সাইনুসাইটিস কী?
আমাদের নাকের চারপাশের অস্থিগুলোর ফাঁকে বাতাসপূর্ণ কুঠুরি থাকে, যেগুলোকে সাইনাস বলা হয়। সাইনাসের কাজ হলো—
-
মাথাকে হালকা রাখা
-
আঘাত থেকে মাথাকে রক্ষা করা
-
কণ্ঠস্বরকে সুরেলা রাখা
-
দাঁত ও চোয়াল গঠনে সহায়তা করা
সাইনাসের ভেতরের মিউকাস প্রতিদিন স্বাভাবিকভাবে নাসিকাগহ্বর দিয়ে বের হয়। কিন্তু কোনো কারণে এ প্রক্রিয়ায় বিঘ্ন ঘটলে বাতাসের পরিবর্তে সেখানে তরল জমে প্রদাহ হয়, যাকে বলা হয় সাইনুসাইটিস।
সাইনুসাইটিস হওয়ার কারণ
-
নাকে এলার্জি
-
ভাইরাস সংক্রমণ
-
মৌসুম পরিবর্তনজনিত ঠান্ডা-সর্দি
-
নাকের মাঝখানের হাড় বাঁকা হওয়া
-
নাকের ভেতরে মাংস বৃদ্ধি (টারবিনেট)
-
পলিপ বা টিউমার
-
শীতে অ্যালার্জি ও ইনফ্লুয়েঞ্জার প্রকোপ
সাইনুসাইটিসের লক্ষণ ও উপসর্গ
-
নাক থেকে ঘন হলুদ বা সবুজাভ শ্লেষ্মা নির্গত হওয়া
-
নাক বন্ধ ও শ্বাস নিতে অসুবিধা
-
নাকের চারপাশে, চোখের নিচে বা কপালে ফোলাভাব
-
চোখ, গাল, নাক বা কপালের চারপাশে ব্যথা
-
কানে চাপ বা বন্ধ ভাব
-
মাথাব্যথা ও দাঁতে ব্যথা
-
ঘ্রাণশক্তি কমে যাওয়া
শীতের আগে প্রতিরোধের উপায়
-
রাতে বা ভোরে বের হলে কান-মাথা-গলা ঢেকে রাখা
-
পায়ে মোজা পরা
-
ধুলাবালি থেকে বাঁচতে মাস্ক ব্যবহার
-
অ্যালার্জির কারণ জেনে সেটি এড়িয়ে চলা
-
ধোঁয়া ও দূষিত পরিবেশ এড়িয়ে চলা
-
ঘুমানোর সময় মাথা উঁচু রাখা
-
ঠান্ডা পানির সংস্পর্শ এড়িয়ে চলা
-
মশার কয়েলের ধোঁয়া ও স্প্রে থেকে দূরে থাকা
সাইনুসাইটিস হলে করণীয়
-
দিনে অন্তত দুবার গরম পানির ভেপার নেওয়া
-
গরম পানিতে মেনথল মিশিয়ে ইনহেলেশন নেওয়া
-
অ্যান্টিহিস্টামিন জাতীয় ওষুধ গ্রহণ (চিকিৎসকের পরামর্শে)
-
বাজারের নাকের ড্রপ দীর্ঘদিন ব্যবহার না করা
-
সমস্যার প্রকোপ বাড়লে নাক-কান-গলা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া
📌 বিশেষজ্ঞের পরামর্শ:
ডা. মো. আব্দুল হাফিজ শাফী, নাক-কান-গলা রোগ বিশেষজ্ঞ, রেজিস্ট্রার, সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল