বিশ্ব মহাসাগর World Ocean) হল পৃথিবীর মহাসাগরীয় জলরাশির একটি আন্তঃসংযুক্ত ব্যবস্থা। মহাসাগর বা মহাসমুদ্র বা মহাসিন্ধু প্রভিতি অতি প্রকাণ্ড এবং লবণযুক্ত, প্রসারিত বিপুল জলরাশি যা পৃথিবীকে বেষ্টন করে আছে। মহাসাগর শব্দটি এসেছে গ্রীক শব্দ ওকিআনোজ থেকে। মহাসাগরীয় জলরাশি পৃথিবীর মোট আয়তনের ৩.৬১ ১০১৪ বর্গ মিটার প্রায় ৭০.৯% স্থান দখল করে আছে। এ বিপুল জলরাশি অনেকগুলো মহাসাগর এবং ছোট ছোট সমুদ্র, উপসাগরে বিভক্ত হয়ে আছে।
৫টি মহাসাগর সমন্ধে গুরুত্বপুর্ণ তথ্যের পিডিএফ ।। ডাইনলোড করুন
আজকের এই আলোচনায় আমরা মহাসাগরীয় জলরাশি তথা মহাসাগর উপর সীমাবদ্ধ রাখব। কিছু গুরুত্বপুর্ণ তথ্য জানব যা আমাদের জানার ইচ্ছা বা অজানা পৃথিবীর সম্পর্কে জ্ঞানকে যেমন প্রসারিত করবে তেমনি বিভিন্ন প্রতিযোগীতামূলক পরীক্ষার জন্যও প্রস্তুতি নিতে পারবেন। এই বিষয়ের কিছু গুরুত্বপুর্ণ তথ্য সাজিয়ে পিডিএফ দেয়া আছে যা আপনারা ডাউনলোড করে পরীক্ষার জন্য রিভিসন দিতেও পারেন। চলুন তাহলে আমাদের কিছু প্রশ্নের উত্তর খুঁজি।
পৃথিবীর ৫টি মহাসাগর সমন্ধে কিছু গুরুত্বপুর্ণ তথ্য
একসময় বর্তমানকালের মহাসাগরগুলোর আন্তঃসংযোগকৃত লবণাক্ত জলরাশি বৈশ্বিক মহাসাগর হিসেবে নির্দেশ করা হতো। মূলত মহাসাগর একটি। এ ধারণাটি অবিচ্ছেদ্য ও পারস্পরিক সম্পর্কযুক্ত এবং মুক্ত জলরাশির আন্তঃসংযোগে মহাসাগরীয়বিদ্যার মৌলিক গুরুত্বকেই এখানে তুলে ধরে। পাশ্চাত্য ভূগোলবিদরা তাদের নিজেদের সুবিধার্থে মহাসাগরকে ৫টি অংশে বিভক্ত করেছেন। মহাসাগরীয় বিভাজনসমূহ সংজ্ঞায়িত এবং মূল্যায়িত হয়েছে মহাদেশ মাটির স্তর এবং অন্যান্য শর্তাবলীর আংগিকে।
মহাসাগরীয় জলরাশি কি?
মহাসাগরীয় জলরাশি বা মহাসাগর সম্পর্কে আমাদের বুঝতে হলে আগে বুঝতে হবে মহাদেশ কি, পৃথিবীর উপরিভাগের গঠন কেমন। অতি প্রকাণ্ড ও লবণযুক্ত বিপুল জলরাশি যা পৃথিবীকে বেষ্টন করে আছে। এবং মহাদেশগুলোকে পরস্পর থেকে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে।
আমরা জানি আমাদের পৃথিবীর উপরিভাগ সম্পুর্ণ গোলাকার বা মসৃণ নয়। কোথাও উঁচু পাহাড় আবার কোথাও অনেক গভীর জলরাশি। মহাদেশ বা আমাদের বসবাসের ভুমির মধ্যবর্তী সুগভীর ও বিশাল জলরাশিকেই মুলত মহাসাগর বা মহাসাগরীয় জলরাশি বলে।
মহাসাগর মুলত কাকে বলে?
অতি প্রকাণ্ড ও লবণযুক্ত বিপুল জলরাশি যা মুলত পৃথিবীকে বেষ্টন করে আছে, এবং মহাদেশগুলোকে বিভক্ত করে তাকেই মহাসাগর বা মহাসমুদ্র (Ocean) বলে। মহাসাগর জলভাগ পৃথিবীর মোট আয়তনের প্রায় ৭০.৯% অর্থাৎ পৃথিবীর তিনভাগ জল ও একভাগ স্থল রয়েছে। সুতরাং বুঝতে পারছেন একটি উম্নুক্ত বিশাল এলাকা জুড়ে বিস্তীর্ণ জায়গায় জল জমা হয়ে থাকলেই তা মহাসাগর হয়ে যায়।
পৃথিবীর একভাগ স্থলের মধ্যে ৭টি মহাদেশ রয়েছে। এবং বাকি অংশ জলে পরিপূর্ণ। এই জলটিকেই বিভিন্ন মহাসাগরে ভাগ করা হয়েছে। এবং আলাদা আলাদা নাম দেওয়া হয়েছে।
মহাসাগরের অর্ধেকের বেশী স্থানে গড় গভীরতা ৩,০০০ মিটার বা ৯,৮০০ বর্গফুটরেও বেশী। গড় লবণাক্তের পরিমান ৩.৫% এবং প্রায় সকল সমুদ্রের গড় লবণাক্ততা ৩% থেকে ৩.৮% থাকে। বৈজ্ঞানিকেরা হিসেব করে দেখেছেন, মহাসাগরে প্রায় ২,৩০,০০০ সামুদ্রিক এবং জলজ প্রাণীও আছে। প্রকৃতপক্ষে সামুদ্রিক ও জলজ প্রাণীর মোট সংখ্যা নির্ণিত সংখ্যার তুলনায় প্রায় ১০ গুণ বেশী হতে পারে বলে ধারনা করা হয়।
পৃথিবীর মোট মহাসাগর কয়টি ও কি কি?
বিজ্ঞানীরা পৃথিবীর এই বিশাল জলরাশিকে আলাদা আলাদা পাঁচটি ভাগে ভাগ করেছেন এবং প্রত্যেক আলাদা ভাগের নাম দিয়েছেন। এই ভাগগুলিকেই পাঁচটি মহাসাগর হিসেবে চিহ্নিত করা হয় অর্থাৎ বিশ্বে মোট পাঁচটি মহাসাগর রয়েছে। এর মধ্যে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় মহাসাগরের নাম হলো প্রশান্ত মহাসাগর এবং সবচেয়ে ছোট মহাসাগরের নাম হলো দক্ষিণ মহাসাগর। চলুন এবার পৃথিবীর ৫টি মহাসাগর সমন্ধে বিস্তারিত ও গুরুত্বপুর্ণ তথ্য জেনে নেই।
পৃথিবীর ৫টি মহাসাগর(আয়োতনে বৃহত্তম থেকে ক্ষুদ্রতম ক্রমে) হলো–
১. প্রশান্ত মহাসাগর (Pacific Ocean)
২. আটলান্টিক মহাসাগর (Atlantic Ocean)
৩. ভারত মহাসাগর (Indian Ocean)
৪. দক্ষিণ বা কুমেরু মহাসাগর (Southern Ocean)
৫. উত্তর বা সুমেরু মহাসাগর (Arctic Ocean)
৫টি মহাসাগর সমন্ধে গুরুত্বপুর্ণ তথ্যের পিডিএফ ।। ডাইনলোড করুন
মহাসাগর, সাগর, উপসাগর ও হ্রদ কি এবং গুরুত্বপুর্ণ তথ্য পিডিএফ সহ
মহাসাগর, সাগর, উপসাগ ও হৃদ -এর পার্থ্যক্য কি?
মহাসাগর- অতি প্রকাণ্ড ও লবণযুক্ত বিপুল জলরাশি যা মুলত পৃথিবীকে বেষ্টন করে আছে, এবং মহাদেশগুলোকে বিভক্ত করে তাকেই মহাসাগর বা মহাসমুদ্র (Ocean) বলে। অর্বিথাৎ বিস্তীর্ন বিশাল জলরাশি যার সীমা নির্ণয় করা প্রায় দু:সাধ্য তাকে বলে মহাসাগর। মহাসাগর বলতে বোঝায় কয়েকটি সাগরের মিলিত রূপ। তবে পৃথিবীতে মাত্র ৫ টি মহাসাগর রয়েছে। প্রশান্ত, ভারত, উত্তর মহাসাগর।
সাগর– মহাসাগরে চেয়ে ছোট কিন্তু বিস্তীর্ন জলরাশিকে সাগর বলে। মহাসাগরে চেয়ে ছোট বিস্তীর্ন জলরাশি হল সাগর বলে। সাগর হলো মহাদেশের উপকূলভাগে মহাসাগরের প্রান্তে অবস্থিত জলভাগ যা প্রাকৃতিকভাবে ভূ- প্রকৃতির দ্বারা মহাসাগর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে থাকে। তবে পৃথিবীর সকল সাগরই কোন না কোন মহাসাগরের অন্তর্ভুক্ত। পৃথিবীতে অসংখ্য সাগর রয়েছে। ভুমধ্যসাগর, আরব সাগর প্রভৃতি।
উপসাগর– যে সাগরে তিনদিক স্থল সীমানা দ্বারা পরিবেষ্টিত অর্থাৎ শুধু মাত্র একদিক উম্মুক্ত তাকে উপসাগর বলে। যেমন বঙ্গোপসাগর হল একটি উপসাগর যা পৃথিবীর মধ্যে সর্ববৃহৎ ।
হৃদ- চারদিকে স্থলভাগ দ্বারা পরিবেষ্টিত বিশাল জলরাশি। এটি প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্ট, অপেক্ষাকৃত বড় জলের অংশ যা শুষ্ক ভূমি দ্বারা বেষ্টিত একটি অববাহিকায় স্থানান্তরিত হয়। বৈকাল হ্রদ · ভিক্টোরিয়া হ্রদ · সুপিরিয়র হ্রদ প্রভৃতি হল হ্রদ।
পৃথিবীর ৫টি মহাসাগর সমন্ধে বিস্তারিত ও গুরুত্বপুর্ণ তথ্য
১. প্রশান্ত মহাসাগর
আয়তনের দিক থেকে পৃথিবীর বৃহত্তম ও গভীরতম মহাসাগর হলো প্রশান্ত মহাসাগর। এর আকৃতি বৃহদাকার বিষম ত্রিভুজের ন্যায়। এটি দক্ষিণ দিকে প্রশস্ত যা নিরক্ষরেখা বরাবর সবচেয়ে বেশি কিন্তু উত্তর দিকে ক্রমেই সংকীর্ণ। এছাড়াও এ মহাসাগরে রয়েছে কয়েকটি মালভূমি। এসব মালভূমির উপরিভাগ সমুদ্রের উপর উত্থিত হওয়ার ফলে এখানে বহুসংখ্যক দ্বীপের সৃষ্টি করেছে। যার মধ্যে রয়েছে পশ্চিমে কিউরাইল দ্বীপপুঞ্জ, ফিলিপাইন, জাপান, ইন্দোনেশিয়া, নিউজিল্যান্ডসহ বড় বড় অনেক দ্বীপপুঞ্জ।
এছাড়াও নিউহেবরাইডস, ফিজি, নাউরু, কিরিবাতি,মার্শাল, সোলোমন, হাওয়াই, অলিউশিয়ান প্রভৃতি। এ মহাসাগরের পশ্চিমে ওখটস্ক সাগর, পীত সাগর, পূর্বচীন সাগর এবং উত্তর দিকে বেরিং প্রণালি দ্বারা মহাসাগরের মহীঢাল ক্রমশ অধিক ঢালু হয়ে সমুদ্রের তলদেশ পর্যন্ত বিস্তৃত।
অবস্থান : প্রশান্ত মহাসাগের পূর্বে উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশ, পশ্চিমে এশিয়া ও ওসেনিয়া মহাদেশ অবস্থিত।
আয়তন : এ মহাসাগর আয়তনে সর্বাপেক্ষা বৃহত্তর । এর মোট আয়তন প্রায় ১৬৫.৪ মিলিয়ন বর্গকিলোমিটার বা ১৬ কোটি ৬০ লক্ষ বর্গ কিলোমিটার; যা সমস্ত ভূপৃষ্ঠের প্রায় – অংশ জুড়ে বিস্তৃত।
গভীরতা : প্রশান্ত মহাসাগরে সর্বোচ্চ গভীরতা ৩৫,৯৫৮ ফুট এবং গড় গভীরতা ১৪,০০০ ফুট যা পৃথিবীর গভীরতমও বটে।
একনজরে প্রশান্ত মহাসাগরের কিছু গুরুত্তপুর্ণ তথ্য-
মোট আয়তন | ১৬ কোটি ৬০ লক্ষ বর্গ কিলোমিটার |
গড় গভীরতা | ৪২৭০ মিটার |
আকৃতি | ত্রিভুজের মত (Tringle Shaped) |
সর্বোচ্চ গভীরতম খাদ | মারিয়ানা ট্রেন্স বা খাদ (Mariana Trench) |
খাদের দৈর্ঘ | ২২৫০ কিলোমিটার |
খাদের গভীরতম স্থান | চ্যালেঞ্জার ডিপ ( Challenger Deep) |
গভীরতম স্থানের গভীরতা | ৭০ কিলোমিটার |
অবস্থান | এটি পৃথিবীর বৃহত্তম মহাসাগর। এশিয়া ও অস্ট্রেলিয়ার সাথে দুই আমেরিকাকে পৃথক করে। নিরক্ষরেখা সাপেক্ষে এটি আবার উত্তর গোলার্ধে উত্তর প্রশান্ত মহাসাগর ও দক্ষিণ গোলার্ধে দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরে বিভক্ত। |
দ্বীপপুঞ্জ বা দ্বীপরাষ্ট্র | ফিলিপাইন, পাপুয়া নিউগিনি, পালাউ, লাউরু এবং সালোমন দ্বীপপুঞ্জ |
২. আটলান্টিক মহাসাগর
আটলান্টিক মহাসাগর পৃথিবীর মধ্যে দ্বিতীয় বৃহত্তম মহাসাগর। এর আকৃতি অনেকটা ইংরেজি ‘S’ অক্ষরের মত। এ মহাসাগরটি নিরক্ষরেখার কাছে সর্বাধিক সংকীর্ণ এবং নিরক্ষরেখা থেকে উত্তরে ও দক্ষিণে ক্রমশ চওড়া হয়ে অবস্থিত। মহাসাগরটির মধ্যভাগ দিয়ে নিরক্ষরেখা অতিক্রম করে তাই নিরক্ষরেখার উত্তর অংশকে উত্তর আটলান্টিক এবং দক্ষিণ অংশকে দক্ষিণ আটলান্টিক মহাসাগর বলা হয়। আটলান্টিক শৈলশিরা নামে মহাসাগরের মধ্যভাগে এক বিশাল শৈলশিরা অবস্থিত।
এছাড়া ওয়ালভিস শৈলশিরা, চ্যালেঞ্জার শৈলশিরা, রিও গ্যান্ড শৈলশিরা, ডলফিন শৈলশিরা প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য। এ মহাসাগরের দ্বীপগুলো বেশিরভাগই উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকার মধ্যবর্তীতে অবস্থিত। দ্বীপগুলোর মধ্যে পশ্চিম ভারতীয় দ্বীপপুঞ্জ, ব্রিটিশ দ্বীপপুঞ্জ, বারমুডা, নিউফাইন্ডল্যান্ড, ক্যানারি, ত্রিনিদাদ, ক্যাপভার্দে প্রভৃতি প্রধান ভাবে উল্লেখ্যযোগ্য। এ মহাসাগরে সাগর ও উপসাগরের মধ্যে উত্তর সাগর, বাল্টিক সাগর, অ্যাড্রিয়াটিক সাগর, বাফিন সাগর, বিস্কে উপসাগর, মেক্সিকো উপসাগর, ভূমধ্যসাগর, ক্যারিবিয়ান সাগর প্রভৃতি প্রধান প্রধান সাগর।
অবস্থান : আটলান্টিক মহাসাগর ইউরোপ ও আফ্রিকার পশ্চিমে এবং উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকার পূর্বে অবস্থিত।
আয়তন : এ মহাসাগরের মোট আয়তন ৮২.২ মিলিয়ন বর্গকিলোমিটার; যা মহাসাগরগুলোর মধ্যে দ্বিতীয় বৃহত্তম।
গভীরতা : এ মহাসাগরের সর্বাধিক গভীরতা প্রায় ৩০,১৪৩ ফুট এবং গড় গভীরতা প্রায় ১২,০০০ ফুট হিসাব করা হয়েছে।
একনজরে আটলান্টিক মহাসাগরের কিছু গুরুত্তপুর্ণ তথ্য-
মোট আয়তন | ৮ কোটি ২৪ লক্ষ বর্গ কিলোমিটার |
গড় গভীরতা | ৩৯৩২ মিটার |
আকৃতি | “S” আকৃতির ( “S” -shaped) |
সর্বোচ্চ গভীরতম খাদ | পুয়ের্তো রিকো খাত (Puerto Rico Stretch) |
খাদের দৈর্ঘ | ৮০০ কিলোমিটার (৪৯৭ মাইল) দীর্ঘ |
খাদের গভীরতম স্থান | মিওয়ার্কি ডিপ |
গভীরতম স্থানের গভীরতা | সর্বোচ্চ গভীরতা ৮,৩৭৬ মিটার (২৭,৪৮০ফুট) |
অবস্থান | এটি পৃথিবীর ২য় বৃহত্তম মহাসাগর। পূর্বদিকে ইউরোপ এবং আফ্রিকা এবং পশ্চিমে আমেরিকার অঞ্চলের মধ্যবর্তী অঞ্চলে দীর্ঘায়িত। |
দ্বীপপুঞ্জ বা দ্বীপরাষ্ট্র | ফকল্যান্ড, গ্রেট ব্রিটেন, আয়ারল্যান্ড, গ্রিনল্যান্ড, আইসল্যান্ড, কেপভারদে ও সেন্ট হেলেনা (যুক্তরাজ্য)। |
৩. ভারত মহাসাগর
ভারত মহাসাগরের আকৃতি উত্তর দিক হতে ক্রমশ দক্ষিণে প্রশস্ত। এ মহাসাগরে কটি গভীরতম খাত হল ‘সুন্ডাখাত’। এ মহাসাগরের উল্লেখযোগ্য দ্বীপগুলোর মধ্যে শ্রীলঙ্কা, আন্দামান, নিকোবর, লাক্ষা দ্বীপ, মাদাগাস্কার, মালদ্বীপ, সিসিলি প্রভৃতি প্রধান। এ সহাসাগরে মধ্যে সাগর ও মহাসাগরের সংখ্যা কম। আরব সাগর, পারস্য উপসাগর, লোহিতসাগর, বঙ্গোপসাগর প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য সাগর।
অবস্থান : ভারত মহাসাগর এশিয়ার দক্ষিণে, আফ্রিকার পূর্বে, ওসেনিয়ার পশ্চিমে, এন্টার্কটিকার উত্তরে অবস্থিত।
গভীরতা : ভারত মহাসাগরের সর্বাধিক গভীরতা ২৪,০০০ ফুট এবং গড় গভীরতা ১২,৮০০ ফুট।
একনজরে ভারত মহাসাগরের কিছু গুরুত্তপুর্ণ তথ্য-
মোট আয়তন | ৭ কোটি ৩৬ লক্ষ বর্গ কিলোমিটার |
গড় গভীরতা | ৩৯৬২ মিটার |
আকৃতি | প্রায় বৃত্তাকার |
সর্বোচ্চ গভীরতম খাদ | সুন্ডা খাত (Sunda Trench)- পুর্ব নাম জাভা খাদ (Java Trench) |
খাদের দৈর্ঘ | ৩২০০ কিলোমিটার দীর্ঘ |
খাদের গভীরতম স্থান | সুন্ডা খাত |
গভীরতম স্থানের গভীরতা | সর্বোচ্চ গভীরতা ৭২৯০ মিটার |
অবস্থান | এই মহাসাগরের উত্তর সীমায় রয়েছে ভারতীয় উপমহাদেশ; পশ্চিমে রয়েছে পূর্ব আফ্রিকা; পূর্বে রয়েছে ইন্দোচীন, সুন্দা দ্বীপপুঞ্জ ও অস্ট্রেলিয়া। এটি পৃথিবীর ৩য় বৃহত্তম মহাসাগর। |
দ্বীপপুঞ্জ বা দ্বীপরাষ্ট্র | মাদাগাস্কার (বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম দ্বীপ),ইন্দোনেশিয়া, কোমোরোস, সেশেল, মালদ্বীপ, মরিশাস ও শ্রীলঙ্কা। |
কুমেরু বা দক্ষিণ মহাসাগর
কুমেরু মহাসাগরটির আকৃতিও অনেকটা বৃত্তাকার এবং মহাসাগরটি প্রায়ই বরফে আবৃত রয়েছে। সাগর মহাসাগরের মধ্যে রস সাগর, ওয়েডেল সাগর, এ্যামুন্ডসন সাগর প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।
অবস্থান : কুমেরু ৰা দক্ষিণ বা অ্যান্টার্কটিকা মহাসাগরটি এন্টার্কটিকা মহাদেশে উত্তরাংশের চারদিকে বেষ্টন করে অবস্থিত।
আয়তন : অ্যান্টার্কটিকা মহাসাগরের আয়তন প্রায় ১৪.৮ মিলিয়ন বর্গকিলোমিটার; যা মহাসাগরগুলো মধ্যে ৪র্থ।
গভীরতা : কুমেরু মহাসাগরটির সর্বাধিক গভীরতা প্রায় ১৮,৭৯৪ ফুট এবং গড় গভীরতা প্রায় ৪,৯২০ ফুট।
একনজরে কুমেরু বা দক্ষিণ মহাসাগরের কিছু গুরুত্তপুর্ণ তথ্য-
মোট আয়তন | ১ কোটি ৪৭ লক্ষ বর্গ কিলোমিটার |
গড় গভীরতা | গড় গভীরতা ১৪৯ মিটার |
আকৃতি | প্রায় অর্ধ গোলাকার |
সর্বোচ্চ গভীরতম খাদ | দক্ষিণ স্যান্ডউইচ ট্রেঞ্চ (South Sandwich Trench) |
গভীরতম স্থানের গভীরতা | ৭,৪৩৪ মিটার (২৪,৩৯০ ফু) |
অবস্থান | দক্ষিণতম জল নিয়ে গঠিত, ৬০° দক্ষিণ অক্ষাংশের দক্ষিণদিকে অবস্থিত এবং অ্যান্টার্কটিকাকে ঘিরে রয়েছে। |
৫. সুমেরু বা উত্তর মহাসাগর
সুমেরু বা উত্তর বা আরটিক মহাসাগরটির আকৃতি অনেকটা বৃত্তাকার। এ মহাসাগরের অধিকাংশ স্থানই বরফ দ্বারা আবৃত। এ মহাসাগরে ক্ষুদ্র ও বৃহৎ কিছু দ্বীপপুঞ্জ রয়েছে যার অধিকাংশই কানাডা, সাইবেরিয়া প্রভৃতি ভূখণ্ডের নিমজ্জিত অংশ নিয়ে গঠিত। সাগর উপসাগরের মধ্যে পূর্ব সাইবেরিয়ার সাগর, ব্যারেন্ট সাগর, কারা সাগর, ল্যাপটিভ সাগর প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।
অবস্থান : প্রায় স্থলভাগ দ্বারা বেষ্টিত সুমেরু বা উত্তর মহাসাগরটি সুমেরু বৃত্তের মধ্যে অবস্থিত; যার দক্ষিণ ভাগ উত্তর আমেরিকার কানাডা, গ্রিণল্যান্ড এবং ইউরোপ দ্বারা বেষ্টিত রয়েছে।
আয়তন : সুমেরু বা উত্তর মহাসাগরটির মোট আয়তন প্রায় ১৫ মিলিয়ন বর্গকিলোমিটার; যা মহাসাগরগুলোর মধ্যে পঞ্চম।
গভীরতা : এ মহাসাগরের সর্বাধিক গভীরতা প্রায় ১৮,০০০ ফুট এবং গভীরতা প্রায় ২,৭০০ ফুট।
একনজরে উত্তর মহাসাগরের কিছু গুরুত্তপুর্ণ তথ্য-
মোট আয়তন | ১ কোটি ৪০ লক্ষ বর্গ কিলোমিটার |
গড় গভীরতা | ৮২৪ মিটার বা ১,০৩৮ |
আকৃতি | মোটামুটি বৃত্তাকার |
সর্বোচ্চ গভীরতম | ফ্র্যাম প্রণালীর মোলোয় অববাহিকা |
গভীরতম স্থানের গভীরতা | ৫,৫৫০ মি (১৮,২১০ ফু) |
অবস্থান | উত্তর মহাসাগর বা সুমেরু মহাসাগর উত্তর গোলার্ধের সুমেরু অঞ্চলে অবস্থিত বিশ্বের ক্ষুদ্রতম এবং সর্বাপেক্ষা কম গভীর একটি মহাসাগর। এটি পৃথিবীর ক্ষুদ্রতম মহাসাগর। |
৫টি মহাসাগর সমন্ধে গুরুত্বপুর্ণ তথ্যের পিডিএফ ।। ডাইনলোড করুন
মহাসাগর, সাগর, উপসাগর ও হ্রদ কি এবং গুরুত্বপুর্ণ তথ্য পিডিএফ সহ
পৃথিবীর ৫টি মাহসাগরের গুরুত্বপুর্ণ তথ্যঃ
নাম |
প্রশান্ত মহাসাগর/ Pacific Ocean |
---|---|
মোট আয়তন | ১৬ কোটি ৬০ লক্ষ বর্গ কিলোমিটার |
গড় গভীরতা | ৪২৭০ মিটার |
আকৃতি | ত্রিভুজের মত (Tringle Shaped) |
সর্বোচ্চ গভীরতম খাদ | মারিয়ানা ট্রেন্স বা খাদ (Mariana Trench) |
খাদের দৈর্ঘ | ২২৫০ কিলোমিটার |
খাদের গভীরতম স্থান | চ্যালেঞ্জার ডিপ ( Challenger Deep) |
গভীরতম স্থানের গভীরতা | ৭০ কিলোমিটার |
অবস্থান | এটি পৃথিবীর বৃহত্তম মহাসাগর। এশিয়া ও অস্ট্রেলিয়ার সাথে দুই আমেরিকাকে পৃথক করে। নিরক্ষরেখা সাপেক্ষে এটি আবার উত্তর গোলার্ধে উত্তর প্রশান্ত মহাসাগর ও দক্ষিণ গোলার্ধে দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরে বিভক্ত। |
দ্বীপপুঞ্জ বা দ্বীপরাষ্ট্র | ফিলিপাইন, পাপুয়া নিউগিনি, পালাউ, লাউরু এবং সালোমন দ্বীপপুঞ্জ |
অন্যান্য তথ্য | |
প্রবাল প্রাচীর | গ্রেট ব্যারিয়ার রিফ (Great Barrier Reef) – পৃথিবীর দীর্ঘতম প্রবাল প্রাচীর |
দীর্ঘতা | ২৩০০ কিলোমিটার |
অবস্থান | অস্ট্রেলিয়া সংলগ্ন |
|
|
নাম |
আটলান্টিক মহাসাগর/ Atlantic Ocean |
মোট আয়তন | ৮ কোটি ২৪ লক্ষ বর্গ কিলোমিটার |
গড় গভীরতা | ৩৯৩২ মিটার |
আকৃতি | “S” আকৃতির ( “S” -shaped) |
সর্বোচ্চ গভীরতম খাদ | পুয়ের্তো রিকো খাত (Puerto Rico Stretch) |
খাদের দৈর্ঘ | ৮০০ কিলোমিটার (৪৯৭ মাইল) দীর্ঘ |
খাদের গভীরতম স্থান | মিওয়ার্কি ডিপ |
গভীরতম স্থানের গভীরতা | সর্বোচ্চ গভীরতা ৮,৩৭৬ মিটার (২৭,৪৮০ফুট) |
অবস্থান | এটি পৃথিবীর ২য় বৃহত্তম মহাসাগর। পূর্বদিকে ইউরোপ এবং আফ্রিকা এবং পশ্চিমে আমেরিকার অঞ্চলের মধ্যবর্তী অঞ্চলে দীর্ঘায়িত। |
দ্বীপপুঞ্জ বা দ্বীপরাষ্ট্র | ফকল্যান্ড, গ্রেট ব্রিটেন, আয়ারল্যান্ড, গ্রিনল্যান্ড, আইসল্যান্ড, কেপভারদে ও সেন্ট হেলেনা (যুক্তরাজ্য)। |
|
|
নাম |
ভারত মহাসাগর/ Indian Ocean |
মোট আয়তন | ৭ কোটি ৩৬ লক্ষ বর্গ কিলোমিটার |
গড় গভীরতা | ৩৯৬২ মিটার |
আকৃতি | প্রায় বৃত্তাকার |
সর্বোচ্চ গভীরতম খাদ | সুন্ডা খাত (Sunda Trench)- পুর্ব নাম জাভা খাদ (Java Trench) |
খাদের দৈর্ঘ | ৩২০০ কিলোমিটার দীর্ঘ |
খাদের গভীরতম স্থান | সুন্ডা খাত |
গভীরতম স্থানের গভীরতা | সর্বোচ্চ গভীরতা ৭২৯০ মিটার |
অবস্থান | এই মহাসাগরের উত্তর সীমায় রয়েছে ভারতীয় উপমহাদেশ; পশ্চিমে রয়েছে পূর্ব আফ্রিকা; পূর্বে রয়েছে ইন্দোচীন, সুন্দা দ্বীপপুঞ্জ ও অস্ট্রেলিয়া। এটি পৃথিবীর ৩য় বৃহত্তম মহাসাগর। |
দ্বীপপুঞ্জ বা দ্বীপরাষ্ট্র | মাদাগাস্কার (বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম দ্বীপ),ইন্দোনেশিয়া, কোমোরোস, সেশেল, মালদ্বীপ, মরিশাস ও শ্রীলঙ্কা। |
|
|
নাম |
অ্যান্টার্কটিকা বা দক্ষিণ মহাসাগর/ Antarctic or Southern Ocean |
মোট আয়তন | ১ কোটি ৪৭ লক্ষ বর্গ কিলোমিটার |
গড় গভীরতা | গড় গভীরতা ১৪৯ মিটার |
আকৃতি | প্রায় অর্ধ গোলাকার |
সর্বোচ্চ গভীরতম খাদ | দক্ষিণ স্যান্ডউইচ ট্রেঞ্চ (South Sandwich Trench) |
গভীরতম স্থানের গভীরতা | ৭,৪৩৪ মিটার (২৪,৩৯০ ফু) |
অবস্থান | দক্ষিণতম জল নিয়ে গঠিত, ৬০° দক্ষিণ অক্ষাংশের দক্ষিণদিকে অবস্থিত এবং অ্যান্টার্কটিকাকে ঘিরে রয়েছে। |
|
|
নাম |
আর্কটিক বা সুমেরু বা উত্তর মহাসাগর/ Artic or Northern Ocean |
মোট আয়তন | ১ কোটি ৪০ লক্ষ বর্গ কিলোমিটার |
গড় গভীরতা | ৮২৪ মিটার বা ১,০৩৮ |
আকৃতি | মোটামুটি বৃত্তাকার |
সর্বোচ্চ গভীরতম | ফ্র্যাম প্রণালীর মোলোয় অববাহিকা |
গভীরতম স্থানের গভীরতা | ৫,৫৫০ মি (১৮,২১০ ফু) |
অবস্থান | উত্তর মহাসাগর বা সুমেরু মহাসাগর উত্তর গোলার্ধের সুমেরু অঞ্চলে অবস্থিত বিশ্বের ক্ষুদ্রতম এবং সর্বাপেক্ষা কম গভীর একটি মহাসাগর। এটি পৃথিবীর ক্ষুদ্রতম মহাসাগর। |
পৃথিবীর ৫টি মহাসাগরের সংক্ষিপ্ত ও গুরুত্বপুর্ণ তথ্য
নাম | প্রশান্ত মহাসাগর/ Pacific Ocean |
---|---|
মোট আয়তন | ১৬ কোটি ৬০ লক্ষ বর্গ কিলোমিটার |
গড় গভীরতা | ৪২৭০ মিটার |
আকৃতি | ত্রিভুজের মত (Tringle Shaped) |
সর্বোচ্চ গভীরতম খাদ | মারিয়ানা ট্রেন্স বা খাদ (Mariana Trench) |
খাদের দৈর্ঘ | ২২৫০ কিলোমিটার |
খাদের গভীরতম স্থান | চ্যালেঞ্জার ডিপ ( Challenger Deep) |
গভীরতম স্থানের গভীরতা | ৭০ কিলোমিটার |
অবস্থান | এটি পৃথিবীর বৃহত্তম মহাসাগর। এশিয়া ও অস্ট্রেলিয়ার সাথে দুই আমেরিকাকে পৃথক করে। নিরক্ষরেখা সাপেক্ষে এটি আবার উত্তর গোলার্ধে উত্তর প্রশান্ত মহাসাগর ও দক্ষিণ গোলার্ধে দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরে বিভক্ত। |
দ্বীপপুঞ্জ বা দ্বীপরাষ্ট্র | ফিলিপাইন, পাপুয়া নিউগিনি, পালাউ, লাউরু এবং সালোমন দ্বীপপুঞ্জ |
অন্যান্য তথ্য | |
প্রবাল প্রাচীর | গ্রেট ব্যারিয়ার রিফ (Great Barrier Reef) - পৃথিবীর দীর্ঘতম প্রবাল প্রাচীর |
দীর্ঘতা | ২৩০০ কিলোমিটার |
অবস্থান | অস্ট্রেলিয়া সংলগ্ন |
নাম | আটলান্টিক মহাসাগর/ Atlantic Ocean |
মোট আয়তন | ৮ কোটি ২৪ লক্ষ বর্গ কিলোমিটার |
গড় গভীরতা | ৩৯৩২ মিটার |
আকৃতি | "S" আকৃতির ( "S" -shaped) |
সর্বোচ্চ গভীরতম খাদ | পুয়ের্তো রিকো খাত (Puerto Rico Stretch) |
খাদের দৈর্ঘ | ৮০০ কিলোমিটার (৪৯৭ মাইল) দীর্ঘ |
খাদের গভীরতম স্থান | মিওয়ার্কি ডিপ |
গভীরতম স্থানের গভীরতা | সর্বোচ্চ গভীরতা ৮,৩৭৬ মিটার (২৭,৪৮০ফুট) |
অবস্থান | এটি পৃথিবীর ২য় বৃহত্তম মহাসাগর। পূর্বদিকে ইউরোপ এবং আফ্রিকা এবং পশ্চিমে আমেরিকার অঞ্চলের মধ্যবর্তী অঞ্চলে দীর্ঘায়িত। |
দ্বীপপুঞ্জ বা দ্বীপরাষ্ট্র | ফকল্যান্ড, গ্রেট ব্রিটেন, আয়ারল্যান্ড, গ্রিনল্যান্ড, আইসল্যান্ড, কেপভারদে ও সেন্ট হেলেনা (যুক্তরাজ্য)। |
নাম | ভারত মহাসাগর/ Indian Ocean |
মোট আয়তন | ৭ কোটি ৩৬ লক্ষ বর্গ কিলোমিটার |
গড় গভীরতা | ৩৯৬২ মিটার |
আকৃতি | প্রায় বৃত্তাকার |
সর্বোচ্চ গভীরতম খাদ | সুন্ডা খাত (Sunda Trench)- পুর্ব নাম জাভা খাদ (Java Trench) |
খাদের দৈর্ঘ | ৩২০০ কিলোমিটার দীর্ঘ |
খাদের গভীরতম স্থান | সুন্ডা খাত |
গভীরতম স্থানের গভীরতা | সর্বোচ্চ গভীরতা ৭২৯০ মিটার |
অবস্থান | এই মহাসাগরের উত্তর সীমায় রয়েছে ভারতীয় উপমহাদেশ; পশ্চিমে রয়েছে পূর্ব আফ্রিকা; পূর্বে রয়েছে ইন্দোচীন, সুন্দা দ্বীপপুঞ্জ ও অস্ট্রেলিয়া। এটি পৃথিবীর ৩য় বৃহত্তম মহাসাগর। |
দ্বীপপুঞ্জ বা দ্বীপরাষ্ট্র | মাদাগাস্কার (বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম দ্বীপ),ইন্দোনেশিয়া, কোমোরোস, সেশেল, মালদ্বীপ, মরিশাস ও শ্রীলঙ্কা। |
নাম | অ্যান্টার্কটিকা বা দক্ষিণ মহাসাগর/ Antarctic or Southern Ocean |
মোট আয়তন | ১ কোটি ৪৭ লক্ষ বর্গ কিলোমিটার |
গড় গভীরতা | গড় গভীরতা ১৪৯ মিটার |
আকৃতি | প্রায় অর্ধ গোলাকার |
সর্বোচ্চ গভীরতম খাদ | দক্ষিণ স্যান্ডউইচ ট্রেঞ্চ (South Sandwich Trench) |
গভীরতম স্থানের গভীরতা | ৭,৪৩৪ মিটার (২৪,৩৯০ ফু) |
অবস্থান | দক্ষিণতম জল নিয়ে গঠিত, ৬০° দক্ষিণ অক্ষাংশের দক্ষিণদিকে অবস্থিত এবং অ্যান্টার্কটিকাকে ঘিরে রয়েছে। |
নাম | আর্কটিক বা সুমেরু বা উত্তর মহাসাগর/ Artic or Northern Ocean |
মোট আয়তন | ১ কোটি ৪০ লক্ষ বর্গ কিলোমিটার |
গড় গভীরতা | ৮২৪ মিটার বা ১,০৩৮ |
আকৃতি | মোটামুটি বৃত্তাকার |
সর্বোচ্চ গভীরতম | ফ্র্যাম প্রণালীর মোলোয় অববাহিকা |
গভীরতম স্থানের গভীরতা | ৫,৫৫০ মি (১৮,২১০ ফু) |
অবস্থান | উত্তর মহাসাগর বা সুমেরু মহাসাগর উত্তর গোলার্ধের সুমেরু অঞ্চলে অবস্থিত বিশ্বের ক্ষুদ্রতম এবং সর্বাপেক্ষা কম গভীর একটি মহাসাগর। এটি পৃথিবীর ক্ষুদ্রতম মহাসাগর। |
৫টি মহাসাগর সমন্ধে পিডিএফ ডাইনলোড করুন
মহাসাগর, সাগর, উপসাগর ও হ্রদ কি এবং গুরুত্বপুর্ণ তথ্য পিডিএফ সহ