Recent Updates
Tag

বাংলাদেশ বিষয়াবলী

Browsing

বাংলাদেশের প্রশাসনিক ব্যবস্থায় জেলা একটি গুরুত্বপূর্ণ স্তর । কয়েকটি উপজেলা নিয়ে একটি জেলা গঠিত হয় যা আবার একটি বিভাগের আওতায় থাকে । প্রশাসনিকভাবে একটি জেলা একটি বিভাগের অধিক্ষেত্রভুক্ত।

বিভিন্ন চাররীর পরীক্ষার জন্য জেলাগুলোর নাম মনে রাখা খুব কষ্টসাধ্য বেপার। কিন্তু কিছু টেকনিক বা কৌশলের মাধ্যমে সহজেই জেলাগুলোর নাম ও বিভাগ মনে রাখা যায়।

বাংলাদেশে মোট ৮টি বিভাগ আছে। এগুলো হল:

১. ঢাকা  ২.চট্টগ্রাম ৩. সিলেট  ৪. রাজশাহী  ৫.রংপুর ৬.খুলনা  ৭ . বরিশাল ও  ৮.ময়মনসিংহ.

এবং মোট জেলার সংখ্যা ৬৪টি।

আসুন জেনে নেই বিস্তারিত জেলার নামগুলো- বিভাগ অনুযায়ীঃ 

বাংলাদেশের ৬৪টি জেলার নাম

বিভাগ জেলা
চট্টগ্রাম কুমিল্লা, ফেনী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, রাঙ্গামাটি, নোয়াখালী, চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার,

খাগড়াছড়ি, বান্দরবান

রাজশাহী সিরাজগঞ্জ, পাবনা, বগুড়া, রাজশাহী, নাটোর, জয়পুরহাট, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ
খুলনা যশোর, সাতক্ষীরা, মেহেরপুর, নড়াইল, চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া, মাগুরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝিনাইদহ
বরিশাল ঝালকাঠি, পটুয়াখালী, পিরোজপুর, বরিশাল, ভোলা, বরগুনা
সিলেট সিলেট, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ
ঢাকা নরসিংদী, গাজীপুর, শরীয়তপুর, নারায়ণগঞ্জ, টাঙ্গাইল, কিশোরগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, ঢাকা,

মুন্সিগঞ্জ, রাজবাড়ী, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর

রংপুর পঞ্চগড়, দিনাজপুর, লালমনিরহাট, নীলফামারী, গাইবান্ধা, ঠাকুরগাঁও, রংপুর, কুড়িগ্রাম
ময়মনসিংহ শেরপুর, ময়মনসিংহ, জামালপুর, নেত্রকোণা

মনে রাখার চিন্তা আর না, এই লেখাটিতে বেশ কিছু কৌশল বা টেকনিকের মাধ্যমে দেখানো হবে আপনি কিভাবে পরীক্ষা বা জানার জন্য সহজেই বাংলাদেশের ৮টি বিভাগের মোট ৬৪ জেলার নাম আয়ত্ত করে নিতে পারেন।

আওরা এখানে কয়েকটি কৌশল শিখিয়ে দেবো, আপনি এর মধ্যে যেকোন একটি কৌশলের মধ্যেমে মনে রাখতে পারেন। কারন আমরা বিশ্বাস করি একই কৌশল সবার জন্যে উপযুক্ত নাও হতে পারে।

বাংলাদেশের ৮টি বিভাগের ৬৪ জেলার নাম মনে রাখার অব্যর্থ কৌশলঃ

আমরা ইন্টারনেটের বিভিন্ন উৎস, লেখক ও গবেষকের লেখা থেকে আপনার জন্য কিছু নির্দিষ্ট কৌশল বা টেকনিক সংগ্রহ করে এই ব্লগে সংযোজন করেছি যাতে আপনার স্মৃতিতে বাংলাদেশের ৬৪ জেলার নাম এমনভাবে গেঁথে নিতে পারেন, যেকোনো সময় যেকোনো পরীক্ষায় শতভাগ আত্মবিশ্বাসের সাথে সঠিক উত্তর করতে পারেন।

৬৪ জেলার নাম মনে রাখার সহজ কৌশল-বাংলা নোট বই
৬৪ জেলার নাম মনে রাখার সহজ কৌশল

রংপুর বিভাগের জেলা সমূহের নামঃ 

বিভাগ- রংপুর,  প্রতিষ্ঠিত হয়- ২০১০ সালে । মোট জেলার সংখা ৮টি।

পঞ্চগড়, দিনাজপুর, নীলফামারী, লালমনিরহাট, গাইবান্ধা, ঠাকুরগাঁও, রংপুর, কুড়িগ্রাম।

মনে রাখার কৌশল-১ঃ

জেলা গুলো মনে রাখার উপায়পঞ্চলাল ঠাকুর দিনার বিয়ের জন্য নীল রংয়ের কুড়িটা গাই দান করলেন।

ব্যাখ্যাপঞ্চ- পঞ্চগড়,  লাল- লালমনিরহাট, ঠাকুর- ঠাকুরগাঁও, দিনার- দিনাজপুর, নীল- নীলফামারী, রংয়ের- রংপুর, কুড়িটা- কুড়িগ্রাম, গাই- গাইবান্ধা।

মনে রাখার কৌশল-২ঃ

জেলা গুলো মনে রাখার উপায়পঞ্চ ঠাকুর লাল নীল রং এর কুড়িটি গাই দিল।
পঞ্চ-পঞ্চগড়, ঠাকুর – ঠাকুরগাঁও, লাল-  লালমনিরহাট, নীল-  নীলফামারী, রং –  রংপুর , কুড়িটি – কুড়িগ্রাম , গাই-  গাইবান্ধা, দিল -দিনাজপুর।

সিলেট বিভাগের জেলা সমূহের নামঃ 

বিভাগ- সিলেট, প্রতিষ্ঠিত হয়- ১৯৯৫সালে। জেলা- ৪টি।

 সিলেট বিভাগের চারটি জেলা- সিলেট, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ।

মনে রাখার কৌশল-১ঃ

জেলা গুলো মনে রাখার উপায়সিলেটের হবি মৌলভীর সুনাম অনেক।

ব্যাখ্যাসিলেটের- সিলেট, হবি- হবিগঞ্জ,  মৌলভীর- মৌলভীবাজার,  সুনাম- সুনামগঞ্জ।

মনে রাখার কৌশল-২ঃ

জেলা গুলো মনে রাখার উপায়মৌলভীর হবিগঞ্জে সুনাম ছিল।
ব্যাখ্যা: মৌলভীবাজার,  হবিগঞ্জ , সুনামগঞ্জ,  সিলেট।

রাজশাহী বিভাগের জেলা সমূহের নামঃ 

বিভাগ- রাজশাহী,  প্রতিষ্ঠিত হয়- ১৮২৯সালে।  জেলা- ৮টি।

রাজশাহী বিভাগে আটটি জেলা হল- বগুড়া, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ, রাজশাহী, নওগাঁ , নাটোর, পাবনা, জয়পুরহাট।

মনে রাখার কৌশল-১ঃ

জেলা গুলো মনে রাখার উপায়বগুড়ার নবাব সিরাজ শাহ নও মাস যুদ্ধ করে নাটকীয়ভাবে পাবনা জয় করলেন।

ব্যাখ্যাবগুড়ার- বগুড়া, নবাব- চাঁপাইনবাবগঞ্জ, সিরাজ- সিরাজগঞ্জ, শাহ- রাজশাহী, নও- নওগাঁ , মাস- যুদ্ধ- করে নাটকীয়ভাবে- নাটোর, পাবনা- পাবনা, জয়- জয়পুরহাট।

মনে রাখার কৌশল-২ঃ

জেলা গুলো মনে রাখার উপায়চাপাবাজ নাসির।

ব্যাখ্যাচাপাইনবাবগঞ্জ, পাবনা, বগুড়া,  জয়পুরহাট, নওগা,  নাটোর,  সিরাজগঞ্জ, রাজশাহী।

ঢাকা বিভাগের জেলা সমূহের নামঃ 

বিভাগ- ঢাকা, প্রতিষ্ঠিত হয়-১৮২সালে। জেলা-১৩টি।

ঢাকা বিভাগের জেলাগুলো হলো- মানিকগঞ্জ মুন্সিগঞ্জ, ফরিদপুর গাজীপুর, রাজবাড়ী, গোপালগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী, শরীয়তপুর, ঢাকা, টাঙ্গাইল, কিশোরগঞ্জ, মাদারীপুর।

মনে রাখার কৌশল-১ঃ

জেলা গুলো মনে রাখার উপায়মানিক মুন্সি আর ফরিদ গাজী রাজার নিকট প্রতিবাদ জানালো যে,গোপাল নারায়ণ সাহেব নরসিংহের ন্যায় শরিয়ত অমান্য করে ঢাক ঢোল পিটিয়ে টাঙ্গাইলের এক কিশোরকে মাদারী বলে গালি দিয়েছে।

ব্যাখ্যা মানিক- মানিকগঞ্জ,  মুন্সি- মুন্সিগঞ্জ, ফরিদ- ফরিদপুর, গাজী- গাজীপুর, রাজার- রাজবাড়ী, গোপাল- গোপালগঞ্জ, নারায়ণ- নারায়ণগঞ্জ, নরসিংহের- নরসিংদী,  শরিয়ত- শরীয়তপুর,  ঢাক- ঢাকা, ঢোল টাঙ্গাইলের- টাঙ্গাইল, কিশোরকে- কিশোরগঞ্জ, মাদারী- মাদারীপুর।

মনে রাখার কৌশল-২ঃ

জেলা গুলো মনে রাখার উপায়কিগো শরিফের মামু রানা গাজীর টাকাই সিন্ধুকে।।
ব্যাখ্যাকিশোরগঞ্জ, গোপালগঞ্জ, শরিয়তপুর, ফরিদপুর, মাদারীপুর, মানিকগঞ্জ,  মুন্সিগঞ্জ, রাজবাড়ি, গাজীপুর, টাংগাইল, নারায়ণগঞ্জ।

ময়মনসিং বিভাগের জেলা সমূহের নামঃ 

বিভাগ- ময়মনসিংহ,  প্রতিষ্ঠিত হয়- ২০১৫সালে । জেলা- ৪টি।

ময়মনসিংহ জেলার সংখ্যা চারটি- নেত্রকোণা, জামালপুর, ময়মনসিংহ, শেরপুর।

মনে রাখার কৌশল-১ঃ

জেলা গুলো মনে রাখার উপায়নেএকোনার জামাল সাহেব নয়মন শিং মাছে ৯ শের বেশি দিল।

ব্যাখ্যানেএকোনার- নেত্রকোণা, জামাল- জামালপুর, নয়মন শিং- ময়মনসিংহ,  শের-শেরপুর।

মনে রাখার কৌশল-২ঃ

জেলা গুলো মনে রাখার উপায়: নেত্রকোনার জাম শেরা।
ব্যাখ্যানেত্রকোনা, জামালপুর , ময়মনসিংহ , শেরপুর।

খুলনা বিভাগ বিভাগের জেলা সমূহের নামঃ 

বিভাগ- খুলনা,  প্রতিষ্ঠিত হয়- ১৯৬০সালে। জেলা- ১০টি।

খুলনা বিভাগের ১০ টি জেলার নাম- সাতক্ষীরা, মাগুরা, বাগেরহাট, মেহেরপুর, খুলনা, ঝিনাইদহ, চুয়াডাঙ্গা, নড়াইল, কুষ্টিয়া, যশোর।

মনে রাখার কৌশল-১ঃ

জেলা গুলো মনে রাখার উপায়সাত সন্তানের মা বাঘিনী কন্যা মেহেরুন্নেছা চুল খুলে ঝিনুক ডাঙ্গায় বসে নর প্রেমে মজিয়া লোকের কুৎসায় আপনার যশ খ্যাতি হারাইল।

ব্যাখ্যাসাত- সাতক্ষীরা,  মা- মাগুরা, বাঘিনী- বাগেরহাট, মেহেরুন্নেছা- মেহেরপুর,  খুলে- খুলনা,  ঝিনুক- ঝিনাইদহ, ডাঙ্গায়- চুয়াডাঙ্গা,  নর- নড়াইল, কুৎসায়- কুষ্টিয়া,  যশ- যশোর।

মনে রাখার কৌশল-২ঃ

চট্টগ্রাম বিভাগের জেলা সমূহের নামঃ 

বিভাগ- চট্টোগ্রাম, প্রতিষ্ঠিত হয়- ১৮২৯সালে। জেলা-১১টি।

চট্টগ্রাম বিভাগের জেলা কয়টি জেলা রয়েছে- চট্টগ্রাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া,  ফেনী, কক্সবাজার, লক্ষ্মীপুর, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর , নোয়াখালী, কুমিল্লা।

মনে রাখার কৌশল-১ঃ

জেলা গুলো মনে রাখার উপায়গ্রামের ব্রাহ্মণ ফেনী বাজারের লক্ষী দেবীকে ছড়ি হাতে বললেন যে,বান্দর আবার রাঙা চাঁদ হয় নাকি হোক সে নোয়া কিংবা পুরাতন,এসবই কু-কথা।

ব্যাখ্যাগ্রামের- চট্টগ্রাম,  ব্রাহ্মণ- ব্রাহ্মণবাড়িয়া,  ফেনী- ফেনী,  বাজারের- কক্সবাজার, লক্ষী- লক্ষ্মীপুর,  ছড়ি- খাগড়াছড়ি, বান্দর- বান্দরবান, রাঙা- রাঙ্গামাটি, চাঁদ- চাঁদপুর, নোয়া- নোয়াখালী, কু-কথা- কুমিল্লা ।

মনে রাখার কৌশল-২ঃ

জেলা গুলো মনে রাখার উপায়ব্রাহ্মণ কুমিল্লার লক্ষীকে চাঁদে নেয় ফিরনী চকবার খায়।।।
ব্যাখ্যাব্রাহ্মণবাড়িয়া,  কুমিল্লা , লক্ষীপুর,  চাঁদপুর, নোয়খালী, ফেনী, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বান্দরবন,  রাঙ্গামাটি,  খাগরাছড়ি।

বরিশাল বিভাগের জেলা সমূহের নামঃ 

বিভাগ- বরিশাল,  প্রতিষ্ঠিত হয়- ১৯৯৩সালে। জেলা- ৬টি।

বরিশাল বিভাগে মোট  টি জেলা রয়েছে – পিরোজপুর, বরিশাল, বরগুনা ঝালকাঠি, পটুয়াখালী, ভোলা।

মনে রাখার কৌশল-১ঃ

জেলা গুলো মনে রাখার উপায়পরীর ২ বর ঝাল পটেটো ভালোবাসে

ব্যাখ্যাপরীর- পিরোজপুর, ২ বর- বরিশাল, বরগুনা, ঝাল- ঝালকাঠি, পটেটো- পটুয়াখালী, ভালোবাসে-ভোলা।

মনে রাখার কৌশল-২ঃ

জেলা গুলো মনে রাখার উপায়পপির ২(বর) ঝাল ভালোবাসে।।
ব্যাখ্যাপটুয়াখালী, পিরোজপুর,  বরগুনা , বরিশাল, ঝালকাঠী, ভোলা।

উপরের নিয়মের দ্বারা অনেকেরই মনে নাও থাকতে পারে কিন্তু নিচে আরও একটি নিয়ম বা কৌশল দেয়া হল যা একটু ভিন্ন রকম কিন্তু ১০০ ভাগ কর্যকরী।

৬৪ জেলার নাম মনে রাখার কৌশল-বাংলা নোট বই
৬৪ জেলার নাম মনে রাখার কৌশল

চলুন তাহলে একটা ভিন্ন ধর্মী কৌশলে শিখে নেই কিভাবে ৬৪ জেলার নাম মনে রাখবেন খুব সহজেই! 

বাংলাদেশের ৬৪ জেলার নাম মনে রাখার সহজ উপায়ঃ অব্যর্থ কৌশল বা টেকনিক

এই নিয়মে আপনি যেকোনো পরীক্ষায় বা প্রতিযোগীতায় যেকোন পরিস্থিতিতে সব জেলার নাম বাচ্চাদের  মত করে মনে করতে পারবেন।

১. পুরযুক্ত ১২টি জেলা:
চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, মেহেরপুর, পিরোজপুর, গাজীপুর, শরিয়তপুর, মাদারীপুর, ফরিদপুর, শেরপুর, জামালপুর, দিনাজপুর, রংপুর।

২. গঞ্জযুক্ত ৯টি জেলা:
সিরাজগঞ্জ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, গোপালগঞ্জ।

৩. শেষে আ-কারযুক্ত ১৫টি জেলা:
কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, বগুড়া, পাবনা, সাতক্ষীরা, চুয়াডাঙ্গা, নওগাঁ, কুষ্টিয়া, মাগুরা, ভোলা, খুলনা, বরগুনা, ঢাকা, গাইবান্ধা, নেত্রকোণা।

৪. হাটযুক্ত ৩টি জেলা:

জয়পুরহাট, বাগেরহাট, লালমনিরহাট।

৫. বাজারযুক্ত ২টি জেলা:

কক্সবাজার, মৌলভীবাজার।

৬. গ্রামযুক্ত ২টি জেলা:

চট্টগ্রাম, কুড়িগ্রাম।

৭. খালীযুক্ত ২টি জেলা:

নোয়াখালী, পটুয়াখালী।

৮. আইলযুক্ত ২টি জেলা:

নড়াইল, টাঙ্গাইল।

৯. শেষে ই-কারযুক্ত ৩টি জেলা:

রাঙ্গামাটি, ঝালকাঠি, খাগড়াছড়ি।

১০. শেষে ঈ-কারযুক্ত ৫টি জেলা: (খালী ছাড়া)

ফেনী, রাজশাহী, নরসিংদী, রাজবাড়ী, নীলফামারী।

১১. শেষে কারবিহীন ৯টি জেলা: (পুর, বাজার, গঞ্জ, হাট, গ্রাম, আইল ছাড়া)

বান্দরবান, নাটোর, যশোর, ঝিনাইদহ, সিলেট, বরিশাল, পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, ময়মনসিংহ।

রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশের আইনবিভাগ, শাসনবিভাগ ও বিচারবিভাগের সকল শাখার আনুষ্ঠানিক প্রধান এবং বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর সর্বাধিনায়ক (কমান্ডার ইন চিফ)। রাষ্ট্রপতির দণ্ডিত ব্যক্তির দণ্ডাদেশ স্থগিত, হ্রাস বা দণ্ডিতকে ক্ষমা করার অধিকার রয়েছে। বর্তমানে রাষ্ট্রপতি জাতীয় সংসদ কর্তৃক নির্বাচিত হয়ে থাকেন। ১৯৯১ খ্রিষ্টাব্দে সংসদীয় গণতন্ত্র চালু হওয়ার পূর্বে রাষ্ট্রপতি সরাসরি জনগণের ভোটে নির্বাচিত হতেন। রাষ্ট্রপতির কার্যকালের মেয়াদ পাঁচ বছর। অতীতে দেখা গিয়েছে যে, শাসক দলের মনোনীত প্রার্থীই রাষ্ট্রপতি হয়েছেন। অনেকেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। ক্ষমতাসীন রাষ্ট্রপতি পুনরায় নির্বাচনে লড়তে পারেন।

প্রত্যেক সাধারণ নির্বাচনের পর সংসদের প্রথম অধিবেশনের উদ্বোধনী ভাষণটি দেন রাষ্ট্রপতি। বছরের প্রথম সংসদীয় অধিবেশনের প্রথম উদ্বোধনী ভাষণটিও তিনিই দেন। তার এই ভাষণটি আসলে নতুন সরকারি নীতির রূপরেখা মাত্র। জাতীয় সংসদে পাস হওয়া প্রতিটি বিল রাষ্ট্রপতির সম্মতিক্রমে আইনে পরিণত হয়।

বাংলাদেশের বর্তমান রাষ্ট্রপতি

১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ তারিখে সাহাবুদ্দিন আনুষ্ঠানিকভাবে দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসাবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন সোমবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৩-এ পাঁচ বছরের মেয়াদের জন্য দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
বাংলাদেশের ২২ তম রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন-banglanoteboi
বাংলাদেশের ২২ তম রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন (জন্ম: ১৯৪৯)

বাংলাদেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য ২০২৩ সালের বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি নির্বাচন রবিবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ তারিখে নির্ধারিত ছিল। তবে ১২ ফেব্রুয়ারি দুপুরে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া বন্ধ হয়ে যায় এবং আওয়ামী লীগের রাজনীতিবিদ মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন, যিনি সংবিধানের বিধান অনুযায়ী মনোনয়ন দিয়েছিলেন, তিনিই একমাত্র প্রার্থী ছিলেন। এইভাবে ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ তারিখে সাহাবুদ্দিন আনুষ্ঠানিকভাবে দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসাবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন সোমবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৩-এ পাঁচ বছরের মেয়াদের জন্য দায়িত্ব গ্রহণ করেন।[

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি। তিনি ১৭ এপ্রিল ১৯৭১ থেকে ১২ জানুয়ারি ১৯৭২ পর্যন্ত এবং ২৫ জানুয়ারি ১৯৭৫ থেকে ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ পর্যন্ত রাষ্ট্রপতি ছিলেন। উপরে ডানে: জিয়াউর রহমান, বাংলাদেশের জনগণের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত প্রথম রাষ্ট্রপতি

বাংলাদেশের সকল রাষ্ট্রপতিগণ -এর নাম, মেয়াদকাল এবং কোন দল থেকে সমর্থীত হয়ে রাষ্ট্রপতি হয়েছেন তার একটা তালিকা নিচে দেওয়া হলো;

সাবেক রাষ্ট্রপতিগণ

এটি ১৯৭১ সালের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের পর থেকে বাংলাদেশের সকল রাষ্ট্রপতিদের সম্পূর্ণ তালিকা। (সূত্র: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ)
ক্রমিক নংনামপদ গ্রহণ পদ পরিত্যাগমেয়াদকালসমর্থিত দলজন্মস্থান
১মশেখ মুজিবুর রহমান
(১৯২০-১৯৭৫)
১৭ এপ্রিল ১৯৭১১২ জানুয়ারি ১৯৭২২৭০ দিনবাংলাদেশ আওয়ামী লীগগোপালগঞ্জ (টুঙ্গিপাড়া গ্রাম)
২য়সৈয়দ নজরুল ইসলাম
(১৯২৫-১৯৭৫)[
১৭ এপ্রিল ১৯৭১১২ জানুয়ারি ১৯৭২২৭০ দিনবাংলাদেশ আওয়ামী লীগময়মনসিংহ (বর্তমান কিশোরগঞ্জ)
৩য়আবু সাঈদ চৌধুরী
(১৯২১–১৯৮৭)
১২ জানুয়ারি ১৯৭২ ২৪ ডিসেম্বর ১৯৭৩ ১ বছর, ৩৪৬ দিন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
৪র্থমোহাম্মদউল্লাহ
(১৯২১–১৯৯৯)
২৪ ডিসেম্বর ১৯৭৩ ২৫ জানুয়ারি ১৯৭৫১ বছর, ৩২ দিনবাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
৫মশেখ মুজিবুর রহমান
(১৯২০-১৯৭৫)
২৫ জানুয়ারি ১৯৭৫ ১৫ আগস্ট ১৯৭৫২০২ দিন বাকশালগোপালগঞ্জ (টুঙ্গিপাড়া গ্রাম)
৬ষ্ঠখন্দকার মোশতাক আহমেদ
(১৯১৮–১৯৯৬)
১৫ আগস্ট ১৯৭৫৬ নভেম্বর ১৯৭৫৮৩ দিনবাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
৭ম আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েম
(১৯১৬–১৯৯৭)
৬ নভেম্বর ১৯৭৫২১ এপ্রিল ১৯৭৭১ বছর, ১৬৬ দিনবাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
৮মজিয়াউর রহমান
(১৯৩৬–১৯৮১)
২১ এপ্রিল ১৯৭৭৩০ মে ১৯৮১৪ বছর, ৩৯ দিনসামরিক /
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল
৯মআবদুস সাত্তার
(১৯০৬–১৯৮৫)
৩০ মে ১৯৮১২৪ মার্চ ১৯৮২২৯৮ দিন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল
১০মআ ফ ম আহসানউদ্দিন চৌধুরী
(১৯১৫–২০০১)
২৭ মার্চ ১৯৮২ ১০ ডিসেম্বর ১৯৮৩ ১ বছর, ২৫৮ দিন নির্দলীয়
১১তমহুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ
(১৯৩০–২০১৯)
১১ ডিসেম্বর ১৯৮৩৬ ডিসেম্বর ১৯৯০ ৬ বছর, ৩৬০ দিন সামরিক /
জাতীয় পার্টি
১২তমশাহাবুদ্দিন আহমেদ
(১৯৩০-২০২২)
৬ ডিসেম্বর ১৯৯০ ১০ অক্টোবর ১৯৯১ ৩০৮ দিন নির্দলীয়
১৩তমআবদুর রহমান বিশ্বাস
(১৯২৬–২০১৭)
১০ অক্টোবর ১৯৯১৯ অক্টোবর ১৯৯৬ ৪ বছর, ৩৬৫ দিন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল
১৪তমশাহাবুদ্দিন আহমেদ
(১৯৩০-২০২২)
৯ অক্টোবর ১৯৯৬ ১৪ নভেম্বর ২০০১ ৫ বছর, ৩৬ দিন নির্দলীয়
১৫তমএকিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী
(জন্ম ১৯৩২)
১৪ নভেম্বর ২০০১ ২১ জুন ২০০২ ২১৯ দিন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল
১৬তমজমির উদ্দিন সরকার
(জন্ম ১৯৩১)
২১ জুন ২০০২ ৬ সেপ্টেম্বর ২০০২৭৭ দিন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল
১৭তমইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ
(১৯৩১–২০১২)
৬ সেপ্টেম্বর ২০০২ ১২ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ৬ বছর, ১৫৯ দিন নির্দলীয়
১৮তমজিল্লুর রহমান
(১৯২৯–২০১৩)
১২ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ২০ মার্চ ২০১৩৪ বছর, ৩৬ দিনবাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
১৯তমআবদুল হামিদ
(জন্ম ১৯৪৪)
১৪ মার্চ ২০১৩ ২৪ এপ্রিল ২০২৩১০ বছর, ৪১ দিনবাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
২০তমমোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন
(জন্ম: ১৯৪৯)
২৪ এপ্রিল ২০২৩বর্তমান- বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ

সংবিধানের ৪৮ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সংসদ সদস্যদের দ্বারা পরোক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। যাইহোক, ১৯৯১ সাল থেকে যখন বাংলাদেশে সংসদীয় সরকার ব্যবস্থা পুনরুদ্ধার করা হয়েছিল, তখন থেকে সরকার দলীয় প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী থেকে কিছু গুরুত্বপুর্ণ তথ্য- 

‘বর্ণবাদী নীতি’ প্রচলিত ছিল- দক্ষিণ আফ্রিকা।
আনুষ্ঠানিকভাবে বর্ণবাদের সমাপ্তি ঘটেছিল- ১৯৯৪ সালে।
নেলসন ম্যান্ডেলা দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। ১৯৯৪ সালে ।
দক্ষিণ আফ্রিকার শ্বেতাঙ্গ শাসনে ছিল- ৩৪২ বছর।
দক্ষিণ আফ্রিকার শেষ শ্বেতাঙ্গ প্রেসিডেন্ট ছিলেন- এফ. ডব্লিউ ক্লার্ক।
যে দেশকে ‘রেইনবো নেশন’ বলা হয়- সাউথ আফ্রিকা।
পেশাগত দিক থেকে ডেসমন্ড টুটো- ধমর্যাজক।
দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদ বিরোধী
আন্দোলনের অন্যতম নেতা ছিলেন- নেলসন ম্যান্ডেলা।
নেলসন ম্যান্ডেলা জন্মগ্রহণ করেন- দক্ষিণ আফ্রিকা।
দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদ বিরোধী নেতা নেলসন ম্যান্ডেলা জন্মগ্রহণ করেন- কুনু।
নেলসন ম্যান্ডেলা যে দেশের নেতা ছিলেন- দক্ষিণ আফ্রিকা।
‘মাদিবা’ যে বিশ্বনেতার ডাক নাম- নেলসন ম্যান্ডেলা।
যে নেতাকে ‘আফ্রিকার গান্ধী’ বলা হয়- নেলসন ম্যান্ডেলা।
নেলসন ম্যান্ডেলাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয় ১৯৬৪ সালে।
নেলসন ম্যান্ডেলা কারারুদ্ধ ছিলেন- ১৯৬৪-১৯৯০।
নেলসন ম্যান্ডেলা কারাগারে ছিলেন- ২৭ বছর।
নেলসন ম্যান্ডেলার রাজনৈতিক দলের নাম- আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেস।
আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেস যে দেশের রাজনৈতিক দল- দক্ষিণ আফ্রিকা।
আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেসের জন্ম- ১৯১২ সালে।
‘Yes for the children’ এর প্রতিষ্ঠাতা- নেলসন ম্যান্ডেলা।
The 46664 Campaign হলাে- এইডস বিরোধী প্রচারণা।
‘Long walk to Freedom’ গ্রন্থটির লেখক- নেলসন ম্যান্ডেলা।
নেলসন ম্যান্ডেলা শান্তিতে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন ১৯৯৩ সালে।
Apartheid হলাে- বর্ণ বৈষম্য।

আন্তর্জাতিক-বিষয়াবলী-থেকে-কিছু-গুরুত্বপুর্ণ-তথ্য -Bangla note boi
বর্ণবাদ বিরোধী বিশ্ব সম্মেলন দক্ষিণ আফ্রিকার যে শহরে অনুষ্ঠিত হয়- ডারবান।
‘Black Lives Matter’ হলাে- বর্ণবাদ বিরোধী আন্দোলন।
নামিবিয়া স্বাধীনতা লাভ করে। ১৯৯০ সালের ২১ মার্চ।
উইন্ডহোয়েক যে দেশের রাজধানী- নামিবিয়া।
জুলিয়াস নায়ারে যে দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের নেতা- তাঞ্জানিয়া।
ইরিত্রিয়া যে দেশের অংশ ছিল- ইথিওপিয়া।
জাতিসংঘের ১৮২তম সদস্য দেশ ইরিত্রিয়া যে মহাদেশে অবস্থিত- আফ্রিকা।
জিম্বাবুয়ে স্বাধীনতা লাভ করে। ১৯৮০ সালে।
জিম্বাবুয়ের রাজধানী হারারে।
আফ্রিকার দক্ষিণে অবস্থিত স্থলবেষ্টিত দেশ রোডেশিয়ার রাজধানী হারারে।
উগান্ডা স্বাধীনতা অর্জন করে। ১৯৬২ সালে।
ফারাহ আইদিদ যে দেশের নেতা ছিলেন- সােমালিয়া।
বিশ্বের নতুনতম রাষ্ট্র- দক্ষিণ সুদান।
বিশ্বের নবীনতম স্বাধীন রাষ্ট্র দক্ষিণ সুদানের জন্ম হয়- জুলাই ৯, ২০১১।
দক্ষিণ সুদানের রাজধানীর নাম- জুবা।
যে দেশ ও রাজধানীর নাম একই- জিবুতি।
মাদাগাস্কারের রাজধানীর নাম- আনতানানারিভাে।

 

বাংলা সাহিত্য থেকে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য-

‘আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে’ – বাংলা সাহিত্যের যে কাব্যে বাঙালির এ প্রার্থনা ধ্বনিত হয়েছে – অন্নদামঙ্গল।
‘হাভাতে যদ্যপি চায় সাগর শুকায়ে যায়।’ চরণ দুটি যার রচনা – ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর।
যে কবি ‘ধর্মমঙ্গল’ কাব্যের প্রণেতা – রূপরাম চক্রবর্তী।
শ্রীচৈতন্যদেবের জীবনভিত্তিক প্রথম কাহিনিকাব্য রচনা করেন – বৃন্দাবন দাস।
বৃন্দাবন দাস রচিত বাংলায় শ্রীচৈতন্যদেবের প্রথম জীবনীগ্রন্থ ‘চৈতন্য-ভাগবত’।
জীবনীকাব্য রচনার জন্য বিখ্যাত – বৃন্দাবন দাস।
চৈতন্য জীবনী কাব্যের শ্রেষ্ঠ কবি – কৃষ্ণদাস কবিরাজ।
শ্রী চৈতন্যদেবের জীবনী গ্রন্থকে বলা হয় – কড়চা।
চৈতন্য-ভাগবত রচনা করেন – বৃন্দাবন দাস।
‘চৈতন্যমঙ্গল’ এর রচয়িতা – লোচন দাস।
‘নবী বংশ’ পুস্তকটি রচনা করেন – সৈয়দ সুলতান। * ‘গোরক্ষ বিজয়’ কাব্য যে ধর্মমতের কাহিনী অবলম্বনে লেখা – নাথধর্ম।
মর্সিয়া হল – শােকগীতি।। * মর্সিয়া শব্দের অর্থ – শােককাব্য।
‘মর্সিয়া’ শব্দের উৎপত্তি আরবি শব্দ থেকে।

 বাংলা-সাহিত্য-থেকে-গুরুত্বপূর্ণ-কিছু-তথ্য--Bangla note boi
যেটা লোকগীতি বা বিলাপ সঙ্গীত – মর্সিয়া ।
জঙ্গনামা কাব্যের বিষয় – যুদ্ধ-বিগ্রহ।
দৌলত উজির বাহরাম খানের জন্মস্থান – চট্টগ্রাম।
লোকসাহিত্য বলতে বুঝায় – ছড়া, গান, ধাঁধাঁ, প্রবাদ-প্রবচন।
লোকের মুখে মুখে প্রচলিত কাহিনী, গান, ছড়া ইত্যাদিকে বলে – লােকসাহিত্য।
এ লোকসাহিত্যের প্রাচীনতম নিদর্শন – ছড়া।
বাংলা সাহিত্যের প্রাচীনতম সৃষ্টি – প্রবচন, ছড়া ও ধাঁধাঁ ।
ইংরেজিতে গীতি কাকে বলে – Ballad।
লোকসাহিত্য সংগ্রহে অবদান রেখেছেন – ড. দীনেশচন্দ্র সেন।
‘মৈমনসিংহ গীতিকা’ সংগ্রহ করেন – চন্দ্রকুমার দে।
‘মৈমনসিংহ গীতিকা’ এর সংগ্রাহক ছিলেন – চন্দ্রকুমার দে।
‘মৈমনসিংহ গীতিকা’ সম্পাদনা করেন – দীনেশচন্দ্র সেন।
‘মৈমনসিংহ গীতিকা’ কতটি ভাষায় অনূদিত হয় – ২৩টি।
মৈমনসিংহ গীতিকা ‘মহুয়া’ পালার রচয়িতা – দ্বিজ কানাই ।
মনসুর বয়াতি রচিত পালা গান – দেওয়ানা মদিনা।।
‘দেওয়ানা মদিনা’ যে কাব্যের অন্তর্গত – মৈমনসিংহ গীতিকা।
যেটি ময়মনসিংহ গীতিকার উপাখ্যান – জয়চন্দ্র চন্দ্রাবতী ।
এ উল্লিখিত যে রচনাটি পুঁথি সাহিত্যের অন্তর্গত নয় – ময়মনসিংহ গীতিকা।
‘পূর্ববঙ্গ গীতিকা’র লোকপালাসমূহের সংগ্রাহক – চন্দ্রকুমার দে ও ড. দীনেশচন্দ্র সেন।
প্রাচীন লোকগীতি ‘হারামণি’ এর সংকলক – মুহাম্মদ মনসুর উদ্দিন।
মধ্যযুগের যে সাহিত্য কৃষিকাজের জন্য উপযোগী – ডাক ও খনার বচন।
‘খনার বচন’ কী সংক্রান্ত – কৃষি।

 

বাংলাদেশ বিষয়াবলী থেকে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য-

অপরাজেয় বাংলা’ হলাে – মুক্তিযােদ্ধাদের একটি ভাস্কর্য।
‘অপরাজেয় বাংলা’ ভাস্কর্যের স্থপতি – সৈয়দ আব্দুল্লাহ খালেদ।
‘অপরাজেয় বাংলা’ উদ্বোধন করা হয় – ১৬ ডিসেম্বর, ১৯৭৯।
‘সংশপ্তক’ ভাস্কর্যটি অবস্থিত – জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় অবস্থিত ‘সংশপ্তক’ ভাস্কর্যটির বিষয়বস্তু – মুক্তিযুদ্ধ।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সম্মুখে স্থাপিত ভাস্কর্য সংশপ্তকের ভাস্কর – হামিদুজ্জামান খান।
সাবাস বাংলাদেশ’ ভাস্কর্যটি অবস্থিত – রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।
‘সাবাস বাংলাদেশ’ ভাস্কর্যটির শিল্পী বা ভাস্কর – নিতুন কুণ্ডু।
মুক্ত বাংলা’ ভাস্কর্যটি নির্মাতা – রশিদ আহমেদ।
‘অদম্য বাংলা ভাস্কর্যটি অবস্থিত – খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়।
চেতনা-৭১’ হলাে – ভাস্কর্য।

বাংলাদেশ-বিষয়াবলী-থেকে-গুরুত্বপূর্ণ-কিছু-তথ্য -Bangla note boi
‘চেতনা-৭১’ স্থপতিটির অবস্থান – শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট।
‘চেতনা-৭১’ এর স্থপতি – মােঃ মঈনুল হােসেন।
মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ভাস্কর্য “বিজয়-৭১’ অবস্থিত – ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। এ বিজয়-৭১’ স্থাপত্যের স্থপতি – খন্দকার বদরুল ইসলাম নানু।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ভাস্কর্যের ভাস্কর – রশিদ আহমেদ।
বিজয় উল্লাস’ ভাস্কর্যটি অবস্থিত – কুষ্টিয়া।
ঢাকার মিরপুরের শহিদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ’ এর স্থপতি – মােস্তফা আলী কুদ্স। এ বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধ, রায়েরবাজারের নকশাবিদ ছিলেন – ফরিদউদ্দিন আহমেদ ও জামি আল সাফি।
“শিখা অনির্বাণ’ অবস্থিত – ঢাকা সেনানিবাসে।
শিখা চিরন্তন’ অবস্থিত – সােহরাওয়ার্দী উদ্যানে।
জাগ্রত চৌরঙ্গী’ হলাে – একটি ভাস্কর্যের নাম।
‘৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক প্রথম ভাস্কর্য- জাগ্রত চৌরঙ্গী।
স্বাধীনতার স্মরণে নির্মিত ভাস্কর্য জাগ্রত চৌরঙ্গী’ অবস্থিত – জয়দেবপুরে।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় নির্মিত দেশের প্রথম ভাস্কর্যটি অবস্থিত – গাজীপুর জেলায়।
জাগ্রত চৌরঙ্গী’ ভাস্কর্যের ভাস্কর – আব্দুর রাজ্জাক।
জয়দেবপুরের চৌরাস্তায় স্থাপিত ‘মুক্তিযোেদ্ধা’ ভাস্কর্য’।
টির শিল্পী – আব্দুর রাজ্জাক।
স্বােপার্জিত স্বাধীনতা অবস্থিত- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
‘স্বােপার্জিত স্বাধীনতার স্থপতির নাম – শামীম শিকদার।
মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক ভাস্কর্য স্বাধীনতার সংগ্রাম’ স্থাপিত – ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
স্বাধীনতা সংগ্রাম’ ভাস্কর্যটির স্থপতি – শামীম শিকদার।
রাজারবাগ পুলিশ লাইনে দুর্জয়’ ভাস্কর্যটির শিল্পী – মৃণাল হক।
রাজেন্দ্রপুর সেনানিবাসে অবস্থিত মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভের নাম – রক্ত সােপান।
ভাস্কর্য ‘মুক্ত বিহঙ্গ’ অবস্থিত – রংপুরে।
স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রতীক হিসেবে পরিচিত ভাস্কর্য অঙ্গীকার’ এর অবস্থান – চাঁদপুর। মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক ভাস্কর্য “বিজয় গাঁথা” অবস্থিত – রংপুর সেনানিবাস।

 

সাধারণ বিজ্ঞান থেকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ  তথ্য- 

উষ্ণতা পরিমাপে ব্যবহৃত হয় – কেলভিন স্কেল।
যে তাপমাত্রায় তরল পদার্থের উপরিতল ধীরে ধীরে বাষ্পে পরিণত হয়- বাষ্পয়ন।
ক্যালরিমিটারের সাহায্যে যেটি মাপা যায় না- তরল পদার্থের তাপমাত্রা।
ফারেনহাইট স্কেলে কোন বস্তুর তাপমাত্রা 50° হলে কেলভিন স্কেলে উক্ত বস্তুর তাপমাত্রা- 283°।
তাপমাত্রা পরিবর্তন না করে তরল অবস্থা থেকে কঠিন অবস্থায় পরিণত হতে একক ভরের বর্জিত তাপকে বলা হয়- কঠিনীভবনের আপেক্ষিক সুপ্ততাপ।
পানি, বরফ ও জলীয় বাষ্প যে তাপমাত্রায় একসঙ্গে থাকতে পারে তা হলাে- 273.16°K।
যে তাপমাত্রায় একটি অণুর গতিশক্তি শূন্য হবে- (-273°C)।
আলাের প্রকৃতি * শূন্য মাধ্যমে এক আলােকবর্ষ সমান- 9.46 x 1012 কি. মি.।
জ্যোতির্বিদ্যায় দূরত্বের একক হিসাবে আলােকবর্ষ, পারসেক ব্যবহৃত হয়।
বায়ুতে বা শূন্যস্থানে আলাের গতি- 3 x 108 ms-1।
শূন্য মাধ্যমে আলাের গতি ৩ লক্ষ কিলােমিটার/সেকেন্ড অথবা ১ লক্ষ ৮৬ হাজার মাইল/সেকেন্ড।
বায়ুতে বা শূন্যস্থান বায়ুতে আলাের গতি প্রতি সেকেন্ডে – 3 x 1010 সেমি।
বায়ুতে ভাসমান স্থানে প্রতি সেকেন্ডে আলাের গতি- 3 x 10৪ কিলােমিটার।
তরঙ্গ তত্ত্বের প্রবক্তা- হাইগেন। ২ তাড়িৎ চৌম্বক তত্ত্বের প্রবক্তা- ম্যাক্স ওয়েল।
২ কোয়ান্টাম চৌম্বক তত্ত্বের প্রবক্তা- ম্যাক্স প্লাঙ্ক।
যেটির গতি সবচেয়ে বেশি আলাে।
ফোটনের ক্ষেত্রে যেটি সঠিক নয়- ফোটনের ভরবেগ ও শক্তি নেই।
প্লাঙ্ক ধ্রুবক = 6.65 x 10-27 আর্গ-সেকেন্ড।
ফটো তড়িৎ ক্রিয়া ব্যাখ্যা করা হয়- আলাের কোয়ান্টাম তত্ত্বের সাহায্যে।
সবচেয়ে ক্ষুদ্র তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের বিকিরণ- গামা রশ্মি।
রঙিন টেলিভিশন হতে বের হয় ক্ষতিকর- মৃদু রঞ্জন রশ্মি।
টেলিভিশন ও রাডারে ব্যবহৃত হয়- Microwave।
যেটি তাড়িৎ চুম্বকীয় তরঙ্গ নয়- Ultrasound ।
(অপশনগুলাের মধ্যে) যেটির দৈর্ঘ্য সবচেয়ে কম- রঞ্জন রশ্মি।
যে আলােক রশ্মির তরঙ্গ দৈর্ঘ্য সবচেয়ে বড় মাইক্রোওয়েভ।
(অপশনগুলাের মধ্যে) যেটির তরঙ্গ দৈর্ঘ্য বেশি- অবলােহিত রশ্মি।
(অপশনগুলাের মধ্যে) যে তড়িৎ চুম্বকীয় বিকিরণ এর কম্পাঙ্ক সবচেয়ে কম- অবলােহিত রশ্মি।
আলাে মূলত- তাড়িত তরঙ্গ।
পরমাণুতে কোন শক্তি সরবরাহ করা হলে ইলেকট্রন এক খােলক থেকে লাফিয়ে অন্য খােলকে চলে যায় পরে আবার ওরা যখন নিজ খােলকে ফিরে আসে তখন যে শক্তি পাওয়া যায়- আলােক।
আলাের গতি এবং বেতার তরঙ্গের গতি- সমান।
আলাের বর্ণ নির্ধারণ করে তার তরঙ্গ দৈর্ঘ্য।
যে আলােক তরঙ্গে মানব চোখে দেখতে পায়- ৪০০ থেকে ৭০০ ন্যানােমিটার।
অ্যাংস্ট্রোম এককে পরিমাপ করা হয়- আলাের তরঙ্গ দৈর্ঘ্য।
বিভিন্ন ধরণের বিকিরণগুলাের মধ্যে যেটি থেকে আমরা তাপ পাই- অবলােহিত রশ্মি।