Recent Updates
Tag

জানা-অজানা

Browsing

একবিংশ শতাব্দীর ডিজিটাল মাধ্যমে যোগাযোগের বিকাশ ও নিরাপদ  করার লক্ষ্যে অন্যতম প্রধান চ্যালেঞ্জের নাম ডিজিটাল নিরাপত্তা ও ডিজিটাল অপরাধ কমানো। বর্তমান সময়ে অনলাইনে প্রতিদিন শতকোটি তথ্য বা ডেটা আদান-প্রদান করা হচ্ছে, যার মধ্যে অনেক প্রাতিষ্ঠানিক গোপনীয় তথ্য থাকে।

আবার ব্যক্তিগত অনেক তথ্য থাকে; যেগুলো বেহাত হলে হয়ে যেতে পারে অনেক বড় ক্ষতি। সেই সাথে বৃদ্ধি পাচ্ছে সাইবার অপরাধের সংখ্যাও। ডিজিটাল এই যুগে কম্পিউটার, ইন্টারনেট ও ভার্চুয়াল জগতের সঙ্গে আমরা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় সবাই জড়িত। প্রতিদিন ব্যবহার ও যোগাযোগের প্রধান ও গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হয়ে উঠেছে ইন্টারনেট।

সাইবার নিরাপত্তা বা সিকিউরিটি কি?

সাইবার সিকিউরিটি বা নিরাপত্তা তথা ডিজিটাল সুরক্ষা হল এমন একটি শৃঙ্খলা যা হ্যাকার, স্প্যামার এবং সাইবার অপরাধীদের মতো জঘন্য অভিনেতাদের ইলেকট্রনিক আক্রমণ থেকে কীভাবে ডিভাইস এবং পরিষেবাগুলিকে রক্ষা করতে হয় তা কভার করে৷ যদিও সাইবার নিরাপত্তার কিছু উপাদান প্রথমে আঘাত করার জন্য ডিজাইন করা হয়, আজকের বেশিরভাগ পেশাদাররা আক্রমণ থেকে কম্পিউটার এবং স্মার্টফোন থেকে নেটওয়ার্ক এবং ডাটাবেস রক্ষা করার সর্বোত্তম উপায় নির্ধারণের উপর বেশি মনোযোগ দেন।

<yoastmark class=

পরিচয় চুরি বা তথ্য লোপাট থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক ডিজিটাল অস্ত্র পর্যন্ত সাইবার অপরাধের প্রতিটি প্রকারের বিরুদ্ধে সুরক্ষার প্রক্রিয়া বর্ণনা করতে মিডিয়াতে সাইবার নিরাপত্তা একটি প্রচলিত ও পরিচিত শব্দ হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। এই লেবেলগুলি বৈধ, কিন্তু তারা কম্পিউটার বিজ্ঞানের ডিগ্রি বা ডিজিটাল শিল্পে অভিজ্ঞতা ছাড়াই সাইবার নিরাপত্তার প্রকৃত প্রকৃতি ধরতে ব্যর্থ হয়৷

ডিজিটাল আক্রমণ থেকে সিস্টেম, নেটওয়ার্ক এবং প্রোগ্রামগুলিকে রক্ষা করার অনুশীলন হিসাবে সাইবার নিরাপত্তা বলা যায় ৷ এই সাইবার আক্রমণগুলি সাধারণত সংবেদনশীল তথ্য অ্যাক্সেস, পরিবর্তন বা ধ্বংস করার লক্ষ্যে থাকে; ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে অর্থ আদায়; অথবা স্বাভাবিক ব্যবসায়িক প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করছে।

সাইবার নিরাপত্তা ও বাংলাদেশঃ

সামাজিক ও স্বাভাবিক কারনে আমাদের আইটি সেক্টরে উন্নতির ফলে আমাদের দেশে ইন্টারনেট ব্যবহার ও ইন্টারনেট ভিত্তিক কাজের পরিধি অনেক বেড়েছে।

ডিজিটাল বাংলাদেশে যেখানে ১৩ কোটি ইন্টারনেট ব্যবহারকারী রয়েছে, ইন্টারনেট ব্যবহারকারী বর্তমান জনসংখ্যার ৬২%। ইন্টারনেট ব্যবহার করে যেমন মানুষ উপকৃত হচ্ছে, তেমনি বাড়ছে ব্যবসা-বাণিজ্য, ক্রয়-বিক্রয় আর্থিক লেন-দেন, আরো বৃদ্ধি পাচ্ছে কর্মসংস্থান, কমছে বেকারত্বের হার। সাড়ে ৬ লাখের উপরে ফ্রিল্যান্সার ঘরে বসেই দেশ-বিদেশে ব্যবসা করছে। এটিই ডিজিটাল বাংলাদেশের কৃতিত্ব।

 

সাইবার নিরাপত্তার গুরত্ত্ব ও চ্যালেঞ্জগুলো কি কি

আজকের ডিজিটাল বিশ্বে, কেউ সাইবার নিরাপত্তাকে উপেক্ষা করতে পারে না। একটি একক নিরাপত্তা লঙ্ঘন লক্ষ লক্ষ মানুষের ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশ করতে পারে। এই লঙ্ঘনগুলি কোম্পানিগুলির উপর একটি শক্তিশালী আর্থিক প্রভাব ফেলে এবং গ্রাহকদের বিশ্বাস হারায়। সুতরাং, স্প্যামার এবং সাইবার অপরাধীদের হাত থেকে ব্যবসা এবং ব্যক্তিদের রক্ষা করার জন্য সাইবার নিরাপত্তা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।

ফোর্বসের মতে , 2022 আমাদেরকে বৈচিত্র্যময় এবং ভয়ঙ্কর সাইবার নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জের একটি প্যাক নিয়ে হাজির করবে, সরবরাহ চেইন বিঘ্নিত হওয়া থেকে স্মার্ট ডিভাইসের ঝুঁকি বাড়ানো থেকে শুরু করে ক্রমাগত সাইবার নিরাপত্তা প্রতিভার খরা পর্যন্ত সবকিছু।

সাইবার ক্রাইম ম্যাগাজিনের মতে , 2025 সালের মধ্যে সাইবার ক্রাইম বার্ষিক 10.5 ট্রিলিয়ন ডলার খরচ করবে! অধিকন্তু, বিশ্বব্যাপী সাইবার অপরাধের খরচ আগামী চার বছরে প্রায় 15 শতাংশ বার্ষিক বৃদ্ধির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে ।

মহামারী, ক্রিপ্টোকারেন্সি এবং দূরবর্তী কাজের বৃদ্ধির মতো ধারণাগুলি অপরাধীদের সুবিধা নেওয়ার জন্য একটি লক্ষ্য-সমৃদ্ধ পরিবেশ তৈরি করতে একত্রিত হচ্ছে।

সাইবার নিরাপত্তা কম্পিউটার সিস্টেম, ডেটা এবং নেটওয়ার্ককে আক্রমণ থেকে রক্ষা করার জন্য প্রযুক্তি, প্রক্রিয়া এবং পদ্ধতিগুলিকে অন্তর্ভুক্ত করে। “সাইবার নিরাপত্তা কি” এবং কিভাবে সাইবার নিরাপত্তা কাজ করে এই প্রশ্নের সর্বোত্তম উত্তর দিতে, আমাদের এটিকে সাবডোমেনের একটি সিরিজে ভাগ করতে হবে:

অ্যাপ্লিকেশন নিরাপত্তা

অ্যাপ্লিকেশন নিরাপত্তা বিভিন্ন ধরনের হুমকির বিরুদ্ধে একটি প্রতিষ্ঠানের সফ্টওয়্যার এবং পরিষেবাগুলিতে বিভিন্ন প্রতিরক্ষা বাস্তবায়নকে কভার করে। এই সাব-ডোমেনের জন্য সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের সুরক্ষিত কোড লিখতে, সুরক্ষিত অ্যাপ্লিকেশন আর্কিটেকচার ডিজাইন করতে, শক্তিশালী ডেটা ইনপুট বৈধতা প্রয়োগ করতে এবং আরও অনেক কিছুর জন্য প্রয়োজন, যাতে অননুমোদিত অ্যাক্সেস বা অ্যাপ্লিকেশন সংস্থানগুলির পরিবর্তনের সম্ভাবনা কম হয়। 

ক্লাউড নিরাপত্তা

ক্লাউড সিকিউরিটি অ্যামাজন ওয়েব সার্ভিসেস, গুগল, অ্যাজুর, র্যাকস্পেস ইত্যাদির মতো ক্লাউড পরিষেবা প্রদানকারী ব্যবহার করে এমন কোম্পানিগুলির জন্য নিরাপদ ক্লাউড আর্কিটেকচার এবং অ্যাপ্লিকেশন তৈরির সাথে সম্পর্কিত।

 

কিভাবে সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়ঃ

কিভাবে সাইবার নিরাপত্তা বাড়ানো যায় 0How to tide cyber security-bangla note boi
কিভাবে সাইবার নিরাপত্তা বাড়ানো যায়-How to tide cyber security-bangla note boi

কম্পিউটার ও স্মার্ট ডিভাইস ছাড়া অফিস নিজের কাজ চিন্তারও বাইরে। কেবল কাজ নয়, প্রতিষ্ঠানের আয়-ব্যয়সহ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য কম্পিউটারে ডিজিটাল ফাইল আকারে সংরক্ষিত থাকে যা আমাদের কাছে অতিগুত্বপুর্ণ। অফিসে সাধারণত যে নেটওয়ার্ক ব্যবহার করা হয়, তা নিরাপদ রাখা যেমন জরুরি তেমনি আমাদের ব্যবহারিক ডিভাইসটিরও যথার্থ নিরাপত্তা দরকার। ব্যবস্থাপককে অফিসের নেটওয়ার্ক নিরাপদ কি না, তা নিয়মিত পরীক্ষা করে দেখতে হবে। গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসন বিভাগসহ মানবসম্পদ বিভাগের তথ্য যাতে বেহাত না হয়, সে জন্য সতর্ক থাকতে হবে। অ্যাডমিন আইডিতে যেন বাইরের কেউ ঢুকতে না পারে, তা নিশ্চিত রাখতে হবে।

ডিজিটাল যুগে তথ্য প্রযুক্তি নির্ভরতা জীবনে নিরাপদ থাকার জন্য আমরা কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে পারি যা নিচে উল্লেখ করা হলো।

সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিরাপত্তায় করণীয় ও বর্জনীয় কি !

সোশ্যাল মিডিয়া সুরক্ষা
✓ ৮-১৫ সংখ্যার শক্তিশালী পাসওয়ার্ড/পিন ব্যবহার করা যা ইউনিক হতে হবে।
✓ মাল্টিফেক্টর অথেনটিকেশন সেবা চালু রাখতে হবে।
✓ জাতীয় পরিচয়পত্র, ড্রাইভিং লাইসেন্স, পাসপোর্ট এর কপি/ছবি ইত্যাদি কোন ভাবেই অপরিচিত কারো সাথে আদান-প্রদান না করা।
✓ অনলাইনে অপরিচিত ব্যক্তির সাথে যোগাযোগ করা থেকে বিরত থাকুন।
✓ ম্যাসেজ এ কারো দেওয়া কোনো লিংক (ওয়েবসাইট) এ প্রবেশ করবেন না বা করলে আগে যাচাই করে নিন।
✓ নিজের ছবি, ভিডিও বিভিন্ন তথ্য শেয়ার এর পূর্বে নির্দিষ্ট শেয়ার প্রাইভেসি নির্বাচন করা দরকার।

সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে কিছু নির্দেশনা
✓ যেকোনো পোষ্ট শেয়ার করার পূর্বে তার সত্যতা যাচাই করে নিন।
✓ সংবেদনশীল কোনো তথ্য আদান-প্রদান, সংরক্ষণ ও পোষ্ট করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
✓ যতটা সম্ভব নিজের ব্যক্তিগত তথ্যের গোপনীয়তা নিশ্চিত করুন এবং অন্যদের জানাতে অহেতুক তথ্য প্রচার করা যাবে না।
✓ ধর্মীয় উস্কানিমূলক কোনো তথ্য পোষ্ট, শেয়ার কিংবা বার্তা প্রেরণ থেকে বিরত থাকা প্রয়োজন।
✓ আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকুন এবং দেশে প্রচলিত আইন সম্পর্কে সচেতন হোন।

কম্পিউটার / মোবাইল ফোন সুরক্ষা
✓ ম্যালওয়্যার বা ভাইরাস থেকে সুরক্ষায় মোবাইল এ এন্টিভাইরাস সেবা নিশ্চিত করুন।
✓ ইমেইল এ প্রাপ্ত ফাইল ডাউনলোড করার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করুন কারন এখানে হ্যাকিং ইলিমেন্টস থাকতে পারে।
✓ শুধু মাত্র প্রয়োজনীয় বৈধ এপ্লিকেশন/সফটওয়্যার ব্যবহার করুন।
✓ অপ্রয়োজনীয় সফটওয়্যার মুছে ফেলুন অথবা নিষ্ক্রিয় করে রাখুন।
✓ সব সময় আপনার ফোন বা ডিভাইস হালনাগাদ রাখুন।

কম্পিউটার ও মোবাইল ব্যবহারে সতর্কতা

কম্পিউটার মোবাইল ব্যবহারে কিছু নির্দেশনা
✓ সংবেদনশীল ছবি সংরক্ষণ না করা।
✓ নিজের ব্যক্তিগত ডিভাইস অন্যকে ব্যবহার করতে দেয়া থেকে বিরত থাকা।
✓ ব্যবহৃত ডিভাইস পুনরায় বিক্রির অথবা মেরামত করানোর সময় সাবধানতা অবলম্বন করা।
✓ অপরিচিত কারো পেন ড্রাইভ, মেমোরি কার্ড ব্যবহার না করা।
✓ অপরিচিত কোথাও “ফ্রি ওয়াইফাই’ ব্যবহার না করা।
✓ ইন্টারনেটে বিচরণে সাবধানতা অবলম্বন করা। শুধু মাত্র প্রয়োজনীয় বৈধ এপ্লিকেশন/সফটওয়্যার ব্যবহার করা।

আরো কিছু নির্দেশনা
✓ সন্দেহভাজন কারো ফোন কলে পেলে তার পরিচয় যাচাই করুন।
✓ এসএমএস এ প্রাপ্ত ওটিপি কোড গোপন রাখুন।
✓ অপরিচিত ব্যক্তির সাথে নিজের ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার থেকে বিরত থাকুন।
✓ একাউন্ট তৈরিতে ব্যবহৃত তথ্য গোপন রাখুন।
✓ অনাকাঙিক্ষত অপ্রয়োজনীয় প্রাপ্ত এসএমএস, কল যথাসম্ভব এড়িয়ে চলুন।
✓ কোনো লিংক এ প্রবেশ করার পূর্বে যাচাই করে নিন লিংকটি ফিশিং লিংক কিনা?
✓ প্রতারণার শিকার হলে দ্রুত আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে যোগাযোগ করুন।

সাইবার জগতে শিশুদের নিরাপদ রাখতে আমাদের করণীয়
✓ নিজেদের ব্যক্তিগত সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্ট ব্যবহার করতে দেয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
✓ নির্দিষ্ট পলিসি অনুযায়ী সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের ক্ষেত্রে আলাদা একাউন্ট তৈরি করুন।
✓ অনলাইন এ বিচরণ নিয়ন্ত্রণ করুন অর্থাৎ অকারণে ব্যবহার নয়।
✓ আপনার ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করতে দেয়ার ক্ষেত্রে ডিজিটাল প্যারান্টাল কন্ট্রোল নিশ্চিত করুন।
✓ সাইবার নিরাপত্তা এবং করণীয় সম্পর্কে শিক্ষা দিন।

সুত্র: ভোরের কাগজ(জেনিফার আলম, সাইবার নিরাপত্তা বিশ্লেষক) ও ইন্টারনেট ।  

বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতিগণের তালিকাঃ ১৯৭১ সাল থেকে বর্তমান

https://banglanoteboi.com/%e0%a6%95%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a6%bf%e0%a7%9f%e0%a6%be%e0%a6%b0/%e0%a6%95%e0%a6%bf%e0%a6%ad%e0%a6%be%e0%a6%ac%e0%a7%87-%e0%a6%9a%e0%a6%be%e0%a6%95%e0%a6%b0%e0%a6%bf%e0%a6%b0-%e0%a6%aa%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%a4%e0%a7%81%e0%a6%a4%e0%a6%bf-2/

বাংলাদেশের প্রশাসনিক ব্যবস্থায় জেলা একটি গুরুত্বপূর্ণ স্তর । কয়েকটি উপজেলা নিয়ে একটি জেলা গঠিত হয় যা আবার একটি বিভাগের আওতায় থাকে । প্রশাসনিকভাবে একটি জেলা একটি বিভাগের অধিক্ষেত্রভুক্ত।

বিভিন্ন চাররীর পরীক্ষার জন্য জেলাগুলোর নাম মনে রাখা খুব কষ্টসাধ্য বেপার। কিন্তু কিছু টেকনিক বা কৌশলের মাধ্যমে সহজেই জেলাগুলোর নাম ও বিভাগ মনে রাখা যায়।

বাংলাদেশে মোট ৮টি বিভাগ আছে। এগুলো হল:

১. ঢাকা  ২.চট্টগ্রাম ৩. সিলেট  ৪. রাজশাহী  ৫.রংপুর ৬.খুলনা  ৭ . বরিশাল ও  ৮.ময়মনসিংহ.

এবং মোট জেলার সংখ্যা ৬৪টি।

আসুন জেনে নেই বিস্তারিত জেলার নামগুলো- বিভাগ অনুযায়ীঃ 

বাংলাদেশের ৬৪টি জেলার নাম

বিভাগ জেলা
চট্টগ্রাম কুমিল্লা, ফেনী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, রাঙ্গামাটি, নোয়াখালী, চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার,

খাগড়াছড়ি, বান্দরবান

রাজশাহী সিরাজগঞ্জ, পাবনা, বগুড়া, রাজশাহী, নাটোর, জয়পুরহাট, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ
খুলনা যশোর, সাতক্ষীরা, মেহেরপুর, নড়াইল, চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া, মাগুরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝিনাইদহ
বরিশাল ঝালকাঠি, পটুয়াখালী, পিরোজপুর, বরিশাল, ভোলা, বরগুনা
সিলেট সিলেট, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ
ঢাকা নরসিংদী, গাজীপুর, শরীয়তপুর, নারায়ণগঞ্জ, টাঙ্গাইল, কিশোরগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, ঢাকা,

মুন্সিগঞ্জ, রাজবাড়ী, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর

রংপুর পঞ্চগড়, দিনাজপুর, লালমনিরহাট, নীলফামারী, গাইবান্ধা, ঠাকুরগাঁও, রংপুর, কুড়িগ্রাম
ময়মনসিংহ শেরপুর, ময়মনসিংহ, জামালপুর, নেত্রকোণা

মনে রাখার চিন্তা আর না, এই লেখাটিতে বেশ কিছু কৌশল বা টেকনিকের মাধ্যমে দেখানো হবে আপনি কিভাবে পরীক্ষা বা জানার জন্য সহজেই বাংলাদেশের ৮টি বিভাগের মোট ৬৪ জেলার নাম আয়ত্ত করে নিতে পারেন।

আওরা এখানে কয়েকটি কৌশল শিখিয়ে দেবো, আপনি এর মধ্যে যেকোন একটি কৌশলের মধ্যেমে মনে রাখতে পারেন। কারন আমরা বিশ্বাস করি একই কৌশল সবার জন্যে উপযুক্ত নাও হতে পারে।

বাংলাদেশের ৮টি বিভাগের ৬৪ জেলার নাম মনে রাখার অব্যর্থ কৌশলঃ

আমরা ইন্টারনেটের বিভিন্ন উৎস, লেখক ও গবেষকের লেখা থেকে আপনার জন্য কিছু নির্দিষ্ট কৌশল বা টেকনিক সংগ্রহ করে এই ব্লগে সংযোজন করেছি যাতে আপনার স্মৃতিতে বাংলাদেশের ৬৪ জেলার নাম এমনভাবে গেঁথে নিতে পারেন, যেকোনো সময় যেকোনো পরীক্ষায় শতভাগ আত্মবিশ্বাসের সাথে সঠিক উত্তর করতে পারেন।

৬৪ জেলার নাম মনে রাখার সহজ কৌশল-বাংলা নোট বই
৬৪ জেলার নাম মনে রাখার সহজ কৌশল

রংপুর বিভাগের জেলা সমূহের নামঃ 

বিভাগ- রংপুর,  প্রতিষ্ঠিত হয়- ২০১০ সালে । মোট জেলার সংখা ৮টি।

পঞ্চগড়, দিনাজপুর, নীলফামারী, লালমনিরহাট, গাইবান্ধা, ঠাকুরগাঁও, রংপুর, কুড়িগ্রাম।

মনে রাখার কৌশল-১ঃ

জেলা গুলো মনে রাখার উপায়পঞ্চলাল ঠাকুর দিনার বিয়ের জন্য নীল রংয়ের কুড়িটা গাই দান করলেন।

ব্যাখ্যাপঞ্চ- পঞ্চগড়,  লাল- লালমনিরহাট, ঠাকুর- ঠাকুরগাঁও, দিনার- দিনাজপুর, নীল- নীলফামারী, রংয়ের- রংপুর, কুড়িটা- কুড়িগ্রাম, গাই- গাইবান্ধা।

মনে রাখার কৌশল-২ঃ

জেলা গুলো মনে রাখার উপায়পঞ্চ ঠাকুর লাল নীল রং এর কুড়িটি গাই দিল।
পঞ্চ-পঞ্চগড়, ঠাকুর – ঠাকুরগাঁও, লাল-  লালমনিরহাট, নীল-  নীলফামারী, রং –  রংপুর , কুড়িটি – কুড়িগ্রাম , গাই-  গাইবান্ধা, দিল -দিনাজপুর।

সিলেট বিভাগের জেলা সমূহের নামঃ 

বিভাগ- সিলেট, প্রতিষ্ঠিত হয়- ১৯৯৫সালে। জেলা- ৪টি।

 সিলেট বিভাগের চারটি জেলা- সিলেট, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ।

মনে রাখার কৌশল-১ঃ

জেলা গুলো মনে রাখার উপায়সিলেটের হবি মৌলভীর সুনাম অনেক।

ব্যাখ্যাসিলেটের- সিলেট, হবি- হবিগঞ্জ,  মৌলভীর- মৌলভীবাজার,  সুনাম- সুনামগঞ্জ।

মনে রাখার কৌশল-২ঃ

জেলা গুলো মনে রাখার উপায়মৌলভীর হবিগঞ্জে সুনাম ছিল।
ব্যাখ্যা: মৌলভীবাজার,  হবিগঞ্জ , সুনামগঞ্জ,  সিলেট।

রাজশাহী বিভাগের জেলা সমূহের নামঃ 

বিভাগ- রাজশাহী,  প্রতিষ্ঠিত হয়- ১৮২৯সালে।  জেলা- ৮টি।

রাজশাহী বিভাগে আটটি জেলা হল- বগুড়া, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ, রাজশাহী, নওগাঁ , নাটোর, পাবনা, জয়পুরহাট।

মনে রাখার কৌশল-১ঃ

জেলা গুলো মনে রাখার উপায়বগুড়ার নবাব সিরাজ শাহ নও মাস যুদ্ধ করে নাটকীয়ভাবে পাবনা জয় করলেন।

ব্যাখ্যাবগুড়ার- বগুড়া, নবাব- চাঁপাইনবাবগঞ্জ, সিরাজ- সিরাজগঞ্জ, শাহ- রাজশাহী, নও- নওগাঁ , মাস- যুদ্ধ- করে নাটকীয়ভাবে- নাটোর, পাবনা- পাবনা, জয়- জয়পুরহাট।

মনে রাখার কৌশল-২ঃ

জেলা গুলো মনে রাখার উপায়চাপাবাজ নাসির।

ব্যাখ্যাচাপাইনবাবগঞ্জ, পাবনা, বগুড়া,  জয়পুরহাট, নওগা,  নাটোর,  সিরাজগঞ্জ, রাজশাহী।

ঢাকা বিভাগের জেলা সমূহের নামঃ 

বিভাগ- ঢাকা, প্রতিষ্ঠিত হয়-১৮২সালে। জেলা-১৩টি।

ঢাকা বিভাগের জেলাগুলো হলো- মানিকগঞ্জ মুন্সিগঞ্জ, ফরিদপুর গাজীপুর, রাজবাড়ী, গোপালগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী, শরীয়তপুর, ঢাকা, টাঙ্গাইল, কিশোরগঞ্জ, মাদারীপুর।

মনে রাখার কৌশল-১ঃ

জেলা গুলো মনে রাখার উপায়মানিক মুন্সি আর ফরিদ গাজী রাজার নিকট প্রতিবাদ জানালো যে,গোপাল নারায়ণ সাহেব নরসিংহের ন্যায় শরিয়ত অমান্য করে ঢাক ঢোল পিটিয়ে টাঙ্গাইলের এক কিশোরকে মাদারী বলে গালি দিয়েছে।

ব্যাখ্যা মানিক- মানিকগঞ্জ,  মুন্সি- মুন্সিগঞ্জ, ফরিদ- ফরিদপুর, গাজী- গাজীপুর, রাজার- রাজবাড়ী, গোপাল- গোপালগঞ্জ, নারায়ণ- নারায়ণগঞ্জ, নরসিংহের- নরসিংদী,  শরিয়ত- শরীয়তপুর,  ঢাক- ঢাকা, ঢোল টাঙ্গাইলের- টাঙ্গাইল, কিশোরকে- কিশোরগঞ্জ, মাদারী- মাদারীপুর।

মনে রাখার কৌশল-২ঃ

জেলা গুলো মনে রাখার উপায়কিগো শরিফের মামু রানা গাজীর টাকাই সিন্ধুকে।।
ব্যাখ্যাকিশোরগঞ্জ, গোপালগঞ্জ, শরিয়তপুর, ফরিদপুর, মাদারীপুর, মানিকগঞ্জ,  মুন্সিগঞ্জ, রাজবাড়ি, গাজীপুর, টাংগাইল, নারায়ণগঞ্জ।

ময়মনসিং বিভাগের জেলা সমূহের নামঃ 

বিভাগ- ময়মনসিংহ,  প্রতিষ্ঠিত হয়- ২০১৫সালে । জেলা- ৪টি।

ময়মনসিংহ জেলার সংখ্যা চারটি- নেত্রকোণা, জামালপুর, ময়মনসিংহ, শেরপুর।

মনে রাখার কৌশল-১ঃ

জেলা গুলো মনে রাখার উপায়নেএকোনার জামাল সাহেব নয়মন শিং মাছে ৯ শের বেশি দিল।

ব্যাখ্যানেএকোনার- নেত্রকোণা, জামাল- জামালপুর, নয়মন শিং- ময়মনসিংহ,  শের-শেরপুর।

মনে রাখার কৌশল-২ঃ

জেলা গুলো মনে রাখার উপায়: নেত্রকোনার জাম শেরা।
ব্যাখ্যানেত্রকোনা, জামালপুর , ময়মনসিংহ , শেরপুর।

খুলনা বিভাগ বিভাগের জেলা সমূহের নামঃ 

বিভাগ- খুলনা,  প্রতিষ্ঠিত হয়- ১৯৬০সালে। জেলা- ১০টি।

খুলনা বিভাগের ১০ টি জেলার নাম- সাতক্ষীরা, মাগুরা, বাগেরহাট, মেহেরপুর, খুলনা, ঝিনাইদহ, চুয়াডাঙ্গা, নড়াইল, কুষ্টিয়া, যশোর।

মনে রাখার কৌশল-১ঃ

জেলা গুলো মনে রাখার উপায়সাত সন্তানের মা বাঘিনী কন্যা মেহেরুন্নেছা চুল খুলে ঝিনুক ডাঙ্গায় বসে নর প্রেমে মজিয়া লোকের কুৎসায় আপনার যশ খ্যাতি হারাইল।

ব্যাখ্যাসাত- সাতক্ষীরা,  মা- মাগুরা, বাঘিনী- বাগেরহাট, মেহেরুন্নেছা- মেহেরপুর,  খুলে- খুলনা,  ঝিনুক- ঝিনাইদহ, ডাঙ্গায়- চুয়াডাঙ্গা,  নর- নড়াইল, কুৎসায়- কুষ্টিয়া,  যশ- যশোর।

মনে রাখার কৌশল-২ঃ

চট্টগ্রাম বিভাগের জেলা সমূহের নামঃ 

বিভাগ- চট্টোগ্রাম, প্রতিষ্ঠিত হয়- ১৮২৯সালে। জেলা-১১টি।

চট্টগ্রাম বিভাগের জেলা কয়টি জেলা রয়েছে- চট্টগ্রাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া,  ফেনী, কক্সবাজার, লক্ষ্মীপুর, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর , নোয়াখালী, কুমিল্লা।

মনে রাখার কৌশল-১ঃ

জেলা গুলো মনে রাখার উপায়গ্রামের ব্রাহ্মণ ফেনী বাজারের লক্ষী দেবীকে ছড়ি হাতে বললেন যে,বান্দর আবার রাঙা চাঁদ হয় নাকি হোক সে নোয়া কিংবা পুরাতন,এসবই কু-কথা।

ব্যাখ্যাগ্রামের- চট্টগ্রাম,  ব্রাহ্মণ- ব্রাহ্মণবাড়িয়া,  ফেনী- ফেনী,  বাজারের- কক্সবাজার, লক্ষী- লক্ষ্মীপুর,  ছড়ি- খাগড়াছড়ি, বান্দর- বান্দরবান, রাঙা- রাঙ্গামাটি, চাঁদ- চাঁদপুর, নোয়া- নোয়াখালী, কু-কথা- কুমিল্লা ।

মনে রাখার কৌশল-২ঃ

জেলা গুলো মনে রাখার উপায়ব্রাহ্মণ কুমিল্লার লক্ষীকে চাঁদে নেয় ফিরনী চকবার খায়।।।
ব্যাখ্যাব্রাহ্মণবাড়িয়া,  কুমিল্লা , লক্ষীপুর,  চাঁদপুর, নোয়খালী, ফেনী, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বান্দরবন,  রাঙ্গামাটি,  খাগরাছড়ি।

বরিশাল বিভাগের জেলা সমূহের নামঃ 

বিভাগ- বরিশাল,  প্রতিষ্ঠিত হয়- ১৯৯৩সালে। জেলা- ৬টি।

বরিশাল বিভাগে মোট  টি জেলা রয়েছে – পিরোজপুর, বরিশাল, বরগুনা ঝালকাঠি, পটুয়াখালী, ভোলা।

মনে রাখার কৌশল-১ঃ

জেলা গুলো মনে রাখার উপায়পরীর ২ বর ঝাল পটেটো ভালোবাসে

ব্যাখ্যাপরীর- পিরোজপুর, ২ বর- বরিশাল, বরগুনা, ঝাল- ঝালকাঠি, পটেটো- পটুয়াখালী, ভালোবাসে-ভোলা।

মনে রাখার কৌশল-২ঃ

জেলা গুলো মনে রাখার উপায়পপির ২(বর) ঝাল ভালোবাসে।।
ব্যাখ্যাপটুয়াখালী, পিরোজপুর,  বরগুনা , বরিশাল, ঝালকাঠী, ভোলা।

উপরের নিয়মের দ্বারা অনেকেরই মনে নাও থাকতে পারে কিন্তু নিচে আরও একটি নিয়ম বা কৌশল দেয়া হল যা একটু ভিন্ন রকম কিন্তু ১০০ ভাগ কর্যকরী।

৬৪ জেলার নাম মনে রাখার কৌশল-বাংলা নোট বই
৬৪ জেলার নাম মনে রাখার কৌশল

চলুন তাহলে একটা ভিন্ন ধর্মী কৌশলে শিখে নেই কিভাবে ৬৪ জেলার নাম মনে রাখবেন খুব সহজেই! 

বাংলাদেশের ৬৪ জেলার নাম মনে রাখার সহজ উপায়ঃ অব্যর্থ কৌশল বা টেকনিক

এই নিয়মে আপনি যেকোনো পরীক্ষায় বা প্রতিযোগীতায় যেকোন পরিস্থিতিতে সব জেলার নাম বাচ্চাদের  মত করে মনে করতে পারবেন।

১. পুরযুক্ত ১২টি জেলা:
চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, মেহেরপুর, পিরোজপুর, গাজীপুর, শরিয়তপুর, মাদারীপুর, ফরিদপুর, শেরপুর, জামালপুর, দিনাজপুর, রংপুর।

২. গঞ্জযুক্ত ৯টি জেলা:
সিরাজগঞ্জ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, গোপালগঞ্জ।

৩. শেষে আ-কারযুক্ত ১৫টি জেলা:
কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, বগুড়া, পাবনা, সাতক্ষীরা, চুয়াডাঙ্গা, নওগাঁ, কুষ্টিয়া, মাগুরা, ভোলা, খুলনা, বরগুনা, ঢাকা, গাইবান্ধা, নেত্রকোণা।

৪. হাটযুক্ত ৩টি জেলা:

জয়পুরহাট, বাগেরহাট, লালমনিরহাট।

৫. বাজারযুক্ত ২টি জেলা:

কক্সবাজার, মৌলভীবাজার।

৬. গ্রামযুক্ত ২টি জেলা:

চট্টগ্রাম, কুড়িগ্রাম।

৭. খালীযুক্ত ২টি জেলা:

নোয়াখালী, পটুয়াখালী।

৮. আইলযুক্ত ২টি জেলা:

নড়াইল, টাঙ্গাইল।

৯. শেষে ই-কারযুক্ত ৩টি জেলা:

রাঙ্গামাটি, ঝালকাঠি, খাগড়াছড়ি।

১০. শেষে ঈ-কারযুক্ত ৫টি জেলা: (খালী ছাড়া)

ফেনী, রাজশাহী, নরসিংদী, রাজবাড়ী, নীলফামারী।

১১. শেষে কারবিহীন ৯টি জেলা: (পুর, বাজার, গঞ্জ, হাট, গ্রাম, আইল ছাড়া)

বান্দরবান, নাটোর, যশোর, ঝিনাইদহ, সিলেট, বরিশাল, পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, ময়মনসিংহ।

রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশের আইনবিভাগ, শাসনবিভাগ ও বিচারবিভাগের সকল শাখার আনুষ্ঠানিক প্রধান এবং বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর সর্বাধিনায়ক (কমান্ডার ইন চিফ)। রাষ্ট্রপতির দণ্ডিত ব্যক্তির দণ্ডাদেশ স্থগিত, হ্রাস বা দণ্ডিতকে ক্ষমা করার অধিকার রয়েছে। বর্তমানে রাষ্ট্রপতি জাতীয় সংসদ কর্তৃক নির্বাচিত হয়ে থাকেন। ১৯৯১ খ্রিষ্টাব্দে সংসদীয় গণতন্ত্র চালু হওয়ার পূর্বে রাষ্ট্রপতি সরাসরি জনগণের ভোটে নির্বাচিত হতেন। রাষ্ট্রপতির কার্যকালের মেয়াদ পাঁচ বছর। অতীতে দেখা গিয়েছে যে, শাসক দলের মনোনীত প্রার্থীই রাষ্ট্রপতি হয়েছেন। অনেকেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। ক্ষমতাসীন রাষ্ট্রপতি পুনরায় নির্বাচনে লড়তে পারেন।

প্রত্যেক সাধারণ নির্বাচনের পর সংসদের প্রথম অধিবেশনের উদ্বোধনী ভাষণটি দেন রাষ্ট্রপতি। বছরের প্রথম সংসদীয় অধিবেশনের প্রথম উদ্বোধনী ভাষণটিও তিনিই দেন। তার এই ভাষণটি আসলে নতুন সরকারি নীতির রূপরেখা মাত্র। জাতীয় সংসদে পাস হওয়া প্রতিটি বিল রাষ্ট্রপতির সম্মতিক্রমে আইনে পরিণত হয়।

বাংলাদেশের বর্তমান রাষ্ট্রপতি

১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ তারিখে সাহাবুদ্দিন আনুষ্ঠানিকভাবে দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসাবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন সোমবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৩-এ পাঁচ বছরের মেয়াদের জন্য দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
বাংলাদেশের ২২ তম রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন-banglanoteboi
বাংলাদেশের ২২ তম রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন (জন্ম: ১৯৪৯)

বাংলাদেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য ২০২৩ সালের বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি নির্বাচন রবিবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ তারিখে নির্ধারিত ছিল। তবে ১২ ফেব্রুয়ারি দুপুরে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া বন্ধ হয়ে যায় এবং আওয়ামী লীগের রাজনীতিবিদ মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন, যিনি সংবিধানের বিধান অনুযায়ী মনোনয়ন দিয়েছিলেন, তিনিই একমাত্র প্রার্থী ছিলেন। এইভাবে ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ তারিখে সাহাবুদ্দিন আনুষ্ঠানিকভাবে দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসাবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন সোমবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৩-এ পাঁচ বছরের মেয়াদের জন্য দায়িত্ব গ্রহণ করেন।[

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি। তিনি ১৭ এপ্রিল ১৯৭১ থেকে ১২ জানুয়ারি ১৯৭২ পর্যন্ত এবং ২৫ জানুয়ারি ১৯৭৫ থেকে ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ পর্যন্ত রাষ্ট্রপতি ছিলেন। উপরে ডানে: জিয়াউর রহমান, বাংলাদেশের জনগণের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত প্রথম রাষ্ট্রপতি

বাংলাদেশের সকল রাষ্ট্রপতিগণ -এর নাম, মেয়াদকাল এবং কোন দল থেকে সমর্থীত হয়ে রাষ্ট্রপতি হয়েছেন তার একটা তালিকা নিচে দেওয়া হলো;

সাবেক রাষ্ট্রপতিগণ

এটি ১৯৭১ সালের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের পর থেকে বাংলাদেশের সকল রাষ্ট্রপতিদের সম্পূর্ণ তালিকা। (সূত্র: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ)
ক্রমিক নংনামপদ গ্রহণ পদ পরিত্যাগমেয়াদকালসমর্থিত দলজন্মস্থান
১মশেখ মুজিবুর রহমান
(১৯২০-১৯৭৫)
১৭ এপ্রিল ১৯৭১১২ জানুয়ারি ১৯৭২২৭০ দিনবাংলাদেশ আওয়ামী লীগগোপালগঞ্জ (টুঙ্গিপাড়া গ্রাম)
২য়সৈয়দ নজরুল ইসলাম
(১৯২৫-১৯৭৫)[
১৭ এপ্রিল ১৯৭১১২ জানুয়ারি ১৯৭২২৭০ দিনবাংলাদেশ আওয়ামী লীগময়মনসিংহ (বর্তমান কিশোরগঞ্জ)
৩য়আবু সাঈদ চৌধুরী
(১৯২১–১৯৮৭)
১২ জানুয়ারি ১৯৭২ ২৪ ডিসেম্বর ১৯৭৩ ১ বছর, ৩৪৬ দিন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
৪র্থমোহাম্মদউল্লাহ
(১৯২১–১৯৯৯)
২৪ ডিসেম্বর ১৯৭৩ ২৫ জানুয়ারি ১৯৭৫১ বছর, ৩২ দিনবাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
৫মশেখ মুজিবুর রহমান
(১৯২০-১৯৭৫)
২৫ জানুয়ারি ১৯৭৫ ১৫ আগস্ট ১৯৭৫২০২ দিন বাকশালগোপালগঞ্জ (টুঙ্গিপাড়া গ্রাম)
৬ষ্ঠখন্দকার মোশতাক আহমেদ
(১৯১৮–১৯৯৬)
১৫ আগস্ট ১৯৭৫৬ নভেম্বর ১৯৭৫৮৩ দিনবাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
৭ম আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েম
(১৯১৬–১৯৯৭)
৬ নভেম্বর ১৯৭৫২১ এপ্রিল ১৯৭৭১ বছর, ১৬৬ দিনবাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
৮মজিয়াউর রহমান
(১৯৩৬–১৯৮১)
২১ এপ্রিল ১৯৭৭৩০ মে ১৯৮১৪ বছর, ৩৯ দিনসামরিক /
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল
৯মআবদুস সাত্তার
(১৯০৬–১৯৮৫)
৩০ মে ১৯৮১২৪ মার্চ ১৯৮২২৯৮ দিন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল
১০মআ ফ ম আহসানউদ্দিন চৌধুরী
(১৯১৫–২০০১)
২৭ মার্চ ১৯৮২ ১০ ডিসেম্বর ১৯৮৩ ১ বছর, ২৫৮ দিন নির্দলীয়
১১তমহুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ
(১৯৩০–২০১৯)
১১ ডিসেম্বর ১৯৮৩৬ ডিসেম্বর ১৯৯০ ৬ বছর, ৩৬০ দিন সামরিক /
জাতীয় পার্টি
১২তমশাহাবুদ্দিন আহমেদ
(১৯৩০-২০২২)
৬ ডিসেম্বর ১৯৯০ ১০ অক্টোবর ১৯৯১ ৩০৮ দিন নির্দলীয়
১৩তমআবদুর রহমান বিশ্বাস
(১৯২৬–২০১৭)
১০ অক্টোবর ১৯৯১৯ অক্টোবর ১৯৯৬ ৪ বছর, ৩৬৫ দিন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল
১৪তমশাহাবুদ্দিন আহমেদ
(১৯৩০-২০২২)
৯ অক্টোবর ১৯৯৬ ১৪ নভেম্বর ২০০১ ৫ বছর, ৩৬ দিন নির্দলীয়
১৫তমএকিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী
(জন্ম ১৯৩২)
১৪ নভেম্বর ২০০১ ২১ জুন ২০০২ ২১৯ দিন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল
১৬তমজমির উদ্দিন সরকার
(জন্ম ১৯৩১)
২১ জুন ২০০২ ৬ সেপ্টেম্বর ২০০২৭৭ দিন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল
১৭তমইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ
(১৯৩১–২০১২)
৬ সেপ্টেম্বর ২০০২ ১২ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ৬ বছর, ১৫৯ দিন নির্দলীয়
১৮তমজিল্লুর রহমান
(১৯২৯–২০১৩)
১২ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ২০ মার্চ ২০১৩৪ বছর, ৩৬ দিনবাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
১৯তমআবদুল হামিদ
(জন্ম ১৯৪৪)
১৪ মার্চ ২০১৩ ২৪ এপ্রিল ২০২৩১০ বছর, ৪১ দিনবাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
২০তমমোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন
(জন্ম: ১৯৪৯)
২৪ এপ্রিল ২০২৩বর্তমান- বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ

সংবিধানের ৪৮ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সংসদ সদস্যদের দ্বারা পরোক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। যাইহোক, ১৯৯১ সাল থেকে যখন বাংলাদেশে সংসদীয় সরকার ব্যবস্থা পুনরুদ্ধার করা হয়েছিল, তখন থেকে সরকার দলীয় প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।