রমণ
ফুসফুস ক্যানসারের চিকিৎসা
বর্তমানে ফুসফুস ক্যানসারের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়:
-
সার্জারি
-
কেমোথেরাপি
-
রেডিওথেরাপি
-
টার্গেটেড থেরাপি
-
ইমিউনো থেরাপি
ফুসফুস ক্যানসার প্রতিরোধের উপায়
-
ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য সম্পূর্ণ বর্জন
-
পরোক্ষ ধূমপান এড়িয়ে চলা
-
ধুলাবালু ও দূষিত পরিবেশে সুরক্ষামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ
-
ফুসফুসের সমস্যা অবহেলা না করে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া
-
নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা