Recent Updates
Tag

চুলের সমস্যা

Browsing

চুলের জট কি? 

আমাদের শরীরের অন্যতম সৌন্দর্য বর্ধক অংশ হল আমাদের মাথার চুল। হাত, পা, মুখ প্রভৃতির মতই চুলের যত্ন নেয়া দরকার না হলে তেলময়লা জমে চুল নোংরা হয়ে যায় আর অবধারিত জট পড়ে। চুল নিয়মিত না আছড়ালে বা না কাটলে ডগার দিক থেকে চুল রুক্ষ হয়ে যায়, ডগা ফেটেও যায়। এ  কারনে চুলে জট পড়ে বেশি। আর এই জট পড়া চুল দেখতে যেমন দৃষ্টিকটু তেমনি বিরক্তিকর। ভিবিন্ন কারনে চুলে জট পড়ে যায়, আমরা যদি সেই জটগুলি যথাযথভাবে মোকাবেলা না করি আতাহলে আমরা চুল নিয়ে অনেক ঝামেলায় পড়তে পারি।

চুলের জট কেন হয়- কি কি কারনে হয়? 

আমাদের শরীরের বিশেষত মাথায় বেশি চুল থাকে। এই চুল হলো মূলত কেরাটিন নামক শক্ত প্রোটিন দিয়ে তৈরি এক ধরনের তন্তু।যার পিএইচ মান প্রায় ৫.৫। যেকোন কারণে এই পিএইচ -এর মান বেড়ে গেলে প্রোটিনের চারিত্রিক পরিবর্তন ঘটে যার ফলে কিছুটা নরম হয়ে চুল আঠালো হয়ে পড়ে। এর ফলে একটি চুল আরেকটি চুলের সাথে আটকে যায়।  

চুলের যত্ন-  চুলের-জট-বাংলা-নোট-বই

স্বাভাবিক অবস্থায় এটা এড়ানোর জন্য প্রতিটি চুলের গোড়ায় একটি করে তেল গ্রন্থি (সিবেসিয়াস গ্ল্যান্ড)বিদ্যমান থাকে যা থেকে তেল উৎপন্ন হয় এবং চুলের দৈর্ঘ্য বরাবর ছড়িয়ে পড়ে। তেলটি ফ্যাটি এসিড দিয়ে তৈরি তাই এর পিএইচ চুলের পিএইচের খুব কাছাকাছি হওয়ায় চুল স্বাভাবিক ভাবে মসৃণ ও ছড়ানো থাকে। কিন্তু চুল লম্বা হওয়া অথবা নিয়মিত চুল আঁচড়ানোর মাধ্যমে সেই তেল পুরো চুলে ছড়িয়ে না দেওয়া কিংবা কোন কারণে তৈলগ্রন্থি থেকে কম তেল (সেবাম) তৈরি হওয়া চুলে জট লেগে যাওয়ার অন্যতম কারণ।

একটু খেয়াল করে দেখলেই আপনি বুঝতে পারবেন যে চুলের জট চুলের গোড়ায়  লাগে না বরং চুলের শেষ প্রান্তে অর্থাৎ চুলের গোড়ার ঠিক উল্টোদিকে লাগে।কারণ সবসময় সেবাম তেল চুলের প্রান্ত পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়তে পারে না। আর এ কারণে নিয়মিত চুল আঁচড়ানো খুব দরকার। এবং একই কারণে চুলে নারিকেল তেল বা অন্যন্য চুলের তেল ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

গোসলের পর অথবা চুল ভেজা থাকলে চুলে জট লাগার কারণও একই। আমরা জানি পানির পিএইচ মান হল ৭। যা চুলের চেয়ে বেশি। তাই চুল বেশিক্ষণ পানিতে ভিজে থাকলে ভেজা চুলে জট বেঁধে যায়। পীর মুর্শিদ বা সাধকদের জট দেখা যায় কারণ তাদের মাথায় কেরাটিন বেশী। 

চুলের জটের কিছু ইতিহাস 

যখন ক্যামেরা আবিষ্কার হয়নি তখন চাক্ষুষ দর্শনের মতও কিছু ছিল না তবে ছিল শিল্প। ভাস্কর্য, স্থাপত্যের নিদর্শনে আদিকালের রাজা, পাদ্রি এবং নামীদের কেশ সজ্জিত থাকত ড্রেডলকে। ৬১৫ থেকে ৪৮৫ বিসি এই সময়ে গ্রীকদের মধ্যে ড্রেডলকের প্রচলন ছিল,  ভাস্কর্য, স্থাপত্যে খোঁদাই আছে সেই নিদর্শনই। যুদ্ধক্ষেত্রেও বীরেরদের পরিচয় ছিল এই চুলের জট। ‘স্পার্টান’  ইতিহাসের বীর শ্রেষ্ঠদের তালিকায় যারা একেবারে প্রথম সারিতে ছিল, সেই স্পার্টানদের শরীরী ভাষা, তাঁদের অস্ত্র, তাঁদের হুঙ্কারের সঙ্গেই ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে ছিল ড্রেডলক ইতিহাস। এমনকি ইসলামের সুফি আন্দোলনের সময় (১৮৮৭ সাল) শেখ আমাদু বম্বা মাক্কেও জটাধারী হয়েই লোকপ্রিয়তার শীর্ষে পৌঁছে ছিলেন যার ইতিহাস সর্বজন বিদিত।

এছাড়াও সন্যাসী, সাধু-পুরুষ কিংবা সাধকদের মধ্যে আজও চুলের জটের ঐতিয্য লক্ষ্য করা যায়। সনাতন সংস্কৃতির সাথে এই চুলের জট বা জটা ওতপ্রোতভাবে জরিত। মাথায় বিশাল জটা শিবের প্রতিক হিসাবে গণ্য করে মেনে চলার রেওয়াজও আছে। 

চুলের যত্ন- চিরনি দিয়ে চুল আঁচড়ানো

চুলে জট লাগার করন

  • নিষ্ঠূরভাবে চুলের যত্ন করা বা এমন কিছু ব্যবহার করা 
  • শ্যাম্পু করার সময় চুল ম্যাসাজ করা খুব বেশী চুল ঘষা  
  • ওভার-ওয়াশিং বা বেশি বেশি চুল ধোওয়া 
  • হাইড্রেশনের অভাব বা চুলের শুস্কতা 
  • হিট স্টাইলিং 
  • চুলে বেশি পরিমানে বাতাস করা 
  • প্রতিদিন চুল ব্রাশ না করা বা একেবারেই ব্রাশ না করা 
  • চুল নিচে রেখে ঘুমানো 
  • তাপ-ক্ষতিগ্রস্ত, সূর্য-ক্ষতিগ্রস্ত, বা ব্লিচ-ক্ষতিগ্রস্ত 
  • যে চুলে ভাঙার প্রবণ বেশি
  • কাঁধের দৈর্ঘ্যের চেয়ে লম্বা চুল 
  • স্বাভাবিকভাবে কোঁকড়ানো চুল 
  • বেশি শুষ্ক চুল
  • নিয়মিত হট স্টাইলিং টুলের সংস্পর্শে আসে এমন চুল 
  • অ্যালকোহল, যেমন হেয়ারস্প্রে, মাউস বা জেল বেশি ব্যবহার করা 

চুলের জট বাধার প্রতিকার-

জট পড়ার কারণ দেখেই আপনি হয়তো বুঝতে বুঝতে পারছেন যে কারনগুলোর প্রতিকার করতে পারলেই চুলের জট এড়ানো সম্ভব, এবং চুলের নিয়মিত যত্নই জটমুক্তির একমাত্র উপায় বলে বিশেষজ্ঞদের ধারনা।এখানে চুলের যত্ন ও জট মুক্তির কিছু জেনে নিন, এগুলো অনুশীলন করলে চুলে জট পড়া আটকাতে পারবেন আশা করা যায়। 

চুলের যত্ন-  চুলের-জট-বাংলা-নোট-বই

নিয়মিত চুল ছাঁটুন

স্প্লিট-এন্ডস চুলের জট লাগার একটি অন্যতম প্রধান কারণ হতে পারে। এটি আপনার চুলে শুধু জটই বাধায় না বরং তা বাড়তেও বাধা দেয়। এজন্য চুলের আগা নিয়মতি ছাঁটাই করুন এবং চুলের জত্ন নিন। 

চুলের ডগার দিক থেকে জট ছাড়ান

যখন চুল আঁচড়াবেন, সবসময় নিচের দিক থেকে শুরু করবেন। চুলের নিচের দিক থেকে দু’ ইঞ্চি পরিমাণ চুল নিয়ে আঁচড়ে জট ছাড়ান, তারপর উপরের দিকে উঠুন। এভাবে চুল আঁচড়ালে জটও ছাড়াতে পারবেন, চুল ভাঙবে-ঝরবেও কম।

জট ছাড়ান আপনার আঙ্গুল দিয়ে 

চুলে লেগে থাকা জট ছাড়ানোর সবথেকে  আর কার্যকরী উপায় হলো হাত দিয়ে জট ছাড়ানো। বিশেষত  আপনার আঙুল ব্যবহার করতে পারলে ভাল।  আপনি আপনার আঙ্গুলকে যেভাবে এক্ষেত্রে কাজে লাগাতে পারেন কোনও চিরুনি বা ব্রাশ এত ভালো কাজ করে না! ধীরে ধীরে চুলের সমস্ত গিঁট, জট খুলে নিন, তারপর চিরুনি বা ব্রাশ দিয়ে আঁচড়ে নিতে পারেন। 

বড়ো দাঁড়ার চিরুনি ব্যবহার করুন

আগেই বলা হয়েছে, আপনার চুলের জট ছাড়াতে আপনার হাতের আঙ্গুলই সবথেকে উপকারী ও কার্যকরী কিন্তু আপনি এক্ষেত্রে চিরনিও ব্যবহার করতে পারেন। এক্ষেত্রে সরু চিরুনি দিয়ে চুলের জট ছাড়ানো খুব কঠিন এবং আপনার চুল ছিঁড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে এবং এর ফলে চুল আরও ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়তে পারে। তাই মোটা দাঁড়ার কাঠের বা ভালো মানের প্লাস্টিকের চিরুনি দিয়ে ধীরে ধীরে চুল আঁচড়ে নিতে পারেন। তবে অবশ্যই মনে রাখবেন- বেশি টানাটানি করবেন না। 

তেল ও শ্যাম্পুর ব্যবহার 

চুলের শুষ্কতা ও অপরিচ্ছন্নতার কারনেই মুলত জট হয়ে থাকে। তাই চুল নরম রাখতে সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন স্কাল্পে হট অয়েল ম্যাসাজ করতে হবে। ম্যাসাজের পর গরম পানিতে তোয়ালে ভিজিয়ে মাথায় পেঁচিয়ে রাখুন ১০ মিনিট। এতে চুলের গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত পৌঁছে যাবে তেলের পরিপূর্ণ পুষ্টি। এরপর শ্যাম্পু করুন। প্রোটিনযুক্ত শ্যাম্পু এমন চুলের জন্য উপযোগী। শ্যাম্পুর পর অবশ্যই কন্ডিশনার লাগাতে ভুলবেন না। কন্ডিশনার চুলের সঠিক আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করবে। দিনভর চুল থাকবে নরম ও সতেজ। জটযুক্ত চুলের জন্য প্রোটিন ও ময়েশ্চারাইজারসমৃদ্ধ কন্ডিশনার বেছে নিন। ভিটামিন-ই ও অ্যালোভেরাসমৃদ্ধ কন্ডিশনারও রুক্ষ ও শুষ্ক চুলকে প্রাণবন্ত করতে সাহায্য করে। ঘরোয়া কন্ডিশনার চাইলে আপেল সিডর ভিনেগার বেশ ভালো। শ্যাম্পু করার পর আধা মগ পানিতে দুই টেবিল চামচ আপেল সিডর ভিনেগার মিশিয়ে সব চুলে ঢেলে মাথা মুছে নিন। এরপর আর চুল ধোবার প্রয়োজন নেই। চুল নরম ও উজ্জ্বল হবে।

কন্ডিশনার ব্যবহার করতে পারেন 

আপনি হয়তো চুলের যত্নের অংশ হিসাবে চুলে নিয়মিত শ্যাম্পু করে থাকেন, কিন্তু চুলে শ্যাম্পু করাই যথেষ্ট নয়। শ্যাম্পুর পর অবশ্যই ময়শ্চারাইজ়ার লকিং কন্ডিশনার ব্যবহার করুন যা চুল মসৃণ আর নরম রাখে। তবে এক্ষেত্রে মনে রাখা দরকার যে কন্ডিশনার লাগানোর পরে সঙ্গে সঙ্গে তা ধুয়ে ফেলবেন না। অন্তত ২ মিনিট রেখে তারপর ধুয়ে ফেলুন।

হেয়ার প্যাক ব্যবহার করা 

চুলের রুক্ষতা কমাতে সপ্তাহে একদিন হট অয়েল ম্যাসাজ করে চুলে মানানসই প্যাক লাগান। জট লেগে যাওয়া চুলের জন্য কলা খুব উপকারী। কলায় প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট, পটাসিয়াম, প্রাকৃতিক তেল ও ভিটামিন থাকে, যা চুলকে নরম ও ঝলমলে করে। পাকা কলা চটকে দুই টেবিল চামচ মধু, দুই টেবিল চামচ সরিষার তেল মিশিয়ে পুরো চুলে ভালো করে লাগান। আধা ঘণ্টা পর শ্যাম্পু  করুন। এই প্যাক চুলের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। সপ্তাহে এক দিন নিয়মিত ব্যবহারে চুল হবে নরম, উজ্জ্বল ও জটমুক্ত। ডিপ কন্ডিশনিং ট্রিটমেন্ট চুলকে জটমুক্ত রাখতে সাহায্য করবে। এ জন্য একটি ডিমের কুসুমের সঙ্গে এক টেবিল চামচ মধু, দুই টেবিল চামচ অলিভ অয়েল, এক চা চামচ আমন্ড অয়েল, এক চা চামচ গ্লিসারিন ও একটি ভিটামিন ই-ক্যাপ ভালো করে মিশিয়ে নিন। সবগুলো উপাদান মিশে গেলে চুলের গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত লাগিয়ে আধা ঘণ্টা অপেক্ষা করুন। প্রথমে স্বাভাবিক পানি দিয়ে ধুয়ে শ্যাম্পু করে নিন। সপ্তাহে এক দিন ডিপ কন্ডিশনিং চুলের রুক্ষতা দূরে রাখবে।

ঘুমানোর আগে চুল বাঁধুন

ঘুমানোর সময় আমরা বিভিন্ন বিষয় নিয়ে খুব কমই সচেতন থাকি বিশেষত চুলের যত্ন যা অত্যন্ত জরুরী। আমরা যদি চুল খোলা রেখে ঘুমাই তবে এটি অনাবরত ঘর্ষণ হতে থাকে এবং একটি আরেকটির সাথে জড়িয়ে যায়। এজন্য ঘুমের আগে চুল সর্বদা বেণী করতে পারেন অথবা খোঁপা করে বেধে রাখতে পারেন, যাতে সেগুলি জট না লাগতে পারে।

আপনার চুলে তাপ দেয়া থেকে বিরত থাকুন 

চুলে ব্যবহার করা স্ট্রেইটনার বা কার্লার বা এমন জাতীয় অন্য কোনো সরঞ্জাম চুলের ব্যাপক ক্ষতি করে। এগুলো ব্যবহারের ফলে ক্ষতিগ্রস্থ চুলের সংখ্যা বাড়তে থাকে। এর ফলে চুলে জট লাগার সমস্যা বেড়ে যায়। এই কারণে এসব স্টাইলিং সরঞ্জাম ব্যবহার করা এড়িয়ে চলুন।

চুলের যত্নে নিয়মিত খাবারদাবার

আপনার চুলের রুক্ষতা দূর করতে প্রথমেই সঠিক পুষ্টি নিশ্চিত করতে হবে। চুলের জন্য প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, মিনারেল ও ভিটামিন প্রয়োজন। প্রতি বেলা খাবারে ভিটামিন-এ থাকা জরুরি। এতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা চুলকে শক্ত ও মজবুত রাখতে সাহায্য করে। দুধ, গাজর, মুলা, সবুজ শাকসবজিতে প্রচুর ভিটামিন-এ থাকে। ভিটামিন-সির অভাবে চুল শুষ্ক ও ভঙ্গুর হয়ে পড়ে। তাই এ সমস্যা দূর করতে প্রতিদিন লেবুজাতীয় ফল, পেয়ারা, কামরাঙ্গা, কমলালেবু, জাম্বুরা বা যেকোনো টক ফল খান। এ ছাড়া প্রতিদিনের ডায়েটে শস্যদানা, দুধ, ডিম, কলা, বাদাম, কলিজা এবং ডাল প্রভৃতি শস্যজাতীয় খাবার রাখুন। এসব খাবার চুলের গোড়ায় পুষ্টি জোগায়। 

চুলের যত্ন-  চুলের-জট-বাংলা-নোট-বই

সুন্দর চুলের জট এড়ানোর কিছু টিপস

যা যা করবেন- 

১. আপনার চুল যদি সহজে জট লেগে যায় তবে ধোয়ার আগে আপনার চুল ব্রাশ করুন।

২. আপনার চুলে নিয়মিত কন্ডিশনার লাগান এবং চুল গুছিয়ে রাখতে চুল আঁছড়ান এবং কন্ডিশনারটি সমানভাবে চুলের আগা-গোড়াছড়িয়ে দিন। তবে সাবধানতা অবলম্বন করুন কারণ ভেজা চুল ঝরে পড়ার প্রবণতা বেশি।

৩. বাতাসের দিনে একটি স্কার্ফ বা টুপি ব্যবহার করুন যাতে আপনার চুল সব জায়গায় জট না থাকে।

প্রতি ৪-৫ সপ্তাহ অন্তর আপনার চুল ছাঁটাই করুন। আপনার চুলের বিভক্ত প্রান্তগুলি জট সৃষ্টি করে, যা আপনার চুলকে ক্ষতিগ্রস্ত এবং শুষ্ক দেখায়।

৪. আপনার চুল শুকানোর জন্য একটি নরম সুতির টি-শার্ট ব্যবহার করুন।

যা যা করবেন না- 

১. তোয়ালে দিয়ে চুল ঘষবেন না কারণ এতে চুল জট পড়তে পারে।

২. খোলা চুলে ঘুমাবেন না।

৩. তুলোর বালিশে ঘুমাবেন না।সিল্কের বালিশে স্যুইচ করুন 

৪. তাপ উৎপন্ন করে এমন পণ্য চুলের যত্নে এড়িয়ে চলুন কারণ এগুলো চুলের ক্ষতি করে। চুলের ক্ষতি স্পষ্টতই আরও জট বাধায়। 

৫. বেশি ফেনা তৈরির হয় এমন শ্যাম্পু ব্যবহার করা উচিত নয় কারণ বেশি ফোম মানেই বেশি ভাল পরিষ্কার করা নয়। এটা ভালোর চেয়ে ক্ষতিই বেশি করে।

আপনার দেহের সৌন্দর্যকে বৃদ্ধি বা দেহের লাবন্যর সাথে সামঞ্জস্যর মাথার চুল পরিষ্কার ও সুন্দর-জট মুক্ত হওয়া একান্ত প্রয়োজন। এখানে চুলের জট লাগার কারন ও তা থেকে পরিত্রানের উপায় আলোচনা করা হয়েছে। এবং কিছু পরীক্ষিত উপায় দেয়া হয়েছে যা সুন্দর ও জটমুক্ত চুলের জন্য অনুশীলন করতে পারেন। 

আরও পড়তে পারেন-

বাংলা ব্যকরণ- এক কথায় প্রকাশ বা বাক্য সংকোচন

অনুসরণ করুন-